শিরোনাম :
তুমিলিয়া বহুমুখী সমবায় সমিতির ৩২তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
ডিসিনিউজ ।। ঢাকা
অনুষ্ঠিত হলো তুমিলিয়া ধর্মপল্লী খ্রীষ্টান বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ-এর ৩২তম বার্ষিক সাধারণ সভা।
১৩ নভেম্বর সকাল ১১টায় তেজগাঁও চার্চ কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সাধারণ সভায় সমিতির চেয়ারম্যান তমাল গমেজের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ-এর স্টুডেন্ট কাউন্সিলর ও মেইনটেনেন্স ডিরেক্টর ফাদার এডমন ক্রুশ সিএসসি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট পংকজ গিলবার্ট কস্তা, মেট্রোপলিটন থানা সমবায় অফিস তেজগাঁওয়ের নিরীক্ষক রেজাউল বারী, কাককো লিঃ-এর ভাইস-চেয়ারম্যান অনিল লিও কস্তা, তুমিলিয়া ক্রেডিটের চেয়ারম্যান ফ্রান্সিস পি. রোজারিও (বাবু), ভাইস-চেয়ারম্যান প্রদীপ ভিনসেন্ট রিবেরু, দড়িপাড়া ক্রেডিটের চেয়ারম্যান ডেনিস আলেকজান্ডার কস্তা, চড়াখোলা ক্রেডিটের সেক্রেটারি রিগ্যান মাইকেল পেরেরাসহ আরো অনেকে।
সভাপতির স্বাগত বক্তব্যে তমাল গমেজ বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থিত সদস্যদের ধন্যবাদ জানান। সেই সাথে ধন্যবাদ জানান যারা বিভিন্ন সময়ে সমিতি এগিয়ে নিতে সহায়তা করেছে। এ সময় তিনি সমিতির বিভিন্ন ধরণের কার্যক্রমের বিষয় তুলে ধরেন।
বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফাদার এডমন ক্রুশ সিএসসি বলেন, ‘আমি আজ আপনাদের মাঝে আসতে পেরে অনেক আনন্দিত। সমিতির কার্যক্রমের দিকে নজর দিলেই এর সাফল্য বুঝতে পারা যায়। খুব অল্প সময়ের মধ্যে সমিতিটি অনেক সফলতা অর্জন করেছে। বর্তমান বোর্ড দক্ষতার সাথে সমিতিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এই করোনা মহামারীর মধ্যেও কর্মকর্তারা দক্ষতার সাথে সমিতিকে পরিচালনা দিয়েছেন। করোনায় ক্ষতি হলেও এই সমিতি সদস্যদের অন্যবারের তুলনায় এই বছর বেশি লভ্যাংশ প্রদান করছে, যা সত্যিই প্রশংসনীয়।’
ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট পংকজ গিলবার্ট কস্তা বলেন, ‘তুমিলিয়া ধর্মপল্লী খ্রীষ্টান বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ এখন ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে। অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে আজ এই অবস্থানে এসেছে। বর্তমান বোর্ডও এই সমিতিকে সুন্দরভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছে। এজিএম রিপোর্টের মাধ্যমে আমরা সমিতির উন্নয়নগুলো দেখতে পাই। আমাদের সমাজে গড়ে ওঠা সমবায় প্রতিষ্ঠানগুলো এখন অনেক বড় হয়েছে। তাই সময় এসেছে আমাদের মধ্যে সহযোগিতার হাত প্রসার করার। তুমিলিয়া বহুমুখী সমিতি ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে এবং সফলতার সাথে এগিয়ে যাচ্ছে। তাই এখন থেকেই আমাদের এই সমিতির নতুন নতুন আয়মূলক প্রকল্প ও প্রডাক্ট নিয়ে ভাবতে হবে। সেই সাথে উৎপাদশীল খাতে ঋণ প্রদান করতে হবে। বর্তমানে আমাদের সমিতিগুলোর ঋণখেলাপী একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তাই এই বিষয়গুলো সচেতনভাবে পর্যালোচনা করতে হবে। আজকের এই বার্ষিক সাধারণ সভায় আমার পক্ষ থেকে ও ঢাকা ক্রেডিটের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানাই।’
এ ছাড়াও এদিন অন্যান্য বক্তারাও সমিতির কার্যক্রমের প্রশংসা করেন ও সহযোগিতামূলক অংশগ্রহণের আশ্বাস দেন।
এ দিন সমিতির পক্ষ থেকে অতিথিদের সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
বার্ষিক সাধারণ সভায় ঢাকা ক্রেডিট থেকে বোর্ড অব ডিরেক্টর মনিকা গমেজ, আনন্দ ফিলিপ পালমা ও ক্রেডিট কমিটির চেয়ারম্যান সুকুমার লিনুস ক্রুশ অংশগ্রহণ করেন।
বার্ষিক সাধারণ সভার শুরুতে জাতীয় সঙ্গীতের সাথে জাতীয় ও সমবায় পতাকা উত্তোলন, প্রার্থনা, মৃত সদস্যদের আত্মার কল্যাণে প্রার্থনা ও নিরবতা পালন এবং অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।
এরপর পর্যায়ক্রমে বিগত বার্ষিক সাধারণ সভার কার্যবিবরণী পাঠ ও অনুমোদন; ব্যবস্থাপনা কমিটির কার্যক্রমের প্রতিবেদন উপস্থাপন, পর্যালোচনা ও অনুমোদন; আর্থিক বিবরণী উপস্থাপন, পর্যালোচনা ও অনুমোদন, ঋণদান কমিটির প্রতিবেদন উপস্থাপন, পর্যালোচনা ও অনুমোদন, পর্যবেক্ষণ কমিটির প্রতিবেদন উপস্থাপন, পর্যালোচনা ও অনুমোদন এবং উপ-আইন সংশোধনী বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
শেষে সমিতির ভাইস-চেয়ারম্যান টেরেন্স প্যাট্রিক পালমা বার্ষিক সাধারণ সভায় সকলের সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানান। বার্ষিক সাধারণ সভা সঞ্চালনা করেন সমিতির সেক্রেটারি মিল্টন লিও কস্তা।
এ দিন সদস্যদের মাঝে লটারী ড্র অনুষ্ঠিত হয়।