শিরোনাম :
পরিচালনা পর্ষদের পক্ষ থেকে ঢাকা ক্রেডিট-কর্মীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন
ডিসিনিউজ || ঢাকা
ঢাকা ক্রেডিটের পরিচালনা পর্ষদ সমিতির কর্মীদের বিগত বোর্ডের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করে সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান।
২১ ডিসেম্বর, সকাল সাড়ে ১০টায় কর্মীদের জন্য এক ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা ক্রেডিটের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ। সাথে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ক্রেডিটের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট পংকজ গিলবার্ট কস্তা, বিদায়ী ভাইস-প্রেসিডেন্ট শীরেন সিলভেস্টার গমেজ, নবনির্বাচিত সেক্রেটারি হেমন্ত আই. কোড়াইয়া, বিদায়ী ট্রেজারার বিপুল লরেন্স গমেজ, নবনির্বাচিত ট্রেজারার রতন পিটার কোড়াইয়া, সিইও লিটন টি. রোজারিওসহ নবনির্বাচিত ও বিদায়ী কর্মকর্তাবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্যে ভাইস-প্রেসিডেন্ট শীরেন সিলভেষ্টার বলেন, ‘আজ আমরা হাসিখুশিভাবেই সবাই মিলে আলাপ-আলোচনা করবো। দীর্ঘ তিনটা বছর আমরা একসাথে কাজ করেছি। আমাদের অনেক সফলতা। বিগত নির্বাচনে সমিতির একটি ক্রান্তিকালের সূচনা হওয়ার পথে ছিল, তখন বোর্ডের সাথে আপনাদেরও নিরব সমর্থন ছিল। আপনাদের পেশাদারিত্ব নিয়ে সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানাই।’
‘২০০২ সালের পর থেকে ঢাকা ক্রেডিট অনেক পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমানে ৭৫টি প্রডাক্ট ও প্রকল্পসেবা নিয়ে আপনারা ঢাকা ক্রেডিটে কাজ করে যাচ্ছেন। বিগত বোর্ডকে আপনারা অনেক সহযোগিতা করেছেন। আপনাদের সকল সহযোগিতা ও সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ,’ বলেন বিদায়ী ভাইস-প্রেসিডেন্ট।
ঢাকা ক্রেডিটের সুপারভাইজরি কমিটির চেয়ারম্যান জন গমেজ বলেন, ‘দেখতে দেখতে আমাদের তিনটা বছর পার হয়েছে। এই তিনটি বছর আপনাদের সহযোগিতায় অনেক কাজ করেছি। অনেক সফলতা রয়েছে আমাদের।’
নবনির্বাচিত বোর্ড অব ডিরেক্টর সলোমন আই. রোজারিও বলেন, কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে ঢাকা ক্রেডিট এগিয়ে যাচ্ছে। তাদের সহযোগিতায় সমিতির লক্ষ্য পূরণ করে যাচ্ছে।
নবনির্বাচিত ট্রেজারার রতন পিটার কোড়াইয়া বলেন, ‘আপনাদের সাথে বিগত ছয়টি বছর কাজ করেছি। সবকিছুতেই আপনাদের সহযোগিতা ছিল। আমাদের দায়িত্ব পালনে আপনাদের নিকট থেকে যখন যা সহযোগিতা চেয়েছি, সব সময় পেয়েছি। আপনাদের সকল সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ।’
বিদায়ী ট্রেজারার বিপুল লরেন্স গমেজ দুই মেয়াদে ট্রেজারার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি কর্মীদের অপার সহযোগিতা পেয়েছেন উল্লেখ করেন। সর্বোচ্চ মেধা ও ত্যাগ দিয়ে তিনি কাজ করেছেন এবং কর্মীরাও নিয়মিত সহযোগিতা করার জন্য তিনি কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ডিভাইন মার্সি জেনারেল হাসপাতালের সিইও মেজর জেনারেল জন গমেজ (অব:)বলেন, ডিভাইন মার্সি জেনারেল হাসাপাতালে সরকারি অনুমোদনগুলো এক বছরের মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। যা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। এগুলো সম্ভব হয়েছে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজের জন্য।
নবনির্বাচিত সেক্রেটারি হেমন্ত আই. কোড়াইয়া বলেন, কর্মীরা সবাই ঢাকা ক্রেডিটেকে অনেক ভালোবাসেন। বিভিন্ন সময়ে কর্মীরা অনেক সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন। কর্মসংস্থানের জন্য ঢাকা ক্রেডিট একটি বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সেই সাথে বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য ঋণ প্রদান করা হচ্ছে। এই কাজগুলো সম্ভব হয়েছে বাবু মার্কুজ গমেজ এবং নির্মল রোজারিও’র নেতৃত্বে।
নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট পংকজ গিলবার্ট কস্তা বলেন, ‘বিগত ছয়টি বছর আপনাদের সযোগিতার জন্য ধন্যবাদ। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারতেন। তাঁর সময়েই বেশিরভাগ প্রকল্প গ্রহণ এবং জমি ক্রয় করা হয়েছে। এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের জন্য আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন। আমাদের সবচেয়ে বড় প্রকল্প ডিভাইন মার্সি জেনারেল হাসপাতাল, যা বাবু মার্কুজের নেতৃত্বের জন্যই শুরু হয়েছে। ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে আমরা হাসপাতাল উদ্বোধন করতে পারবো বলে আশা করছি।’
‘আমরা একটি ঢাকা ক্রেডিট টাওয়ার নির্মাণের প্রত্যাশা করি। কারণ, বর্তমান বিল্ডিংয়ে কাজ করা এখন অনেকটাই কষ্টের। এই ভবনে কর্মীদের সংখ্যা এখন অনেক বেশি। কর্মীরা অনেক ভালো কাজ করে, কিন্তু তাদের কাছ থেকে আরো কিছু প্রস্তাবও আশা করছি। বাবু মার্কুজ গমেজ ঢাকা ক্রেডিটকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিতি দিয়েছেন। শুধুমাত্র প্রচার প্রচারণার অভাবে আমাদের কোনো আন্তর্জাতিক অর্জন নেই। বাবু মার্কুজের কারণে ঢাকা ক্রেডিটে একটি শক্তিশালী মিডিয়া টিম হয়েছে। এখন ঢাকা ক্রেডিট প্রিন্ট এবং অনলাইন মিডিয়াতে প্রকাশ পাচ্ছে। আশা করি ঢাকা ক্রেডিট একদিন আন্তর্জাতিক পুরস্কার পাবে’ যোগ করেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট কস্তা।
ঢাকা ক্রেডিটের প্রধান নির্বাহী অফিসার লিটন টি. রোজারিও বলেন, প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ এমনই একজন নেতা, তিনি যা বলেন, তা-ই করেন। আত্মকর্মসংস্থান এবং উন্নত সমাজ বিনির্মাণে তিনি কাজ করে সফল হয়েছেন। কিছু পদক্ষেপ বাস্তবায়নের পথে রয়েছে।
ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে বিদায়ী প্রেসিডেন্টের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করে মানপত্র পাঠ করেন ঢাকা ক্রেডিটের সিও সুইটি সি পিউরীফিকেশন। এ ছাড়াও এদিন বিদায়ী কর্মকর্তাদের উপহারস্বরূপ বাংলা এবং ইংরেজি ভাষায় সংযুক্ত বাইবেল প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠান শেষে ধন্যবাদ বক্তব্য দেন সিও সুদান গাইন।