শিরোনাম :
ঢাকা খ্রীষ্টিয়ান বহুমুখী সমবায় সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
ডিসিনিউজ ।। ঢাকা
অনুষ্ঠিত হলো ঢাকা খ্রীষ্টিয়ান বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ-এর ৩৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা।
ফার্মগেটের বটমলী হোম অর্ফানেজ টেকনিক্যাল স্কুল প্রাঙ্গণে সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত বার্ষিক সাধারণ সভায় সমিতির সভাপতি প্রদীপ সরকারের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি বিনয় গোস্বামীর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দি সেন্ট্রাল এসোসিয়েশন অব খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভস্ (কাককো) লি: ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি নির্মল রোজারিও। এ ছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ক্রেডিটের সেক্রেটারি ও বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের মহাসচিব ইগ্নাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়া।
আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ক্রেডিটের ভাইস-প্রেসিডেন্ট আলবার্ট আশিস বিশ্বাস, প্রাক্তন ভাইস-প্রেসিডেন্ট জেমস প্রদীপ বিশ্বাস, বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের যুগ্মমহাসচিব জেমস সুব্রত হাজরাসহ আরো অনেকে।
বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথি নির্মল রোজারিও বলেন, ‘ধন্যবাদ জানাই বহুমুখী সমিতিকে আমাকে আজকে নিমন্ত্রণ করার জন্য। সেই সাথে ধন্যবাদ জানাই বর্তমান বোর্ড সমিতির মাধ্যমে সাধারণ সদস্যদের পাশে থেকে সহযোগিতা করছে। সমবায় সমিতি সদস্যদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাই সদস্যদের উন্নয়নের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। শুধু তাই নয়, সদস্যদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ঋণ দিয়ে তাদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে, তাহলেই তারা আত্মকর্মসংস্থানে সফল হতে পারবে।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার ও সমবায় অধিদপ্তরকে ধন্যবাদ জানাই সমবায়ের উপবিধি ২১ ধারা সংশোধন করার জন্য। এই ধারা সংশোধনে সাধারণ সদস্যরা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেয়েছে এবং নিজের ভোট নিজে প্রদানসহ বার্ষিক সাধারণ সভায় নিজেদের মতামত উপস্থাপন করতে পারবে।’
ঢাকা ক্রেডিটসহ এই উপবিধি সংশোধনের সাথে জড়িত সকলকে তিনি এ সময় ধন্যবাদ জানান।
বিশেষ অতিথি ঢাকা ক্রেডিটের সেক্রেটারি হেমন্ত আই. কোড়াইয়া বলেন, ‘বহুমুখী সমিতি সফলতার সাথে তাদের সদস্যদের উন্নয়নে এগিয়ে যাচ্ছে। করোনাকালীন সময়ে এই সমিতি প্রত্যক্ষভাবে সদস্যদের পাশে ছিল, তা আমরা দেখেছি। এর জন্য সমিতির বর্তমান বোর্ডকে ধন্যবাদ জানাই।
‘ইতিমধ্যে করোনার ভ্যাকসিন আবিস্কার হয়েছে। বাংলাদেশেও এই ভ্যাকসিন আসবে। আমরা সমিতিগুলোর মাধ্যমে সদস্যদের করোনা ভ্যাকসিন নিশ্চিত করতে চাই’ বলেন সেক্রেটারি কোড়াইয়া।
সভাপতির বক্তব্যে প্রদীপ সরকার সমিতির কার্যক্রমসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। এ সময় তিনি সদস্যদের সহযোগিতা কামনা করেন।
শুরুতে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা ও সমবায়ী পতাকা উত্তোলন, প্রার্থনা, মৃত সদস্যদের আত্মার কল্যাণে নিরবতা, অতিথিদের ফুলের মাধ্যমে বরণ করাসহ বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।
এরপর পর্যায়ক্রমে ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রতিবেদন পাঠ আলোচনা ও অনুমোদন; আর্থিক প্রতিবেদন; ঋণদান কমিটির প্রতিবেদন পাঠ আলোচনা ও অনুমোদন; সুপারভাইজরি কমিটির প্রতিবেদন পাঠ আলোচনা ও অনুমোদন; অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কমিটির প্রতিবেদন পাঠ আলোচনা ও অনুমোদন; নতুন প্রস্তাবনা পেশ ও অনুমোদন এবং মামলা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।