শিরোনাম :
পুরান ঢাকার ফুটপাত হকারদের দখলে
ফুটপাত মানে, হেঁটে চলার পথ। কিন্তু পুরান ঢাকায় বাস্তবতা ভিন্ন। ফুটপাত মানেই হাট-বাজার, ফুটপাত মানেই সারি সারি হকার।
পুরান ঢাকার সদরঘাট, শাঁখারী বাজার, রায়সাহেব বাজার, পাটুয়াটুলি, বংশাল, তাঁতীবাজার, বাবুবাজার ও লক্ষীবাজার এলাকার ফুটপাত রয়েছে হকারদের দখলে।
পথচারীদের নামতে হচ্ছে সড়কে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হকার ও পথচারীর মধ্যে একটা সমন্বয় করতে হবে। হকারদের পুনর্বাসন করে ক্রমান্বয়ে সরিয়ে দিতে হবে।
পুরান ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক হয়ে বাহাদুর শাহ পার্ক এলাকা থেকে লক্ষ্মীবাজার পর্যন্ত সড়কের উভয় পাশে ফুটপাত ও রাস্তা দখল করে অবৈধভাবে বসেছে শতাধিক অস্থায়ী অবৈধ দোকান। এমনিতেই এ এলাকা ঘনবসতিপূর্ণ। আবার অন্যদিক দিয়ে বাণিজ্যিক এলাকা। তাছাড়া সড়কে মানুষ ও যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ লেগেই আছে। বর্তমানে ফুটপাত অবৈধভাবে দখল হয়ে যাওয়ায় চলাচল করতে পারছেন না পথচারীরা। প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন এলাকাবাসী। এ এলাকায় সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত রাস্তা দখল করে রমরমা ব্যবসা চালানো হচ্ছে। বিশেষ করে বিকাল ৪টার পর থেকে কাপড় ও কসমেটিক ব্যবসায়ীরা জমজমাট ব্যবসার আসর জমান লক্ষীবাজার এলাকায়।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ঢাকা গভর্নমেন্ট মুসলিম হাইস্কুলের সামনে থেকে লক্ষ্মীবাজার সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার্স গার্লস হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজে ও সেন্ট গ্রেগরি স্কুলের সামনে পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে ফুটপাত দখল করে আছে হরেক রকমের অসংখ্য দোকান। এসব দোকানে কেনাকাটা করতে প্রতিনিয়ত ভিড় করছেন ক্রেতারা। বিশেষ করে মেয়েরা বেশি ভিড় করে থাকেন। এসব ফুটপাতের দোকান বিকাল হলে সকালের তুলনায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায়। পর্যাপ্ত জায়গা না পেয়ে সড়কে চলাচল করছেন পথচারী ও আশপাশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এসব দোকানের ময়লা-আবর্জনা সড়ক ও ফুটপাতে ছড়িয়ে আছে।
সেন্ট গ্রেগরি স্কুলের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক লক্ষ্মীবাজারের স্থানীয় বাসিন্দা ইয়াসমিন আকতার। তিনি বলেন, ফুটপাতে দোকান বসায় চলাচলে অনেক অসুবিধা হয়। ফুটপাত দখলে থাকায় ঝুঁকি নিয়েই বাচ্চাদের সড়ক চলাচল করে স্কুলে যেতে হয়।
ফুটপাত যেহেতু পথচারীদের জন্য তাই দুই সিটি করপোরেশনের সঙ্গে হকারদের প্রায়ই উচ্ছেদ উচ্ছেদ খেলা চলে। বাস্তবে সে খেলায় জয়ী হয় হকাররাই। সংখ্যাটাও এতো বেশি যে তাদের সঙ্গে পেরে ওঠা যায় না। তবে হকাদের কথা বিকল্প ব্যবস্থা হলেই ছেড়ে দেবেন ফুটপাত।