ঢাকা ,
বার : বুধবার
তারিখ : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলা : ১০ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা দেশ পরিবেশ সুরক্ষায় তৎপর চট্টগ্রামের পরিবেশ অধিদপ্তর।

পরিবেশ সুরক্ষায় তৎপর চট্টগ্রামের পরিবেশ অধিদপ্তর।

0
227

চট্টগ্রাম ও বিভাগের অন্যান্য জেলার পরিবেশ সুরক্ষায় পরিবেশ অধিদপ্তর তাদের তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে। এ বিষয়ে কড়া নজরদারিও রয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তরের।

ক্রমশঃ জলবায়ুর নেতিবাচক পরিবর্তন মোকাবেলা ও পরিবেশ সুরক্ষায় পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় কর্তৃপক্ষ নিয়মিত অভিযান পরিচালনাসহ পরিবেশবান্ধব বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ও বাস্তবায়ন করছে।

সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম অঞ্চলের পাহাড় কাটা, কর্ণফুলী, হালদা, সাঙ্গু ও মাতামুহুরীসহ অন্যান্য নদী ও ঐতিহ্যবাহী চাক্তাই খাল দূষণ এবং ইটভাটাসহ বিভিন্নভাবে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। এসব দূষণ প্রতিরোধে পরিবেশ অধিদপ্তরের কড়া নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। পাহাড় রক্ষায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা, পাহাড়ে দখলদারদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের, পরিবেশ আইনে দায়ের করা মামলার তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ আজাদুর রহমান মল্লিক বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দশটি অগ্রাধিকার প্রকল্পের মধ্যে পরিবেশ সুরক্ষা অন্যতম। চট্টগ্রামে পরিবেশ রক্ষা ও সংরক্ষণে অধিদপ্তর কড়া নজরদারি অব্যাহত রেখেছে। এ কারণে নগরীর ক্লিনিক্যাল বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় পরিশুদ্ধতা এসেছে।

পরিবেশ সুরক্ষার অংশ হিসেবে এ বছরের জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত প্রথম পাঁচ মাসে পানি দূষণের বিরুদ্ধে দশটি বড় ধরনের অভিযান পরিচালিত হয়। পরিবেশের ক্ষতি সাধনের দায়ে এসব প্রতিষ্ঠানের ওপর ১৮ লাখ ৭০ হাজার টাকার ক্ষতিপূরণ আরোপ করে আদায় করা হয়েছে ১০ লাখ ১০ হাজার টাকা।

বায়ূ দূষণের বিরুদ্ধে চলতি বছর মে মাস পর্যন্ত ৩৫৪টি অভিযান চলে। এসব প্রতিষ্ঠানের ওপর ২ কোটি ৩০ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ আরোপ করে আদায় করা হয়েছে ১ কোটি ৩৩ লাখ ১৫ হাজার। পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ৯টি অভিযান চালানো হয়। এতে ক্ষতিপূরণ আরোপ করা হয় ২৪ লাখ ৬০ হাজার। ক্ষতিপূরণ আদায় করা হয় ১৬ লাখ ৪২ হাজার ২৮৮ টাকা।

পুকুর বা জলাশয় ভরাটের বিরুদ্ধে ৬টি অভিযান পরিচালনা করেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের কর্মকর্তারা। এতে ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ আরোপের মাধ্যমে আদায় করা হয় ৩ লাখ ২৫ হাজার।

একই সময়ে পরিবেশ দূষণের দায়ে শিপইয়ার্ডে ১৫টি অভিযান পরিচালনা করে এসব শিপইয়ার্ডকে ৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ আরোপ করা হয়। এর মধ্যে ৩১ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন জানান, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার তাগিদে পরিবেশ সুরক্ষার ক্ষেত্রে কোনো ছাড় নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ কারণে পরিবেশ সুরক্ষাকে ১০টি অগ্রাধিকার প্রকল্পে বিশেষভাবে স্থান দিয়েছেন।

পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের (মহানগর) সহকারী পরিচালক সংযুক্তা দাশ জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বর্ধিত সমুদ্রপৃষ্ঠে তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রভাবে বিশ্বব্যাপী ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের এ প্রভাব পরিবেশের সবখানে পড়ছে। এক্ষেত্রে পরিবেশের সঠিক সুরক্ষার কোন বিকল্প নেই।