শিরোনাম :
নাসিরনগরের ক্ষতিগ্রস্ত হাওরবাসীদের সরকারি সহায়তার আওতায় আনার দাবিতে মানব বন্ধন
ক্ষতিগ্রস্ত হাওরবাসীকে সরকারি সহায়তার আওতায় আনার জন্য ঢাকাস্ত নাসিরনগরবাসী আজ প্রেসক্লাবের সামনে এক মানব বন্ধনে এই দাবি উত্থাপন করেন।
সুনামগঞ্জ, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ ও ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া প্রশাসনিক জেলার বিভিন্ন অংশে বিস্তৃত আঞ্চলে রয়েছে হাওর আঞ্চল। বিগত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে এ সকল হাওরের বাধগুলো ভেঙ্গে পানি ঢুকে যাওয়াতে পানির নিচে তলিয়ে যায় কৃষকের ধানী জমিসহ ফসলী ক্ষেত। দুর্বিসহ দিন কাটাচ্ছে স্থানীয় কৃষক এবং সাধারণ মানুষ। কেউই ঘরে তুলতে পারেনি ক্ষেতের ফসল। ফলে অনাহারে, অর্ধাহারে দিন কাটছে তাদের।
অথচ ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া ছাড়া অন্য জেলাগুলোতে সরকারি ত্রাণ বরাদ্দ করা হয়েছে। এতে হতাশ হয়েছে ক্ষতির সম্মুখীন ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের কৃষকরা।
নাসিরনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের মেদির হাওর, গোয়ালনগর ইউনিয়নের উত্তর গাডের হাওর, পাতালপুর হাওরসহ বিভিন্ন বিলের একমাত্র বোরো ফসল তলিয়ে গেছে বলে ডিসিনিউজকে জানান গোয়ালনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আজহারুল হক। তিনি জানান, এ পর্যন্ত তারা কোনো সরকারি সহায়তা পায়নি। গোয়ালনগর ইউনিয়েনর চারিদিকে নদী বেষ্টিত হওয়ায় খুব সহজেই এ এলাকা তলিয়ে যায় বলে আজহারুল উল্লেখ করেন।
গোয়ালনগরের কৃষক মো. সফুর উদ্দিন জানান, চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা খরচ করে এক বিঘে জমিতে আবাদ করা ধান সবই তলিয়ে গেছে হাওরের পানিতে। তিনি সামান্য পরিমান ফসলও ঘরে তুলতে পারেননি।
ঢাকাস্থ নাসিরনগর উপজেলা সমিতির শিক্ষা ও ছাত্রকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মো. কামাল হোসেন বলেন, আজকের এই মানববন্ধন সম্পূর্ণ মানবিক মূল্যবোধ থেকে। ক্ষতিগ্রস্ত নাসিরনগরবাসীর কৃষকরা যেন সরকারি ত্রাণ সহায়তা পায় এটাই আমাদের দাবি।
হাওরের বিপর্যয় এবং সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ এদেশে নতুন নয়। প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ এই দুর্ভোগের শিকার হয়ে আসছে। স্থানীয় কৃষকরা বলছেন আবাদ করা ধানের প্রায় ৯০ শতাংশ এবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
একটানা ভারি বর্ষণের ফলে হাওর এলাকার বিভিন্ন বাধ ভেঙ্গে পানি ঢুকে যায় কৃষকের ফসলের জমিতে আর তাতেই নেমে আসে মানুষের এই চরম দুর্ভোগ।
আরবি/আরপি/২৬ এপ্রিল, ২০১৭