ঢাকা ,
বার : সোমবার
তারিখ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলা : ৯ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা ঢাকা ক্রেডিট ঢাকা ক্রেডিট কালচারাল একাডেমির ‘আধুনিক ক্লাস পরিচালনা পদ্ধতি’ বিষয়ক কর্মশালা

ঢাকা ক্রেডিট কালচারাল একাডেমির ‘আধুনিক ক্লাস পরিচালনা পদ্ধতি’ বিষয়ক কর্মশালা

0
272

ঢাকা ক্রেডিট কালচারাল একাডেমির আয়োজনে সম্পন্ন হলো আধুনিক ক্লাস পরিচালনা পদ্ধতি বিষয়ক কর্মশালা।

একাডেমির সার্বিক মাননোন্নয়নের উদ্দেশে এই কর্মশালা আয়োজন করেন একাডেমির প্রিন্সিপাল অনিমা মুক্তি গমেজ।

৬ এপ্রিল ঢাকা ক্রেডিটের প্রধান কার্যলায়ের বিকে. গুড কনফারেন্স হলে সকাল ১০টায় অর্ধ দিবসব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় কালচারাল একাডেমির বিভিন্ন শাখার ৯জন শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন।

ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ভাষা শিক্ষা বিভাগের গবেষণা ইনষ্টিটিউটের অধ্যাপক শ্যামলী আকবর।

ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ বলেন, ঢাকা ক্রেডিটের সদস্যদের সন্তানদের কথা চিন্তা করে ২০০৮ সালে কালচারাল একাডেমির যাত্রা শুরু করে। কালচারাল একাডেমি বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে নয়। যেন বর্তমান প্রজন্মের শিশুরা সঠিক বাংলা সংস্কৃতির চর্চা করতে পারে এটাই একাডেমির উদ্দেশ্য। এই একাডেমিতে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলে সংস্কৃতির চর্চা করতে পারে।

প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, কিছুদিনের মধ্যে নবাবগঞ্জের বান্দুরায় ঢাকা ক্রেডিট কালচারাল একাডেমির আরেকটি শাখা খোলার পরিকল্পনা রয়েছে। ঢাকা ক্রেডিট কালচারাল একাডেমির শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিকভাবে সুযোগদানের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

শিক্ষকদের তিনি বলেন, ‘আমাদের ছেলে-মেয়েরা যেন বাঙালি সংস্কৃতির মূলধারা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে না পড়ে সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে।

ঢাকা ক্রেডিট কালচারাল একাডেমির আহ্বায়ক এবং বোর্ড অব ডিরেক্টর ইউলসন রিবেরু বলেন, ‘জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সমাজ থেকে অনেক কিছু অর্জন করি। সমাজের প্রতি আমাদের সকলের একটি দায়বদ্ধতা আছে। সেই দায়বদ্ধতা থেকেই সমাজের সংস্কৃতি রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য।’

‘ঢাকা ক্রেডিট কালচারাল একাডেমির সার্বিক মান উন্নয়ন, আগামি তিন বছরের মধ্যে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত কালচারাল একাডেমির সাথে তাল মেলানো, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে সুন্দর সম্পর্ক, মূল্যায়ন, একাডেমির সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য আজকের এই কর্মশালার আয়োজন’ বলেন ঢাকা ক্রেডিট কালচারাল একাডেমির প্রিন্সিপাল অনিমা মুক্তি গমেজ।

কর্মশালার কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক শ্যামলী আকরব শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রত্যেক স্কুলের জন্য শিক্ষাক্রম থাকে। জাতীয় শিক্ষাক্রম অবশ্যই পালন করতে হবে। প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের একটি নিজস্ব পাঠ্যক্রম থাকে। যদি কোনো স্কুলের পাঠ্যক্রম না থাকে, তাহলে কখনোই লক্ষে পৌঁছাতে পারবেন না।

‘একটি শিক্ষার্থী কেন ক্লাসে উন্নতি করতে পারছে না, তার পেছনে অবশ্যই কারণ বিদ্যমান। শিক্ষার্থীর মানসিক অবস্থা, পারিবারিক পরিবেশ, স্কুল থেকে বাসার দূরত্ব, অন্যান্য বিষয় পড়াশোনা করার পরে সে কতটুকু সময় পায় ইত্যাদি বিষয় আপনাদের জানতে হবে। বিষয়গুলো জানার পরে সেই মোতাবেক শিক্ষার্থীকে আপনারা হোমওয়ার্ক দিতে পারবেন এবং তখনই শিক্ষার্থীরা আনন্দের সাথে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে। পাঠদানের পূর্বে শিক্ষার্থীর মনস্তাত্বিক অবস্থা জানতে হবে। তখনই বুঝতে পারবেন শিক্ষার্থীকে কোন পদ্ধতিতে পাঠদান করতে হবে’ বলেন শ্যামলী আকবর।

তিনি আরো বলেন, একজন ভালো শিক্ষক সর্বদা শিক্ষার্থী। কারণ তাকে শিক্ষা গ্রহণ করার পরে শিক্ষা প্রদান করতে হয়। সকল শিক্ষার্থী শিক্ষক নয়। বাস্তব অভিজ্ঞতার মাধ্যমে তাত্বিক জ্ঞান প্রদান করলে শিক্ষার্থী দ্রুত গ্রহণ করতে পারে।

কর্মশালায় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ক্রেডিটের ভাইস প্রেসিডেন্ট শীরেন সিলভেষ্টার গমেজ, চিফ অফিসার জোনাস গমেজ, সুইটি সিসিলিয়া পিউরিফীকেশনসহ আরো অনেকে।

ঢাকা ক্রেডিট ইউনিয়ন স্কুলের শিক্ষক হিলারিয়াস সরকারে প্রার্থনার মাধ্যমে কর্মশালা শুরু হয়।