শিরোনাম :
ফাদার ফ্রাঙ্কের মৃত্যুতে বাংলাদেশ কাথলিক মন্ডলী শোকাহত
ডিসিনিউজ।। ঢাকা
সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন বাংলাদেশে কাজ করা আমেরিকান মিশনারি পবিত্র ক্রূশ সংঘের যাজক ফ্রাঙ্ক কুইনলিভ্যান, সিএসসি।
ফাদার ফ্রাঙ্ক ২৮ জানুয়ারি, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে রাতে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ কাথলিক মন্ডলী গভীরভাবে মর্মাহত। ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট, সেক্রেটারি ফাদার ফ্রাঙ্ক এর মৃত্যুতে সদস্যদের পক্ষে শোক প্রকাশ ও ফাদারের আত্মার চিরশান্তি কামনা করে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করেন।
২৯ জানুয়ারি তেজগাঁও হলি রোজারি চার্চে ফাদার ফ্রাঙ্ক এর অন্ত্যোষ্টিক্রিয়ার খ্রিষ্টযাগ উৎসর্গ করেন আর্চবিশপ বিজয় এন.ডি’ ক্রুজ। তিনি বলেন, আমরা অত্যন্ত ভারাক্রান্ত হৃদয়ে এখানে উপস্থিত হয়েছি। ফাদার ফ্রাঙ্ক একজন আদর্শ মিশনারি এবং আধ্যাত্মিক একজন মানুষ ছিলেন।”
দরিদ্রদের প্রতি তার ভালোবাসা, ঢাকা এবং সিলেট মহাধর্মপ্রদেশে তার অবদান এর কথা ও তুলে ধরে আর্চবিশপ বলেন, তিনি অসুস্থ থাকা সত্বেও আমেরিকা ফিরে যাননি। তিনি এই বাংলার মাটিতেই মৃত্যুবরন করতে চেয়েছেন।
২৯ জানুয়ারি, সকালে তেজগাঁও হলি রোজারি চার্চে অন্ত্যোষ্টিক্রিয়ার প্রথম খ্রিষ্টযাগ শেষে তাকে ভাদুনে হলিক্রস সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। এখানে দ্বিতীয় খ্রীষ্টযাগের পরে হলিক্রশ ফাদারদের সমাধীস্থলে তাকে চির নিদ্রায় শায়িত করা হয়।
ফাদার ফ্রাঙ্ক ৪ আগষ্ট, ১৯৪৩ সালে আমেরিকার শিকাগো শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ফাদার ফ্রাঙ্কের ১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দে হলিক্রশ সেমিনারিতে গঠন জীবন শুরু হয় এবং ৪ এপ্রিল, ১৯৭০ সালে যাজক পদে অভিসিক্ত হন। একই বছর তিনি আমেরিকার সাউথ ব্যান্ড, ইন্ডিয়ানাতে ন্যায্যতা ও শান্তি কমিশনের মাধ্যমে পালকীয় কাজ শুরু করেন।
ফাদার ফ্রাঙ্ক ১৯৭৯ সালে পালকীয় কাজের জন্য বাংলাদেশে আসেন এবং ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত তুইতাল, গোল্লা, হাসনাবাদ, নাগরি ধর্মপল্লীতে তার পালকীয় দায়িত্ব পালন করেন। মাঝে কিছু সময় সংঘের প্রয়োজনে নিজ দেশে কাজ করেছেন।
১৯৯৪ সালে বাংলাদেশে ফিরে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি বরিশালে ওরিয়েন্টাল ইনষ্টিটিউটে সেবা দিয়েছেন। ফাদার ফ্রাঙ্ক ২০০৫ সাল পর্যন্ত সিলেট ধর্মপ্রদেশের শ্রীমঙ্গল ধর্মপল্লীর পালপুরোহিত ছিলেন।
২০০৬ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত তিনি হলিক্রস সংঘের প্রভিন্সিয়াল ছিলেন। এর পর থেকে তিনি টাঙ্গাইলের কুমুদিনি হাসপাতাল, ভাদুনের হলিক্রস সেন্টার, পুরান ঢাকার মরো সেমিনারীতে পালকীয় কাজ করেছেন। তিনি বাংলাদেশের প্রথম খ্রিষ্টান মিশনারীদের দ্বারা পরিচালিত নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের ষ্ট্রাস্টি বোর্ডের ডিরেক্টর ছিলেন।