শিরোনাম :
দেশ সোনার মানুষ পাবে,শিশুরা নৈতিক শিক্ষা পেলে
পাঠ্যপুস্তকের পাশাপাশি শিশুদের নৈতিক শিক্ষায়ও সমৃদ্ধ করতে হবে। তাহলে ভবিষ্যতে আমরা সোনার মানুষ পাব। দেশ পরিণত হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায়। বাংলাদেশের শান্তি-সম্প্রীতি আরও সমৃদ্ধ হবে।
মানবিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতা সম্পন্ন জাতি গঠনে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের ভূমিকা শীর্ষক এক কর্মশালায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
বরিশাল নগরীর বগুড়া সড়কে কবি জীবনানন্দ দাশ মিলনায়তনে বুধবার দিনব্যাপী এ কর্মশালার আয়োজন করে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, শিশু শিক্ষার্থীদের মনে ধর্মের মূল শিক্ষার বীজ বপন করতে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের গুরুত্ব অপরিসীম। শিশুরা যাতে কুসংস্কার থেকে দূরে থাকে এবং সম্প্রীতির শিক্ষায় আলোকিত হয় সে ব্যাপারে কেন্দ্র শিক্ষকদের বিশেষ জোর দিতে হবে। কারণ, প্রত্যেক ধর্মই শান্তির ধর্ম। শিশুরা যদি ধর্মগ্রন্থের প্রকৃত বাণী ধারণ করে বড় হয় তাহলে দেশে সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতি আরও সমৃদ্ধ হবে।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতির দেশ। আর সে কারণে সকল ধর্মের অনুষ্ঠান এখন পরিণত হয় সার্বজনীন উৎসবে। দেশের এ সম্প্রীতি কেউ যাতে বিনষ্ট করতে না পারে সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন- বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার রাম চন্দ্র দাস। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের প্রকল্পের পরিচালক অতিরিক্ত সচিব রঞ্জিত কুমার দাশ, বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাকিবুল ইসলাম ও হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি অধ্যক্ষ বিপুল বিহারী হালদার।
প্রকল্পের বরিশালের সহকারী পরিচালক দেবারশীষ দাসের সঞ্চালনায় কর্মশালায় সভাপত্বি করেন জেলা প্রশাসক এস.এম অজিয়র রহমান।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সমাজসেবী বিজয় কৃষ্ণ দে, অধ্যক্ষ তপংকর চত্রক্রবর্তী, মুক্তিযোদ্ধা মুকুল মুখার্জি প্রমুখ। কর্মশালায় ১৫০ জন কেন্দ্রশিক্ষক, অভিভাবক, প্রশাসনের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেন।