ঢাকা ,
বার : সোমবার
তারিখ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলা : ৯ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা দেশ বনপাড়ায় ‘ডিজিটাল মেলা ও ইন্টারনেট সপ্তাহ’র আয়োজন

বনপাড়ায় ‘ডিজিটাল মেলা ও ইন্টারনেট সপ্তাহ’র আয়োজন

0
516

আগামী ২০২১ সাল নাগাদ সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করছে তারই বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ‘ডিজিটাল মেলা ও ইন্টারনেট সপ্তাহ’ পালন করা হয়েছে।

১৮-২০ মে, বড়াইগ্রাম উপজেলা প্রশাসন এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আয়োজনে বড়াইগ্রাম থানার মাধ্যমিক পর্যায়ের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে বনপাড়ার সেন্ট যোসেফস্ স্কুল অ্যান্ড কলেজে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক এই কর্মসূচি পালিত হয়।

02উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত ফারজানার সভাপতিত্বে ১৮ মে মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নাটোর জেলার ৪ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব অধ্যাপক মো.আব্দুল কুদ্দুস। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নাটোর জেলার প্রশাসক শাহিনা খাতুন, বড়াইগ্রাম উপজেলার চেয়ারম্যান মো. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী, বনপাড়া পৌরসভার মেয়র কে এম জাকির হোসেন প্রমুখ। এ দিন স্বাগত বক্তব্য দেন বনপাড়া সেন্ট যোসেফস্ স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ফাদার লাজারুশ রোজারিও।

বড়াইগ্রাম উপজেলার চেয়ারম্যান মো. পাটোয়ারী বলেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুই প্রথম ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। তিনি ছিলেন বিজ্ঞান মনস্ক। পিতার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার উদ্দেশে ২০২১ সাল নাগাদ বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা ভিশন হিসেবে নিয়েছেন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার। এই লক্ষ্য বাস্তবায়ন এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবে রুপদান করতে সারাদেশে নানান ধরনের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করচেন। এরই অংশ হিসেবে বনপাড়াতে এই মেলা ও ইন্টারনেট সপ্তাহ পালন করা হচ্ছে।’

পাটোয়ারী আরো বলেন, ‘বর্তমান প্রজন্মকে আরও বেশি উৎসাহী করে তুলতে হবে। আমাদের ছেলেমেয়েরা অনেক মেধাবী। তাদের অনেক সম্ভাবনা আছে। তাদের এই মেধাকে কাজে লাগাতে পারলে দেশ হয়ে উঠবে সত্যিকার অর্থে ডিজিটাল বাংলাদেশ।

সভাপতি ইশরাত ফারজানা বলেন ‘ সরকারের ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নের লক্ষেই এ মেলার আয়োজন করা। এ মেলা ছাত্রছাত্রীদের তথ্য প্রযুক্তিতে সচেতনতা দান করবে। তাদের সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত হবে। ভবিষ্যতে তারা অনেক দূর এগিয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, ‘ছাত্রছাত্রীদের তথ্যপ্রযুক্তিতে আগ্রহী করে তোলার জন্য সারাদেশে প্রতিটি স্কুলে ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হবে।’

দুই দিনের এই আয়োজনে ছিল নানান ধরণের কর্মসূচি । এতে বিজ্ঞান বিভাগে অংশগ্রহণ করে নাটোর জেলার ৭ টি স্কুল। তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগে অংশগ্রহণ করে ১১টি স্কুল। বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে প্রায় ১৬০০ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। ষষ্ঠ-অষ্টম, নবম ও দ্বাদশ পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ৫০ নম্বরের নৈব্যক্তিক লিখিত পরীক্ষা লিখে। ষষ্ঠ-অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা মৌখিক প্রশ্নোত্তর দেয়।

শনিবার পুরস্কার বিতরণের মাধ্যমে মেলা শেষ হয়।

আরবি/আরপি/২১ মে, ২০১৭