শিরোনাম :
ফাদার চার্লস জে. ইয়াং ফাউন্ডেশন দরিদ্র শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ ও বৃত্তি প্রদান করেছে
ডিসিনিউজ ।। ঢাকা
ফাদার চার্লস জে. ইয়াং ফাউন্ডেশন দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ ও বৃত্তি প্রদান করেছে।
৩১ মে, নদ্দায় ঢাকা ক্রেডিট ইউনিয়ন নদ্দা এলাকার বসবাসরত নয়জন দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে এই শিক্ষা উপকরণ ও বৃত্তি প্রদান করেছে ফাইন্ডেশনটি। শিক্ষা উপকরণের মধ্যে রয়েছে খাতা-কলম, জ্যামিতি বক্স, কালার পেন্সিল, স্কেলসহ নানাবিধ জিনিসপত্র। এ ছাড়াও বৃত্তি হিসেবে এক বছরের টিউশন ও পরীক্ষার ফি বাবদ এক লক্ষ টাকা নিজ নিজ স্কুলের মাধ্যমে প্রদান করা হয়।
শিক্ষা উপকরণ ও বৃত্তি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান পংকজ গিলবার্ট কস্তা, ভাইস-চেয়ারম্যান বাবু মার্কুজ গমেজ, সেক্রেটারি লিটন টমাস রোজারিও, ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডমিনিক রঞ্জন পিউরীফিকেশন, ঢাকা ক্রেডিটের বোর্ড অব ডিরেক্টর প্যাট্রিশিয়া পাপড়ী আরেং ও সলোমন আই. রোজারিও, ঢাকা ক্রেডিট ইউনিয়ন স্কুলের প্রিন্সিপাল আনন্দ চৌধুরী, ফাউন্ডেশনের অপারেশন ডিরেক্টর সুইটি শিশিলিয়া পিউরীফিকেশন, ফাউন্ডেশনের যুব সমন্বয়কারী জ্যাকশন এন. রোজারিও, ডিসি মিডিয়া এন্ড পাবলিকেশনের অফিসার সুবীর ডি’ক্রুজ, ঢাকা ক্রেডিটের নদ্দা সেবাকেন্দ্রের ইনচার্জ প্রদীপ এল. দাসসহ স্কুলের শিক্ষক, অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ।
ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান পংকজ গিলবার্ট কস্তা ফাউন্ডেশনের উদ্দেশ্য নিয়ে আলোচনা করেন এবং সেই সাথে মেধাবী এবং পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের মূলস্রোতে নিয়ে আসার জন্য প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘এই ফাউন্ডেশনের মধ্য দিয়ে যারা মেধাবী এবং দরিদ্র, সেই সকল শিক্ষার্থীদের ইউনিভার্সিটি পর্যন্ত সহায়তা দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাব। আমাদের আরো ভালকিছু করার জন্য প্রস্তুত হতে হবে।’
‘আমাদের এমনভাবে শিক্ষাগ্রহণ করতে হবে, যেন আমরা সর্বোচ্চ পর্যায়ে শিখতে পারি এবং সকল চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে পারি। তোমরা এগিয়ে যাও, আমরা তোমাদের সাথে আছি।’ বলেন চেয়ারম্যান পংকজ গিলবার্ট।
ভাইস-চেয়ারম্যান বাবু মার্কুজ বলেন, ‘আজকে যারা দরিদ্র শিক্ষার্থী, তারাও পড়াশোনা করতে চায়, কিন্তু অনেক সময় পারে না এবং ঝরে পড়ে। আমাদের ফাদার চার্লস জে. ইয়াং ফাউন্ডেশন সেই সকল শিক্ষার্থীদের পাশে থাকতে চায় এবং পড়াশোনায় ধরে রাখতে চায়। আজ তোমাদের ৯জনকে শিক্ষা উপকরণ এবং বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। তোমাদের এই খুশি পড়াশোনার মাধ্যমে ধরে রাখতে হবে। তোমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাও এবং সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য যেন প্রস্তুত হতে পার সেই কামনা করি।’তিনি ফাউন্ডেশন এর মধ্য দিয়ে আরো ছাত্র/ছাত্রীদের সহায়তায় ব্যক্তিগত প্রতিশ্রুতি দেন।
সেক্রেটারি লিটন টমাস রোজারিও বলেন, ‘ফাদার ইয়াংও দরিদ্র ছিলেন এবং তিনি সেই অসহায়ত্বকে জয় করেছেন। আমরা এখানে যারা রয়েছি, তারাও সেই অসহায়ত্বকে জয় করে সকল বাধা পার হয়ে যাব এই বিশ্বাস করি।’ এ সময় তিনি ফাদার চার্লস জে. ইয়াংয়ের জীবনী সম্পর্কে আলোচনা করে শিক্ষার্থীদের আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য উৎসাহীত করেন।
এ ছাড়াও অন্যান্য বক্তারা এ দিন শিক্ষার্থীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা এবং আগামীতে নিজেদের প্রস্তুক করার জন্য উৎসাহীত করেন। আলাচনার একপর্যায়ে অভিভাবকদের মধ্যে এ মহতী উদ্যোগের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং জাতি ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সকলের প্রতি এ রকম কার্যক্রম আরো বৃদ্ধি করার পরামর্শ প্রদান করেন।