শিরোনাম :
দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ করতে হবে, অন্যথায় আইনী ব্যবস্থা : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে তাদের অভিযোগ প্রমাণ করতে হবে, অন্যথায়, তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা প্রায়শই দুর্নীতির অভিযোগে ভাইস চ্যান্সেলরদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন, তাদেরকে অবশ্যই অভিযোগ প্রমাণ করতে হবে। যদি, তারা তা প্রমাণ করতে পারে তবে, উপাচার্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অন্যথায়, অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আজ তাঁর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে একথা বলেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতর অভিযোগে সৃষ্ট অশান্ত পরিস্থিতির পটভূমিতে এ মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোন রকম আইনগত ভিত্তি ছাড়া আন্দোলনের নামে ক্লাস বন্ধ, ভিসিদের বাসভবন ও কার্যালয়ে হামলা বরদাশত করা হবে না।
কোন উন্নয়ন প্রকল্প নেয়া হলে সচরাচর দুর্নীতির অভিযোগ উঠে একথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ ঠিকভাবে বন্টন না হলে অভিযোগ উঠতে পারে বলে শোনা যায়।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বুয়েটের শিক্ষার্থীরা একজন ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় আন্দোলন করছে। এই হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার এবং মামলা দায়েরের পর এই আন্দোলন অব্যাহত রাখার কোন যুক্তি আমি দেখি না।
প্রধানমন্ত্রী একটি স্কুলে প্রথম আলো আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আয়োজকদের অবহেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঢাকা রেজিডেন্সিয়াল স্কুল ও কলেজের এক ছাত্রের মৃত্যুর নিন্দা করেন।
তিনি বলেন, ‘তারা (প্রথম আলো) কিভাবে এ ধরনের অবহেলা করতে পারে। স্কুল শিক্ষার্থীরা যেখানে ঘোরাফেরা করছে সেখানে এই ধরণের একটি অনুষ্ঠান আয়োজনে তাদের কোন দায়িত্বশীলতা ছিল না। এটি একটি গুরুতর অভিযোগ, এটি সহ্য করা যায় না।”
অনুষ্ঠানস্থলের আশপাশেই শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স এবং ট্রমা সেন্টারের মতো হাসপাতাল থাকা সত্ত্বেও ছাত্রটিকে মহাখালিতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী প্রথম আলো কতৃপক্ষের সমালোচনা করেন।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এবং তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন। তথ্য সচিব আবদুল মালেক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. নজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ এবং প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিশিষ্ট সাংবাদিক আবেদ খান, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি মোল্লা জালাল এবং সাধারণ সম্পাদক শাবান মাহমুদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি আবু জাফর সূর্য এবং সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, বিটিভি’র মহাপরিচালক এসএম হারুনুর রশিদ, পিআইবি’র মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ঠিলেন। (বাসস)