ঢাকা ,
বার : সোমবার
তারিখ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলা : ৮ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা ঢাকা ক্রেডিট পেনশন বেনিফিট স্কীম : ঢাকা ক্রেডিটের একটি যুগান্তকারী সঞ্চয়ী প্রোডাক্ট

পেনশন বেনিফিট স্কীম : ঢাকা ক্রেডিটের একটি যুগান্তকারী সঞ্চয়ী প্রোডাক্ট

0
236

|| স্বপন রোজারিও ||

দি খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি:, ঢাকা (ঢাকা ক্রেডিট) ইতোমধ্যে বাংলাদেশের একটি অনুকরণীয় মডেল ক্রেডিট ইউনিয়ন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। আকর্ষণীয় প্রোডাক্ট ও প্রকল্প নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সদস্যদের পাশে থেকেছে সদা-সর্বদাই। ইদানিং ঢাকা ক্রেডিট নিয়ে এসেছে আরও একটি আকর্ষণীয় ও যুগান্তকারী সঞ্চয়ী প্রোডাক্ট ‘পেনশন বেনিফিট স্কীম’ বা পিবিএস। অবসরকালীন সময়ে কোন ব্যক্তিকে যাতে অন্যের উপর নির্ভরশীল না হয়ে বরং আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী ও সামাজিক মর্যাদাসম্পন্ন প্রশান্তিময় জীবন যাপন করতে পারেন সেই লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে এই স্কীমটি ইতোমধ্যে চালু করা হয়েছে। ক্রেডিট ইউনিয়নের জন্য এটি একেবারেই একটি নতুন ধারনা। ধারনা করি, ঢাকা ক্রেডিট ছাড়া বাংলাদেশের কোন ক্রেডিটই এই ধরনের সঞ্চয়ী প্রোডাক্ট চালু করে নি, এই দিক বিশ্লেষণে ঢাকা ক্রেডিটকে এ বিষয়ে পাইওনিয়ারের মর্যাদাও প্রদান করা যেতেই পারে। এখানে ‘পেনশন বেনিফিট স্কীম’ বা পিবিএস সম্পর্কে কিছু কথা বলার প্রয়াস পাচ্ছি।

এই হিসাবটির দুইটি পর্যায় রয়েছে। একটি জমা পর্যায় এবং একটি সুবিধা পর্যায়। জমা পর্যায়ে হিসাবধারী মাসিক হারে টাকা জমা প্রদান করবেন এবং সুবিধা পর্যায়ে হিসাবধারী মাসিক হারে সুবিধা প্রাপ্য হবেন। এটাও একটি নতুন ধারনা বলে বিবেচিত হচ্ছে। কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান সাধারণত: কোন সঞ্চয়ী প্রোডাক্টের টাকা আমানতকারীকে একবারে প্রদান করে থাকে। একবারে টাকা পেলে সেই টাকা দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেষ হয়ে যায়। কিন্তু এই স্কীমের টাকাটা মাসে মাসে পেলে তা মানুষের জন্য বেশী উপকারী।

এই হিসাবটি খুবই লাভজনক। এখানে ৫০০ টাকা, ১০০০ টাকা এবং হাজারে গুণিতক হারে সর্বোচ্চ ২৫,০০০ টাকা পর্যন্ত মাসিক হারে জমা প্রদান করা যায়। একজন হিসাবধারী ৬ বছর ৫০০ টাকা মাসিক হারে জমা প্রদান করলে পরবর্তীতে ৪ বছর মাসে মাসে ১১৩৮ হারে টাকা প্রাপ্য হবেন. এভাবে একজন হিসাবধারী ৩০ বছর ২৫,০০০ টাকা মাসিক হারে জমা প্রদান করলে পরবর্তীতে ২০ বছর মাসে মাসে ৩,৮২,২৭৫ টাকা হারে প্রাপ্য হবেন।

১৮-৬৫ বছর পর্যন্ত যে কোনো সঞ্চয়ী হিসাবধারী নির্ধারিত আবেদনপত্র পূরণ করে এক বা একাধিক হিসাব খুলতে পারবেন। এই হিসাবে প্রতি মাসে অথবা অগ্রিম হিসাবে টাকা জমা প্রদান করা যাবে। এই হিসাবে কোন মাসে জমা প্রদান না করা হলে জরিমানা দিতে হবে না তবে হিসাবের মেয়াদ পূর্তি ১ মাস পিছিয়ে যাবে। অন্যান্য সঞ্চয়ী হিসাবের মত এই হিসাবের জমাকৃত অর্থ নিজস্ব সাধারণ ঋণ অথবা পরিবারের যে কোনো একজনের ঋণের বিপরীতে জামিন প্রদান করা যায় এবং এ স্কীমের বিপরীতে জমার ৯০% ঋণ গ্রহণ করা যায় এবং ঋণের সুদের হার মাত্র ১২%।

১ বৎসর পর জমা বা সুবিধা চলাকালীন সময় হিসাবটি বন্ধ করা হলে নির্ধারিত হারে সরল সুদ প্রদান করা হবে। এই হিসাবধারীর মৃত্যু হলে নির্ধারিত সুদ প্রদান করা হবে। হিসাবের জমা ২৫% সম্পন্ন হওয়ার পর অথবা সুবিধা চলাকালীন সময়ে হিসাবধারীর মৃত্যু হলে তাঁর উত্তরাধীকারী (নমিনী) নিজ নামে সুদ সমেত হিসাবটি পরিচালনা করতে পারবেন। এটা একটি ব্যতিক্রমধর্মী সুযোগ যা শুধু এই সঞ্চয়ী প্রোডাক্টেই আছে।

সঞ্চয় মানুষের বিপদের দিনের বন্ধু। মানুষের জীবনে যত বেশী সঞ্চয় থাকে, সেই মানুষের জীবন তত বেশী নিরাপদ ও শক্তিশালী হয়। সুতরাং সঞ্চয় মানুষকে করতেই হবে। আর এই সঞ্চয় হোক ঢাকা ক্রেডিটের ‘পেনশন বেনিফিট স্কীম’ বা পিবিএস-এর মাধ্যমেই।