শিরোনাম :
তেজগাঁয়ে ফা: চার্লস জে. ইয়াং ফাউন্ডেশনের যুব সেমিনার
ডিসিনিউজ ।। ঢাকা
‘আগামী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নিজেকে প্রস্তুত করি’ স্লোগানে অনুষ্ঠিত হলো যুব সেমিনার।
২০ মে, তেজগাঁও চার্চের মাদার তেরেজা হলরুমে ফা: চার্লস জে. ইয়াং ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এই যুব সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘মূল্যবোধ, পেশা নির্বাচন ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্ক।’ সার্বিক সহযোগিতায় ছিল ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশীয় বিসিএসএম এবং দি খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি:, ঢাকা।
সকালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট পংকজ গিলবার্ট কস্তা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি লিটন টমাস রোজারিও, ট্রেজারার আলবার্ট আশিস বিশ্বাস, ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশীয় বিসিএসএম’র চ্যাপলেইন ফাদার নয়ন গোছাল, ফাউন্ডেশনের সদস্য ইগ্নাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়া, ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডমিনিক রঞ্জন পিউরীফিকেশন, ঢাকা ক্রেডিটের বোর্ড অব ডিরেক্টর আনন্দ ফিলিপ পালমা, ক্রেডিট কমিটির চেয়ারম্যান সুকুমার লিনুস ক্রুশ, বিসিএসএম ঢাকা’র প্রতিনিধি প্রান্ত ক্রুশসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আগত যুবক-যুবতীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
শুরুতেই মঙ্গলদ্বীপ প্রজ্জ্বলন করে প্রধান অতিথি পংকজ গিলবার্ট কস্তা সেমিনারের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। প্রধান অতিথির সাথে অন্যান্য অতিথিবৃন্দরাও মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলনে অংশগ্রহণ করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দরা অংশগ্রহণকারীদের সেমিনারে অংশগ্রহণের জন্য অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানান। সেই সাথে এই সেমিনার থেকে যেন ভবিষ্যতের জন্য নিজেকে গড়ে তোলার দিকনির্দেশনা লাভ করতে পারেন সেই আহ্বান জানান।
‘ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে প্রত্যেককেই পূর্ব থেকে প্রস্তুতি নিতে হবে এবং তার জন্য এখন থেকেই সকলের প্রস্তুত হতে হবে। বর্তমানে ব্যাপক প্রতিযোগিতার মধ্যদিয়ে যেতে হয়, তাই এখনই ভবিষ্যতের চ্যাঞ্জেলগুলো মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুতির কোনো বিকল্প নেই। এ ছাড়াও বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে ভাল সম্পর্ক গড়ে তুলে ভবিষ্যতের জন্য পেশা নির্বাচন ও সম্পর্ক উন্নয়ন করতে হবে’ বলেন বক্তারা।
সেমিনারে ফাদার তুষার জেমস গমেজ- নৈতিক মূল্যবোধ, জয় রোজারিও- পেশা নির্বাচন, লিটন টমাস রোজারিও- ঢাকা ক্রেডিটসহ অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্ক, স্বপ্নীল লুইস ক্রুশ- যুব আন্দোলন কি এবং কেন বিষয়গুলো নিয়ে সহভাগিতা করেন।
সেমিনারে খেলাধুলা, দলীয় কাজ, আলোচনা, উপস্থাপনাসহ বিভিন্ন ইভেন্টে যুবারা অংশগ্রহণ করেন।
সেমিনারের শেষাংশে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে সেরা তিন জন অংশগ্রহণকারীকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
