শিরোনাম :
ঢাকা মহা ধর্মপ্রদেশের খ্রিষ্টান সংগঠনের নেতৃবৃন্দের ১ম প্রশিক্ষণ কর্মশালা
‘তোমরা সবাই মিলে খ্রিষ্টেরই দেহ; তোমরা একেকজন সেই দেহের এক একটি অঙ্গ’ মূলভাবের উপর ভিত্তি করে ঢাকার মোহাম্মদপুরের সিবিসিবি সেন্টারে ২১ এপ্রিল সকাল ৮টায় একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সামাজিক সংগঠন, সমবায় সংগঠন এবং বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা-নেত্রীরা।
প্রধান বক্তা হিসেব উপস্থিত ছিলেন কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি’রোজারিও সিএসসি, খ্রিষ্ট ভক্তজনগণ বিষয়ক কমিশনের চেয়ারম্যান বিশপ শরৎ ফ্রান্সিস গমেজ, বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও, মহাসচিব হেমন্ত আই কোড়াইয়া, ঢাকা ক্রেডিটের সেক্রেটারি পংকজ গিলবার্ট কস্তা, ডিরেক্টর রতন পিটার কোড়াইয়া, দি মেট্রোপলিটন হাউজিং সোসাইটির ভাইস-প্রেসিডেন্ট অনিল লিও কস্তা, খ্রিষ্টভক্তজনগণ বিষয়ক কমিশনের আহ্বায়ক রেবেকা কুইয়া, সেক্রেটারি লরেটা ফ্রেজারসহ আরও অনেকে।
এ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশের খ্রিস্ট ভক্তজনগণ বিষয়ক কমিশনের চেয়ারম্যান বিশপ শরৎ ফ্রান্সিস গমেজ।
তিনি তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ‘আমাদের এই সমাজকে যেন আপনারা ভাল ভাবে নেতৃত্ব দিতে পারেন সেই জন্য আজ আপনাদের এখানে আহ্বান করা হয়েছে। আপনারা এই আহ্বান পেয়েছেন দীক্ষা¯œানের মাধ্যমে। আমার আপনাদের সহযোগী মাত্র। সমাজকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া আমার-আপনার প্রত্যেকের দায়িত্ব।’ এর পর তিনি এই প্রশিক্ষণের শুভ উদ্ধোধন ঘোষণা করেন।
এ অনুষ্ঠানে মূলভাবের উপর বক্তব্য রাখেন কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি’রোজারিও, সিএসসি। কার্ডিনাল প্রথমেই বলেন, ‘আজকে এই প্রশিক্ষণে যুবকদের অংশগ্রহণ প্রশংসার দাবি রাখে। কারণ যুবরাই তো আগামি দিনে আমাদের সমাজকে নেতৃত্ব দিবে।’
এর পর কার্ডিনাল প্যাট্রিক উপস্থিত নেতা-নেত্রীদের প্রশ্ন করেন ‘গত ত্রিশ বছর আছে মন্ডলি কেমন ছিল এবং বর্তমান মন্ডলি কেমন দেখছেন? এই প্রশ্নের আলোকে প্রায় বিশ জনের কাছ থেকে মতামত গ্রহণ করা হয়। এর পরে কার্ডিনাল আবার প্রশ্ন করেন আপনারা কেমন মন্ডলি দেখতে চান? এই প্রশ্নের পেক্ষিতে অনেকে অনেক সুন্দর উত্তর প্রদান করে। তবে একজন যুবক বলে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির মতো চার্চে আড্ডা দিতে চাই। তবে বেশির ভাগ নেতা-নেত্রীদের উত্তর ছিল আমরা অংশগ্রহণ মূলক মন্ডলী আশা করি।
কারিতাসের সিডিআই ডিরেক্টর থিওফিল নকরেক পোপ ষোড়ষ বেনেডিক্টের পত্রের আলোকে খ্রিস্টান সংগঠনের বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে তিন ধরনের ভালবাসার কথা বলেন।
নকরেক আরও বলেন, ‘খ্রিস্টান সংগঠনের মূল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ক্ষমা ও ভালাবাসা।’
সি. মেরী মিতালী এসএমআরএ প্রার্থনার মাধ্যমে প্রশিক্ষণ শুরু করেন।
খ্রিস্টযাগ এবং মধ্যাহ্ন ভোজের মাধ্যমে এই প্রশিক্ষণের সমাপ্তি ঘটে।