শিরোনাম :
প্রধানমন্ত্রীর কাছে দুই প্রস্তাব দিয়েছেন নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা
স্বীকৃতি পাওয়া দেশের সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার দাবিতে আমরণ অনশনের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দুটি প্রস্তাব দিয়েছেন নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা।
এর মধ্যে বরাদ্দ করা টাকা কম হলে সব প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির আওতায় এনে এবার আংশিক বেতন চালু করে পরবর্তী অর্থবছরে তা সমন্বয় করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে এমপিওভুক্ত না হওয়ায় দুর্বল হয়ে পড়া প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা যাচাইয়ের জন্য এমপিওভুক্তির পর তিন বছর সময় দিতে বলা হয়েছে।
আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিনয় ভূষণ রায়ের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল আমরণ অনশনের সপ্তম দিনে আজ রোববার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে এই প্রস্তাব দিয়ে আসে। একই সঙ্গে তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার অনুমতি চেয়েছেন।
পাশাপাশি শিক্ষকদের আমরণ অনশন অব্যাহত রয়েছে। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কের উত্তর পাশে এই অনশন চলছে। আজ সেখানে গিয়ে দেখা যায় অনেক শিক্ষক অসুস্থ হয়ে স্যালাইন নিয়ে শুয়ে আছেন। আজও ২৩ জন শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েন।
ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মাহমুদুন্নবী প্রথম আলোকে বলেন, সব প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির সুস্পষ্ট ঘোষণা না আসা পর্যন্ত তাঁদের কর্মসূচি চলবে।
আমরণ অনশনের আগে একই দাবিতে গত ১০ জুন থেকে তাঁরা লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হওয়ায় গত ২৫ জুন থেকে আমরণ অনশন শুরু করেন।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ আজ রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির প্রক্রিয়া চলছে। সম্পন্ন হলে জুলাই থেকে শিক্ষকেরা এমপিও প্রাপ্য হবেন। মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের তিনটি পাঠ্যপুস্তক (বাংলা সাহিত্যপাঠ, বাংলা সহপাঠ এবং ইংলিশ ফর টুডে) বাজারজাতকরণ ও বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সর্বশেষ ২০১০ সালে ১ হাজার ৬২৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছিল। বর্তমানে স্বীকৃতি পাওয়া নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে ৫ হাজার ২৪২টি। এগুলোতে শিক্ষক-কর্মচারী ৭৫ থেকে ৮০ হাজার।
যেসব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের মাসে বেতন-ভাতা বাবদ সরকারি অংশ (মূল বেতন ও কিছু ভাতা) দেওয়া হয়, সেগুলোকে এমপিওভুক্ত বলা হয়। আর যেগুলো এমপিওভুক্ত নয়, সেগুলোর শিক্ষক-কর্মচারীরা সরকার থেকে কোনো আর্থিক সুবিধা পান না।
আরবি.আরপি. ২ জুলাই ২০১৮