ঢাকা ,
বার : বৃহস্পতিবার
তারিখ : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলা : ১২ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা দেশ প্রয়াত পিটার গোমেজের স্মরণে পাদ্রীশিবপুর ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের শোক সভা পালন

প্রয়াত পিটার গোমেজের স্মরণে পাদ্রীশিবপুর ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের শোক সভা পালন

0
273

পাদ্রীশিবপুর ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন আজ বিকাল ৪টায় প্রয়াত পিটার গোমেজের স্মরণে তেজগাঁও চার্চ কমিউনিটি সেন্টারে শোক সভার আয়োজন করা হয়।

সভার শুরুতে পিটার গোমেজের স্মরণে জীবিত থাকার ৭০ বছরের জন্য ৭০ টি মোমবাতি প্রজ্জলন করা হয়। পরে তাঁর স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান শুরু হয়।

স্মৃতিচারণে পাদ্রীশিবপুর ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনর সভাপতি যোসেফ ডি’রোজারিও বলেন, ‘পিটার গোমেজের সাথে আমি ৯ বছর কাজ করেছি। পিটার গোমজের মতো দ্বিতীয় আর কেউ হবে না। তিনি সেবা পেতে নয়, ক্ষমতা লাভের জন্য নয়, কীভাবে মানুষের সেবা করতে হয় তাই শিখিয়ে গেছেন।’

পাদ্রীশিবপুর খ্রীষ্টান যুব সংঘ, ঢাকা-এর প্রেসিডেন্ট জয় আলেকজান্ডার গমেজ বলেন, ‘পিটার গোমেজ যুবদের আইডল হিসেবে ছিলেন। তিনি যুবদের অত্যন্ত ভালবেসেছেন।’

ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ বলেন, ‘পিটার গোমেজ আমাকে সর্বদা আপনি বলে সম্মোধন করতেন।

তিনি প্রতিটি বোর্ড সভায় অংশগ্রহণ করতেন। তিনি ঢাকা ক্রেডিটর একজন অভিবাক হিসাবে কাজ করেছেন। তার সমাজ সেবা আমাদের সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাতে সাহায্য করবে।’

বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও বলেন, ‘পিটার গোমেজ পাদ্রীশিবপুরের যুবকদের কাছে রোল মডেল। তিনি অনেক বিনয়ী এবং জনপ্রিয় মানুষ ছিলেন। জনপ্রিয় ছিলেন বলেই ঢাকা ক্রেডিটে স্বতন্ত্র নির্বাচন করে জয় লাভ করেছিলেন।’

বাংলদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের মহাসচিব হেমন্ত আই. কোড়াইয়া বলেন, ‘আলোকিত ও গানপ্রিয় মানুষ ছিলেন পিটার গোমেজ। তিনি কোনো প্রকার বিভেদ পছন্দ করতেন না।’

এ সময় আরো অনেকেই প্রয়াত পিটার গোমেজের উপর স্মৃতিচারণ করেন।

স্মৃতিচারণে পর খ্রিষ্টযাগ উৎসর্গ করা হয়। খ্রিষ্টযাগ উৎসর্গ করেন ফাদার লাজারুস গোমেজ।

শোক সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ, সেক্রেটারি পংকজ গিলবার্ট কস্তা, বাংলদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও, মহাসচিব হেমন্ত আই. কোড়াইয়াসহ আরো গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

উল্লেখ্য, প্রয়াত পিটার গোমেজ ২৪ সেপ্টেম্বর ভোর রাতে প্রাণ ত্যাগ করেন। তিনি মৃত্যুর আগমূহুর্ত পর্যন্ত ঢাকা ক্রেডিটের বোর্ড অব ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়াও তিনি সামাজিক নানা কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন।