ঢাকা ,
বার : মঙ্গলবার
তারিখ : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলা : ৯ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা দেশ প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়ে বিশ্ব খাদ্য দিবস থানছিতে

প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়ে বিশ্ব খাদ্য দিবস থানছিতে

0
349

বান্দরবানের অত্যন্ত দূর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকা থানছি উপজেলা প্রশাসন, কারিতাস ও হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে ১৬ অক্টোবর ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস’ উদ্যাপন করা হলো। ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস’ উদ্যাপনের প্রাক্কালে বিশেষ করে দূর্গম ও প্রান্তিক মানুষের খাদ্য নিরাপত্তার উপর জোর দেন বক্তাগণ।

সরকারীভাবে প্রদত্ত মূলসুর ‘‘অভিবাসনের ভবিষ্যৎ বদলে দাও,খাদ্য নিরাপত্তা ও গ্রামীন উন্নয়নে বিনিযোগ বাড়াও”এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে একটি বর্নাঢ্য র‌্যালি থানচি উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে এবং র‌্যালী পরবর্তী এক আলোচনা সভা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, থানচি উপজেলা, মিসেস বকুলি মার্মা। সভাপতিত্ব করেন জনাব মো:নুরমোহাম্মদ, প্রধান শিক্ষক, থানচি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়। এছাড়াও বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী কর্মকর্তা ও কারিতাসের কর্মকর্তাবৃন্দ।

মূল সুরের আহ্বান হলো অভিবাসনের ভবিষ্যত বদলে দেয়া, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও গ্রামীণ উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়ানো। বক্তাগণ বলেন, আমাদের দেশে বিভিন্ন নির্যাতনের শিকার হয়ে, কর্মসংস্থানের সুযোগের অভাবে অথবা অধিক অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে গ্রাম থেকে শহরে পাড়ি জমাচ্ছে। ফলে একদিকে যেমন শহরে জনসংখ্যার চাপ সৃষ্টি হচ্ছে, অন্যদিকে গ্রামে বিনিয়োগ ও চাষাবাদ কমে যাচ্ছে। তাই শহরে বিনিযোগ না বাড়িযে গ্রামাঞ্চলে পতিত থাকা জমি সঠিক ব্যবহার করে সবজি, ধান, পশুপালন, মৎস্য খামার গড়ে তোলা, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহ, বাজারজাতকরন করে নিজের ও দেশের অবস্থা উন্নয়নে সর্বোপরি খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে অবদান রাখার আহ্বান জানান বক্তাগণ।

প্রধান অতিথি মিসেস বকুলী চাকমা বলেন, ‘শহরে অভিবাসিত না হয়ে গ্রামাঞ্চলে পরিবেশ উপযোগী চাষাবাদ বাড়িয়ে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে’।

ফরমালিন ও কীটনাশকযুক্ত ভেজাল খাবার বাজার থেকে ক্রয় না করে নিজের বাড়ির আশেপাশে পড়ে থাকা জমিতে খাদ্য উৎপাদন করে নিরাপদ খাবার গ্রহনের জন্য পরামর্শ রাখেন থানছি উপজেলার সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. ইদ্রিস।

প্রসঙ্গত, প্রতিবছর বান্দরবানসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত অর্থাৎ জুমের ফসল উঠার আগ পর্যন্ত মারাত্মক খাদ্য সংকট দেখা দেয়।

আরবি/আরপি/২১ অক্টোবর, ২০১৭