শিরোনাম :
আজ ১২ই জুন বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস। এই দিনের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো: ‘প্রজন্মের জন্য নিরাপত্তা ও সুস্বাস্থ্য।’
সঠিক পরিসংখ্যান আমার জানা নেই বাস্তবিকভাবে কত শিশু শ্রমিক হিসেবে কলকারখানায় অমানবিকভাবে শ্রম দিচ্ছে নিতান্তই দিনের তিনটি বেলা আহারের কারণে।
শুধু কলকারখানায় নয়; নিরীহ শিশুরা কাজ করছে মাঠে, কৃষিজমিতে, গৃহকর্মী হিসেবে শহরের চার দেওয়ালের মাঝে। আবার যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করছে অনেক শিশু। অভিভাবকহীন অনেক শিশু ভিক্ষা করছে রাস্তায় রাস্তায়; ছোট ছোট হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে প্রাইভেটকারের জানালা দিয়ে। গাড়ি স্পর্শ করার কারণে দমক খাচ্ছে গাড়ির মালিকের। খাদ্য কুড়াচ্ছে আস্তাবলে বা ময়লার স্তূপে। পলিথিনের ব্যাগ কাঁধে নিয়ে কাগজ কুড়োচ্ছে, ভাঙা দ্রব্যাদি কুড়িয়ে বিক্রি করছে ভাঙারি দোকানে। এসব কিছুই করছে মাত্র বেঁচে থাকার তাগিদে।
সারা দিন-রাত কাটাচ্ছে অনিরাপদ পার্কে বা মার্কেটের বারান্দায় বা প্লাস্টিক শিটের ঝুপরি ঘরে। নিরাপত্তাহীনতার কারণে কন্যাশিশুরা ধর্ষণের শিকার হচ্ছে অহরহ। ্এসব ভাসমান শিশুদের সুরক্ষা বা নিরাপত্তার জন্য যেসব দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে, তারা কতটুকু আন্তরিক, বাস্তবে কতটুকু পরিবর্তন করতে পারছে এসব ভাসমান শিশুর জীবনে, তা দৃশ্যমান নয়!!!
বিশ্ব নেতৃবৃন্দ, দেশের জাতীয় চেতনা ও সমাজের বিবেক শানিত হোক, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
রাফায়েল পালমা, ডিসিনিউজবিডি.কম