শিরোনাম :
দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে পাবনা শহরে গির্জাঘরের নির্মাণ কাজ
পাবনার হেমায়েতপুরে স্কয়ার গ্রুপের খামার বাড়ির দক্ষিণ প্রাচীর সংলগ্ন এলাকায় নির্মিত হচ্ছে কাথলিক খ্রিষ্টানদের আরেকটি নতুন উপাসনালয়।
১৯ মে, পাবনার ফৈলজানা ধর্মপল্লীর অধীনস্থ এ গির্জার ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন ফৈলজানা ধর্মপল্লীর পাল পুরোহিত প্রদীপ যোসেফ কস্তা। দ্রুততার সাথে এগিয়ে চলছে এটির নির্মাণ কাজ।
ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনকালে উপস্থিত ছিলেন ধর্মপল্লীর সিস্টারগণ, পালকীয় পরিষদের সদস্যবৃন্দ, পাবনার খ্রিষ্টভক্তগণ এবং গোপালপুর ধর্মপল্লীর পাল পুরোহিত লিটন কস্তা।
এর আগে ২০০৬ সালে ফাদার অ্যাঞ্জেলো কান্তন পিমে ফৈলজানা ধর্মপল্লীতে অবস্থানকালে পাবনায় জমি কিনেন। তার স্বপ্ন ছিল গির্জাঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করার।যেন শহরে অবস্থানরত খ্রিষ্টভক্তরা প্রার্থনা, উপাসনা করার সুযোগ পায়।
গির্জার নির্মাণ কাজ তাড়াতাড়ি শেষ হবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, গির্জাঘর হওয়ার পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও নির্মাণ করা হবে।
গত ৫ জুন রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের বিশপ জের্ভাস রোজারিও নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন।
ফৈলজানা ধর্মপল্লীর পালকীয় পরিষদের সেক্রেটারি আব্রাহাম কস্তা ডিসিনিউজকে বলেন, ‘পাবনায় কর্মরত যারা কাথলিক খ্রিষ্টান রয়েছে তারা পালকীয় সেবা পায় না। মিশন কাজের মধ্যে দিয়ে তারা পালকীয় সেবা পাবে। পাশাপাশি পাবনাতে কাথলিক খ্রিষ্টানদের পরিচিত বিস্তার লাভ করবে।’
পাবনা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক সুবল আলফ্রেড রোজারিও কর্মসূত্রে ২৫ বছর পাবনার কাচারীপাড়ায় থাকেন। তিনি ডিসিনিউজকে বলেন, ‘ফাদার অ্যাঞ্জেলো কান্তনের সাথে আলোচনা করে অনেক আগেই প্রস্তাব করি একটা মিশন করার। উনি পাবনায় জমি কিনেন। দীর্ঘ সময়ের পরিকল্পনার পর তা বাস্তবায়ন হচ্ছে। এতে আমরা পাবনাতে যারা কর্মসূত্রে আছি নিয়মিত উপাসনা করার সুযোগ পাব। প্রয়াত ফাদার অ্যাঞ্জেলো কান্তনের অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়িত হচ্ছে এতে আমরা সবাই আনন্দিত।’
সূত্রে জানা যায়, খুব শিঘ্রই পাবনা শহরের গির্জাটি খ্রিষ্টভক্তদের জন্য উদ্বোধন করা হবে। এতে পাবনা শহরবাসী উপকৃত হবে।
আরবি/আরপি/২০ জুন, ২০১৭