শিরোনাম :
ঢাকা ক্রেডিট হতে সহজে গাড়ি ঋণ পাওয়ার উপায়
।। সুমন কোড়াইয়া, ডিসি নিউজ, ঢাকা।।
জাদুর শহর ঢাকা। ইট-পাথরের এই শহরে গণপরিবহণে যাতাযাত করাটা ক্রমশ হয়ে উঠেছে কষ্টের। বিশেষত যারা সকালে অফিসে যান, তারা জানেন গণপরিবহনে যাতাযাত করাটা কতটা বিড়ম্বনার। বাস পাওয়া যায় না, যদিও অনেক কষ্টে বাসে উঠতে পারা যায় তো সিট পাওয়া যায় না।
এই সমস্যা দূর করতে আপনার পাশে রয়েছে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ সমবায় প্রতিষ্ঠান ঢাকা ক্রেডিট। আপনি যদি এই প্রতিষ্ঠানের সদস্য হয়ে থাকেন, তাহলে সহজেই আপনি গাড়ি কেনার জন্য ঋণ পেতে পারেন। ঢাকা শহরে চলাচল করতে পারেন কষ্ট ছাড়াই। সবচেয়ে বড় কথা নিজের গাড়িতে। বিষয়টি যেমন গর্বের তেমনি মর্যাদার।
গাড়ি ঋণের উদ্দেশ্য
অতি সহজে একটি গাড়ির মালিক হতে পারবেন যা আপনার পরিবারের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করবে। সেই সাথে উচ্চ সামাজিক মর্যাদায় জীবন-যাপন করবেন।
এই ঋণের বৈশিষ্ট্য
নন-রেজিষ্ট্রেশনকৃত রিকন্ডিশন বা ব্র্যান্ড নিউ গাড়ির জন্য সর্বোচ্চ ঋণের পরিমাণ ৪০,০০,০০০ (চল্লিশ লক্ষ) টাকা। ঋণের সুদ ক্রমহ্রাসমান পদ্ধতিতে বার্ষিক শতকরা ১৩.৫০ টাকা। সর্বোচ্চ ৫ বছর বা ৬০ কিস্তিতে পরিশোধযোগ্য।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
ঋণের আবেদনপত্রের সাথে সংযুক্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হলো- গাড়ির শো রুম হতে কোটেশন, দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের হালনাগাদ ছবি, ঢাকা ক্রেডিটের দেওয়া ডিজিটাল আইডি কার্ডের ফটোকপি, চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে বেতনের প্রত্যয়নপত্র/ব্যাংক স্টেটমেন্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধনপত্রের ফটোকপি, ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্সের ফটোকপি, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, আয়কর সার্টিফিকেট ও আয়কর রির্টান রশিদ, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অঙ্গীকারনামা, স্বামীর ক্ষেত্রে স্ত্রী এবং স্ত্রীর ক্ষেত্রে স্বামীর সম্মতিপত্রসহ আবেদনপত্রে যাদের আয় দেখানো হয়, তাদের প্রত্যেকের সম্মতিপত্র, প্রয়োজনীয় জামিনের পরিমাণ ইত্যাদি।
কীভাবে নিবেন গাড়ি ঋণ
সদস্যকে কমপক্ষে দুই বছর আগে ক্রেডিটের সদস্য হতে হবে এবং হতে হবে নিয়মিত সদস্য। ঢাকা ক্রেডিটের মেম্বার ইনফরমেশন সার্ভিস (এমআইএস) বিভাগের কর্মীা নিশি লিউনি গমেজ ডিসিনিউজকে বলেন, ‘ব্যক্তি মালিকানা থেকে গাড়ি কেনার জন্য ঢাকা ক্রেডিট ঋণ দেয় না। তাই শো রুম থেকে গাড়ি কেনার জন্য কোটেশন সংগ্রহ করতে হবে। কোটেশন-এর গাড়ির মূল্যের ৭০% ঋণ দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে গাড়ির মূল্যের ৩০% টাকা আবেদনকারী তার সঞ্চয়ী হিসাবে জমা রাখবেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘গাড়ির ঋণ অনুমোদন হওয়ার পর ঢাকা ক্রেডিট থেকে শো রুম বরাবর গাড়ী ক্রয়ের পার্সেস অর্ডার এবং ঢাকা ক্রেডিটের নামে (এ/সি হিসেবে আবেদনকারীর সাথে থাকবে) গাড়ী রেজিষ্ট্রেশন করার জন্য চিঠি প্রদান করবে। রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর গাড়ীর সম্পূর্ণ মূল্য ঢাকা ক্রেডিট শো রুমে ক্রস চেকের পরিশোধ করবে ’। গাড়ীর ঋণ পরিশোধ হয়ে গেলে তখন আবেদনকারী বিআরটিএ আবেদন করে তার নামে গাড়ীর মালিকানা বদল করে নেন।
তিনি জানান, কোটেশন সংগ্রহের আগে যদি আবেদনকারী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করেন এবং আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সময় যদি সবকিছু ঠিক থাকে, তাহলে আবেদনকারী কমপক্ষে দুই সপ্তাহের মধ্যে ঋণ পেতে পারেন।
নিশি লিউনি গমেজ জানান, গাড়ি ঋণ আবেদনকারীরা বেশির ভাগই কোটেশন আনেন না। কোটেশন আনার আগেই যদি সকল কাগজপত্র ঠিক রাখেন এবং কোটেশনের মেয়াদ ১ মাসের নিয়ে আসেন, তবে ঋণ প্রক্রিয়ার জন্য সুবিধা।
গাড়ি ঋণ সম্পর্কে আরো জানুন: ঢাকা ক্রেডিট গাড়ি ঋণ
গাড়ি ঋণ নিয়ে ব্যবসা
পবিত্র পেরেরা। পেশায় একজন প্রাক্তন গাড়িচালক। তিনি বর্তমানে ‘রেন্ট-এ-কারের’ ব্যবসা করছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠানের নাম সাগর এন্টার প্রাইজ। অফিস মিরপুর ১০ নম্বরে। পাবনার মথুরাপুর ধর্মপল্লীর পবিত্র পেরেরা ঢাকা ক্রেডিট হতে দু’বার গাড়ি ঋণ নিয়েছেন। তার দুটি ঋণই প্রায় পরিশোধের পথে। বর্তমানে তিনি সাতটি এসি মিনি বাসের মালিক। তিনি ডিসিনিউজকে বলেন, ‘ঢাকা ক্রেডিট হতে গাড়ি ঋণ নিয়ে আমি অনেক উপকৃত হয়েছি। আমার অর্থনৈতিক উন্নয়নে এই ঋণের তুলনা নেই। আমার মতো অন্যেরাও গাড়ি ঋণ নিয়ে ব্যবসা করতে পারেন।’
তাঁর মতে চেষ্টাই আনে সফলতা।
এই ধরনের আরো লেখা পড়ুন:
সফল রেন্ট-এ কার ব্যবসায়ী আলফ্রেডের গল্প