শিরোনাম :
নজরুল সংগীত শিল্পী কমল রড্রিক্সের নজরুল পুরস্কার লাভ
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২০তম জন্মবার্ষিকীতে নজরুল সংগীত শিল্পী যোসেফ কমল রড্রিক্স ‘নজরুল পুরস্কার-২০১৮’ লাভ করেছেন।
নজরুল গবেষণা ও সংগীত সাধানায় যাঁরা অনবদ্য অবদান রেখেছেন, তাঁদেরকে পুরস্কৃত করার উদ্দেশে নজরুল ইন্সটিটিউট আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের সম্মাননা দেওয়ার ব্যবস্থা করে।
১৪ জুন বিকাল ৫টায় বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে শিল্পী সেলিনা হোসেন এবং শিল্পী যোসেফ কমল রড্রিক্স ‘নজরুল পুরস্কার-২০১৮’ গ্রহণ করেছেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের কাছ থেকে।
প্রধান অতিথি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালেদ বলেন, কমল রড্রিক্সের গানে আলাদা একটা স্বকীয়তা আছে। নজরুল সংগীতকে ভালবেসে গান গেয়ে যাচ্ছেন তিনি। পুরস্কারের মাধ্যমে তাঁকে সম্মানিত করা হলো।
শিল্পী যোসেফ কমল রড্রিক্স ব্যক্তিগত অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, দর্শক-শ্রোতা যদি আমার গাওয়া গান না শুনতেন, আমাকে ভাল না বাসতেন, তাহলে আমি আজ এতোদূর অগ্রসর হতে পারতাম না। এই পুরস্কার প্রাপ্তি ভবিষ্যতে আমাকে আরো নজরুল সংগীত চর্চায় অনুপ্রেরণা জোগাবে।
তিনি খ্রীষ্টান সমাজে উদ্দেশ্যে বলেন, ‘যারা সংগীতের মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ে আসতে চান, তাদেরকে বিভিন্ন জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে হবে। একজন ব্যক্তির প্রতিভা যতটুকুই থাকুক না কেন, মূল্যায়ন করতে হলে তাকে মঞ্চে উঠতে হবে। পুরস্কার পাওয়াটা মূখ্য নয়, অংশগ্রহণটাই মূখ্য।’ জাতীয় পর্যায়ে খ্রিষ্টানদের অংশগ্রহণ অনেক কম বলে তিনি উল্লেখ করেন।
কমল রড্রিক্স শুধু জাতীয় সংগীত অঙ্গনেই নয়, খ্রিষ্টীয় সংগীত জগতেও তাঁর অবদান কম নয়। গীতবলীর বিখ্যাত গানগুলোর মধ্যে ‘শীত মাঝে এলো বড় দিন’, ‘আমি তোমার কাননের একটি ফুল’ ‘গেৎসিমানী ঘোর বনানী’ ইত্যাদি বিখ্যাত গানের সুর দিয়েছেন
১৯৮৫ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনটি ক্যাটাগরীতে নজরুল ইন্সটিটিউট ৪৩ জনকে সম্মনিত করেছেন। নজরুল-স্মৃতি পদক পেয়েছেন পাঁচজন, নজরুল পদক পেয়েছেন ১৩ জন ও নজরুল পুরস্কার ২৩ জন। তাদের মধ্যে খ্রিষ্টান সমাজের একজন যোসেফ কমল গমেজ।
পুরস্কার হিসেবে যোসেফ কমল রড্রিক্স পেয়েছেন একটি ক্রেস্ট, এক লক্ষ টাকা ও একটি সনদ।