শিরোনাম :
তেজগাঁও গির্জায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ প্রার্থনা (ভিডিও)
ডিসিনিউজ ॥ ঢাকা
তেজগাঁও গির্জায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আওয়ামী লীগ সভাপতি, ও জাতির পিতা বঙ্গুবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশন ও খ্রীষ্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট। পবিত্র খ্রিষ্টযাগে বিশেষ প্রার্থনা করেন তেজগাঁও ধর্মপল্লীর সহকারী পাল-পুরোহিত কল্লোল এল. রোজারিও।
ফাদার কল্লোল বলেন, ‘আজ সকলের আনন্দের দিন। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানোর দিন। ঈশ^র আমাদের জন্য শেখ হাসিনাকে পাঠিয়েছেন, দেশ পরিচালনার জন্য তাঁকে দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন। তাঁর জন্মদিনে তাঁর জন্য প্রার্থনা করি তিনি যেন দীর্ঘজীবী হন।’
বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ও খ্রীষ্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব নির্মল রোজারিও প্রধানমন্ত্রীকে জাতির পিতা বঙ্গুবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যোগ্য উত্তরসূরি উল্লেখ করে জন্মদিনের আলোচনায় বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। এটা আমাদের দেশের জন্য অত্যন্ত সৌভাগ্যের ও গর্বের।’ তিনি বর্তমান সরকারের সকল কর্মসূচিতে সবায়কে প্রত্যেক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।
প্রার্থনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের (বিসিএ) মহাসচিব ইগ্নাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়া, যুগ্ম মহাসচিব জেমস সুব্রত হাজরা, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক থিওফিল রোজারিও, বিসিএ’র বনানী থানা শাখার সেক্রেটারি পিটার রতন কোড়াইয়া, ঢাকা ক্রেডিটের ক্রেডিট কমিটির সদস্য উমা ম্যাগডেলিন গমেজ, এসোসিয়েশনের ব্রাক্ষণবাড়িয়া থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক মলয় নাথ প্রমুখ।
স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার বড়ো সন্তান শেখ হাসিনা। ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ, গড় আয়ু বৃদ্ধি, শিশুমৃত্যুর হার কমানো, নারীশিক্ষায় অগ্রতি এবং মানবসম্পদ উন্নয়নের সূচকে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগতি হয়েছে। পাশাপাশি নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ, উড়ালসড়ক, মেট্রোরেল, কর্ণফুলি টানেল, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে উন্নয়ন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে রেকর্ড, জিডিপির ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধিসহ জাতীয় জীবনের নানা ক্ষেত্রে তাঁর সরকারের সাফল্য রয়েছে।
১৯৯৬ সালের ১২ জুনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। তাঁর সরকারের আমলে ভারতের সঙ্গে স্বাক্ষরিত হয় ঐতিহাসিক গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি। সম্পাদিত হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি। বাংলাদেশ অর্জন করে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা। জাতীয় প্রবৃদ্ধি ৬.৪ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। মুদ্রাস্ফীতি নেমে আসে ১.৫৯ শতাংশে। দারিদ্র্য হ্রাস পায়। খাদ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, ক্রীড়াসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ইতিহাসে শেখ হাসিনার প্রথমবারের (১৯৯৬-২০০১) শাসনকাল চিহ্নিত হয় ৭৫-পরবর্তী সময়ের স্বর্ণযুগ হিসেবে।
শেখ হাসিনার জীবনে বাধা বিপত্তি এসেছে কিন্তু তিনি থেমে যাননি। তাঁকে হত্যার উদ্দেশে অন্তত ২২ বার হামলা হয়। ২০০৪ সনে সৌভাগ্যক্রমে তিনি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় বেঁচে যান।
গত ২১ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশনস নেটওয়ার্ক (এসডিএসএন) দারিদ্র্য দূরীকরণ, পৃথিবীর সুরক্ষা এবং সবার জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ গ্রহণের সর্বজনীন আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশের সঠিক পথে অগ্রসরের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার’ প্রদান করা হয়। সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশনস নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘ক্রাউন জুয়েল’ বা ‘মুকুট মণি’ অভিধায় ভূষিত করা হয়।
এ ছাড়াও তিনি নানা সম্মান ও পদকে ভূষিত হয়েছেন তার নিঃস্বার্থ দেশ সেবার জন্য।