শিরোনাম :
পদ্মাসেতু প্রকল্পটির বাস্তবায়নে দীর্ঘ বিলম্ব হতে পারে
বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতুর নির্মাণকাজ এ বছরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রকল্পটি বাস্তবায়নে দীর্ঘ বিলম্ব হতে পারে।
পুরো কাজ সম্পন্ন করে যানচলাচল শুরু হতে ২০২২ সাল লেগে যেতে পারে বলেও ধারণা দিয়েছে চীনা প্রকৌশলীরা।
পদ্মা নদীর জাজিরা প্রান্তে ৫টি স্প্যান বসানোয় বর্তমানে মূল সেতুর মাত্র ৭৫০ মিটার দৃশ্যমান হয়েছে। কিন্তু ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতুর নির্মানে এখনো বহু কাজ বাকি।
সেতুর মোট ৪২টি খুঁটির মধ্যে দুই তীরে ১৬টি করে মোট পাইল রয়েছে ৩২টি। এর মধ্যে ২০টি সম্পন্ন হয়েছে। আর নদীতে ৪০টি খুঁটির ২২টিতে সাতটি করে এবং ১৮টির ছয়টি করে মোট ২৬২টি পাইল রয়েছে। যার অর্ধেকের বেশি অর্থাৎ ১৫০টি বসে গেছে।
দ্বিতল পদ্মা সেতু হচ্ছে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরার মধ্যে। মূল সেতুর দৈর্ঘ্য (পানির অংশের) ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। ডাঙার অংশ ধরলে সেতুটি প্রায় নয় কিলোমিটার দীর্ঘ হবে।
খুঁটির ওপর ইস্পাতের যে স্প্যান বসানো হবে, এর ভেতর দিয়ে চলবে ট্রেন। আর ওপর দিয়ে চলবে যানবাহন। পুরো সেতুতে মোট খুঁটির সংখ্যা হবে ৪২টি। ১৫০ মিটার লম্বা ইস্পাতের কাঠামো বা স্প্যান জোড়া দিয়েই সেতু নির্মিত হবে। মোট ৪২টি খুঁটির ওপর এ রকম ৪১টি স্প্যান বসানো হবে। স্প্যানের অংশগুলো চীন থেকে তৈরি করে জাহাজে করে আনা হয় বাংলাদেশে। এরপর সেগুলো ফিটিং করা হয় মাওয়ার কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে।
আরবি.পিবি. ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮