শিরোনাম :
তিন দিনের শান্তি ও ন্যায্যতা উৎসব
‘যুক্ত কর হে সবার সঙ্গে, মুক্ত কর হে বন্ধ ..’ মূলসুরে ময়মনসিংহের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালায় ৮ থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি পযর্ন্ত শান্তি ও ন্যায্যতা উৎসব পালিত হয় । আয়োজন করে শান্তি মিত্র সংস্থা, এমসিসি এবং সহযোগী সংস্থা মাটি। ১০ এপ্রিল ছিল এর সমাপনী দিন।
সমাপনী দিনের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে সাবলম্বী উন্নয়ন সংস্থার নিবার্হী পরিচালক জনাব বেগম রোকেয়া বলেন “আমি বিশ্বাস করি শান্তির জন্য, সুন্দরের জন্য, সত্যের জন্য অনেক কষ্টের প্রয়োজন, সাহসের ও একতার প্রয়োজন সেগুলো হলে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আমি মনে করি । শান্তি শব্দটিকে আত্নিকভাবে যুক্ত না করা পযর্ন্ত শান্তি শব্দটি আসবে না । তিনটা উপাদান মানুষের মধ্যে থাকে । যেমন: ইট ( eat ), ইগো, সুপার ইগো । ইট যেটা সেটা মানুষের কামনা বাসনাকে চরিতার্থ করে । ইগো আমাদেরকে নিয়মতান্ত্রিকতার মধ্যে সীমাবন্ধ রাখে । ইট ও সুপার ইগোর মধ্যে ব্যালেন্স রাখে ইগো ।”
কারিতাস ময়মনসিংহের আঞ্চলিক পরিচালক অপূর্ব ম্রং বলেন, “আমি যদি অন্যের কাছে ভালোবাসা প্রত্যাশা করি তাহলে আমাকে আগে অন্যকে ভালোবাসতে হবে । অন্যের কাছে শ্রদ্ধা পেতে হলে অন্যকে শ্রদ্ধা দেখাতে হবে । তাই এসব বিষয় গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ন । ওয়াই ফাই যুগের হাইফাই সময়ে নিজেদের পরিবারের জন্য সময় দেওয়াটা অনেক কষ্টের হয়ে দাড়িয়েছে । পরিবার শিশুর মানসিক গঠনে ভুমিকা রাখে । তাই পরিবারে শান্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন । পরিবারে শান্তি থাকলে সমাজ ও সারা দেশ শান্তিতে থাকবে ।”
সমাপনী সন্ধ্যার প্রধান অতিথি ময়মনসিংহ পৌরসভার মেয়র ইকরামুল হক টিটু বলেন, “এই পৃথিবীতে মহান সৃষ্টি দাতা হাজারো জীব সৃষ্টি করেছেন । কিন্তু তার মধ্যে শুধু মানুষকে এই পৃথিবী গড়ার দায়িত্ব দিয়েছেন । তাই পৃথিবীকে শান্তিময় করার জন্য আমাদের প্রত্যেকের এগিয়ে আসতে হবে । আমরা তখনি শান্তিতে থাকবো যখন আমরা অন্যকে শান্তিতে রাখবো। আমরা যদি সমাজে ভালো কাজ কারি তাহলে তার ইতিবাচক প্রভাব আমাদের উপর পড়বে । আর যদি খারাপ কাজ করি তার নেতিবাচক প্রভাবও আমাদের উপর পড়বে । শান্তি ও ন্যায্যতা একে অপরের সাথে যুক্ত। কারন অধিকার আমাদের জীবনকে গতিময় করে । আমরা যখন অধিকারকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করি তখনি প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয় এবং প্রতিবন্ধকতা হলে সমাজে অশান্তি বিরাজ করে ।”
এছাড়াও এই কর্মশালায় বিভিন্ন চিত্রশিল্প, চলচিত্র ও আলোকচিত্র এর প্রর্দশনী হয়ে থাকে । আরো শিশুদের জন্য খেলার ছলে শান্তি শিক্ষা প্রদান ও অংকনের ব্যবস্থা করা হয় ।
আরবি/আরপি/১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮