শিরোনাম :
বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ঢাকা ক্রেডিটের ৬৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন
‘বঙ্গবন্ধুর ইচ্ছে ছিল সমবায়ের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার। অকাল মৃত্যুর কারণে তিনি তা করতে পারেননি। তাঁর ইচ্ছে পূর্ণ না হলেও ঢাকা ক্রেডিট-এর কার্যক্রমের মাধ্যমে উন্নয়ন দেখিয়ে দিয়েছে। তারা দেখিয়েছে কীভাবে সমবায়ের মাধ্যমে উন্নয়ন করতে হয়’ বলে মন্তব্য করেন প্রধান অতিথি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি। ঢাকা ক্রেডিটের ৬৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বর্ণিল আয়োজনের মাধ্যমে হাজারো সদস্যের উপস্থিতিতে ঢাকা ক্রেডিট পালন করল ‘৬৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী’।
৩ জুলাই (মঙ্গলবার) ফার্মগেটের খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে এক আনন্দপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়। প্রায় ১২ শ সদস্যর উপস্থিতিতে বর্ণিল এ অনুষ্ঠান শুরু হয় সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায়।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল আরো বলেন, ‘পূর্বেও আমি ঢাকা ক্রেডিটের অনুষ্ঠানে এসেছিলাম। তখন শুনেছি ঢাকা ক্রেডিটের ২০ হাজার সদস্যের প্রায় ৩০০ কোটি টাকার সম্পদ-পরিসম্পদ রয়েছে। আজ ৬৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শুনতে পাচ্ছি প্রায় ৪০ হাজার সদস্যের ক্রেডিটে এখন প্রায় ৬০০ কোটি টাকা সম্পদ-পরিসম্পদ রয়েছে। ঢাকা ক্রেডিট বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাস্তবায়ন সমবায়ের মাধ্যমে উন্নয়নের ধারা দেখিয়ে দিয়েছে। ঢাকা ক্রেডিট এখন ২২ বিঘা জায়গায় হাসপাতাল করতে যাচ্ছে। একটা ক্রেডিট ইউনিয়ন কতটা বড় হলে এই বিশাল পদক্ষেপ নেয়, তা ঢাকা ক্রেডিট দেখাচ্ছে। হাসপাতালের জন্য তারা কাজও শুরু করেছে এবং একজন যোগ্য সিইও নিয়োগ দিয়েছে। আশা করি অচিরেই হাসপাতালের সুযোগ-সুবিধা সাধারণ মানুষ ভোগ করতে পারবে।’
‘ঢাকা ক্রেডিটের বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ একজন যুবক নেতা। সে এখন দেশের গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেও নেতৃত্ব দিচ্ছে। তার পরিচালনায় ঢাকা ক্রেডিট যে অতি দ্রুত উন্নয়নের সাথে এগিয়ে যাচ্ছে তার প্রমান আমরা দেখতে পাচ্ছি’ বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল।
তিনি ঢাকা ক্রেডিটের গৌরবের সাথে তাল মিলিয়ে বলেন, ‘আজ ঢাকা ক্রেডিটের কথা আমি বলছি, আগামীতে সকল মানুষ ঢাকা ক্রেডিটের কথা বলবে।’
সভাপতির বক্তব্যে প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ ঢাকা ক্রেডিটের ৬৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানান। এ সময় তিনি ক্রেডিটের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত ফাদার চার্লস জে. ইয়াং সিএসসিকে পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন। এ ছাড়াও প্রয়াত সকল কর্মকর্তা ও সদস্যকেও কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, ‘সঞ্চয় ও অর্থনৈতিক গুরুত্বের পাশাপাশি ঢাকা ক্রেডিট সামাজিক উন্নয়নেও গুরুত্ব দিচ্ছে। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত এই ক্রেডিট ইউনিয়ন প্রতিটা সদস্যের পাশে থাকে। আজ ঢাকা ক্রেডিট ৪০ হাজার সদস্যের পাশাপাশি সারা দেশের মানুষের কল্যাণে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। ঢাকা ক্রেডিট কোনো দাতা সংস্থা বা ব্যক্তির সাহায্যে পরিচালিত প্রতিষ্ঠান নয়, এটা ৪০ হাজার সদস্যের আমানতের প্রতিষ্ঠান। আমরা বিভিন্ন মেগাপ্রকল্প নিয়ে কাজ করছি। ইতোমধ্যে ডিভাইন মার্সি জেনারেল হাসপাতাল নামক ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট একটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু করেছি। এর জন্য আমরা প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অব:) জন গমেজকে সিইও হিসেবে নিয়োগ দিয়েছি। এর পূর্বে তিনি ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত, ঢাকা স্কয়ার হাসপাতালের প্রশাসনিক দায়িত্ব, প্রাইম ব্যাংক আই হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।’
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেমন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন, আমরাও তাঁর পথে এগিয়ে চলেছি। ঢাকা ক্রেডিট প্রায় সকল ক্ষেত্রেই ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়ায় কার্যক্রম এগিয়ে নিচ্ছে। ঢাকা ক্রেডিট নারী, শিশু ও যুব উন্নয়নের সকল ক্ষেত্রেই অবদান রেখে চলেছে’ বলেন প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ।
বিশেষ অথিতি কাককোর চেয়ারম্যান নির্মল রোজারিও বলেন, ‘আজকের দিনে বিনম্র শ্রদ্ধায় ঢাকা ক্রেডিটের প্রতিষ্ঠাতা ফাদার চার্লস জে. ইয়াংকে স্মরণ করছি। সেই সাথে স্মরণ করছি সেই সকল ব্যক্তিদের, যারা বিভিন্ন সময়ে ঢাকা ক্রেডিটের উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়েছেন। ঢাকা ক্রেডিট আজ দেশে সকল ক্রেডিট ইউনিয়নগুলোর মধ্যে রোল মডেল।’
তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দক্ষতার সাথে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি সব সময় আমাদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে আসছেন। সর্বদা আমাদের সহযোগিতা দিয়ে পাশে থেকেছেন, এর জন্য তাঁকে ধন্যবাদ। আগামীতেও তিনি আমাদের পাশে থাকবেন বলে আশা করছি।’
বিশেষ অতিথি সাংসদ জুয়েল আরেং এমপি বলেন, ‘৬৩ বছর ধরে একটি ক্রেডিট ইউনিয়ন পরিচালনা করে স্বর্ণশিখরে ওঠা সহজ নয়। এর পেছনে যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন, তারাই এটা অনুধাবন করতে পারেন। ঢাকা ক্রেডিট চিরদিন সফলতার সাথে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে এগিয়ে যাবে এই কামনা করি।’
সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক জনাব মো. আব্দুল মজিদ বলেন, ‘আজ ঢাকা ক্রেডিটের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসে ধন্য করেছেন। ঢাকা ক্রেডিটের ৪০ হাজার সদস্যের ৬০০ কোটি টাকার আমানত সত্যিকার অর্থে বিস্ময়কর এবং গর্বের। ঢাকা ক্রেডিট সত্যিকার একটি সফল সমবায় সমিতি। যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে ঢাকা ক্রেডিট প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তা সুন্দর এবং সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের কাছে ক্রেডিট ইউনিয়ন সম্পর্কে অনেক নেতিবাচক খবর আসে, কিন্তু একমাত্র ঢাকা ক্রেডিটের মতো এতবড় প্রতিষ্ঠান নিয়ে কখনো কোনো নেতিবাচক খবর আসেনি। মানবসেবা হলো একটি মহৎ কাজ। ঢাকা ক্রেডিট মানবসেবার জন্য একটি হাসপাতাল করতে যাচ্ছে। আশা করি অচিরেই তারা এই কাজটি সম্পন্ন করবে।’
বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে সংবিধানে রাষ্ট্রীয় মালিকানা খাত হিসেবে সমবায়কে তৃতীয় নম্বর খাত হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সেই ধারায় সমবায়কে গুরুত্ব দিচ্ছেন। আর ঢাকা ক্রেডিট সমবায়ের মাধ্যমে উন্নয়নে অবদান রাখছে’ বলেন নিবন্ধক ও মহাপরিচালক মো. আব্দুল মজিদ।
ঢাকা বিভাগীয় সমবায় কার্যালয়ের যুগ্ম-নিবন্ধক জনাব মো. লুৎফর রহমান বলেন, ‘খ্রিষ্টান সম্প্রদায় একটি সুশৃঙ্খল সম্প্রদায়। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আবাসন সকল ক্ষেত্রেই খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের অনন্য ভূমিকা রয়েছে। এখানে খ্রিষ্টান নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে বিভিন্ন শিক্ষা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘ঢাকা ক্রেডিট এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যেখানে মানুষের সকল চাহিদা মেটানো সম্ভব। এর উন্নয়ন দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আশা করি আগামী অর্থবছরে ঢাকা ক্রেডিট জাতীয়ভাবে পুরস্কৃত হবে।
এ দিন আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা জেলার সমবায় অফিসার মোল্লা মো. নিয়ামুল বাশার, হাউজিং সোসাইটির চেয়ারম্যান আগষ্টিন পিউরীফিকেশন, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ-এর অন্যতম সভাপতি হিউবার্ট গমেজ, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রিয় কার্যনির্বাহী সংসদ-এর সদস্য উপাধ্যক্ষ রেমন্ড আরেং, ঢাকার যুগ্ম-নিবন্ধক লুৎফর রহমান, প্রাক্তন কর্মকর্তা সুবাস সেলেষ্টিন রোজারিও।
এ দিন অন্যান্য বক্তারা বলেন, ‘আজকে ঢাকা ক্রেডিটের ৬০০ কোটি টাকা হওয়ার পেছনে অনেকের অবদান রয়েছে। আজ আমরা তাদের স্মরণ করছি। এই অনুষ্ঠানে আজ যারা সম্মাননা পেয়েছেন, তাদের অভিনন্দন জানাই। কোনো প্রতিষ্ঠানের কোটি টাকা হলে, তা দেশের অর্থনীতিকে আরো বেগবান করে। ঢাকা ক্রেডিটও বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। ঢাকা ক্রেডিটের কার্যক্রম এবং প্রকল্পগুলো এখন সরাসরি জনকল্যাণমুখী অবদান রেখে চলেছে।’
তারা বলেন, ঢাকা ক্রেডিট ৪০ হাজার সদস্যকে সমবায়ের এক পতাকা তলে নিয়ে এসেছে। এই সমিতি এখন সমবায়ের পথপ্রদর্শক। মানুষ জন্মের পরই মানুষ হয়ে ওঠে না, মানুষ হতে হয়। খ্রিষ্টান সমাজ সমবায়ের দর্শন বেছে নিয়েছে মানুষ হয়ে উঠতে। ঢাকা ক্রেডিট বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
এ দিন সম্মাননাপ্রাপ্তদের মধ্যে অনুভূতি প্রকাশ করেন সুবাস সেলেষ্টিন রোজারিও।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধ আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি। সভাপতিত্ব করেন ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ।
এ ছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দি মেট্রোপলিটান খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিমিটেড-এর চেয়ারম্যান আগষ্টিন পিউরীফিকেশন, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ-এর অন্যতম সভাপতি হিউবার্ট গমেজ এবং বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রিয় কার্যনির্বাহী সংসদ-এর সদস্য উপাধ্যক্ষ রেমন্ড আরেং।
এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ক্রেডিটের ভাইস-প্রেসিডেন্ট শীরেন সিলভেষ্টার গমেজ, সেক্রেটারি পংকজ গিলবার্ট কস্তা, ট্রেজারার বিপুল লরেন্স গমেজ, ঢাকা ক্রেডিটের বোর্ড অব ডিরেক্টর, ক্রেডিট কমিটি ও সুপারভাইজরি কমিটির সকল কর্মকর্তা।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অতিথি, সভাপতি ও বিশেষ অতিথিরা জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা, সমবায় পতাকা ও ঢাকা ক্রেডিটের পতাকা উত্তোলন করেন। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সমবায় পতাকা উত্তোলন করেন নিবন্ধক ও মহাপরিচালক আব্দুল মজিদ এবং ঢাকা ক্রেডিটের পতাকা উত্তোলন করেন প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ। এর পর বেলুন উড়িয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভ উদ্বোধন করেন তাঁরা।
এ দিন প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমবার্তার বিশেষ সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিরা।
এ ছাড়াও এই বিশেষ দিনে ঢাকা ক্রেডিটের প্রাক্তন কর্মকর্তাদের সম্মাননা পদক দেওয়া হয়। এ সময় অতিথিদের হাত থেকে যারা সম্মাননা পদক গ্রহণ করেন তারা হলেন : সুবাস সেলেষ্টিন রোজারিও, ভাইস-প্রেসিডেন্ট (১৯৯৩-১৯৯৬); এডুয়ার্ড অনিল গমেজ, ভাইস-প্রেসিডেন্ট (১৯৯৬-১৯৯৯); বেঞ্জামিন গমেজ, ভাইস প্রেসিডেন্ট (২০০২-২০০৫); ইগ্নাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়া, ভাইস-প্রেসিডেন্ট (২০১১-২০১৪); জেমস প্রদীপ বিশ্বাসভাইস-প্রেসিডেন্ট (২০১৪-২০১৭); লুইস অনিল কস্তা, সেক্রেটারি (১৯৭৫-১৯৭৬); রবিন রোজারিও- সেক্রেটারি (১৯৯৩-১৯৯৬); জন ফ্যাবিয়ান রড্রিক্স, ম্যানেজার (১৯৮২-১৯৮৩); জর্জ সুব্রত পালমা, ম্যানেজার (১৯৯০); পল পরিমল অধিকারী, ম্যানেজার (১৯৯০-১৯৯৩); প্রদীপ ষ্ট্যানলী গমেজ- ম্যানেজার (১৯৯৬-১৯৯৯); পল মিস্ত্রী- ম্যানেজার (২০০২-২০০৮); নিপুন সাংমা, ম্যানেজার (২০০৮-২০১১); ম্যাথিও জি. গমেজ, ট্রেজারার (১৯৫৭-১৯৫৯); পল সিকদার, ট্রেজারার (১৯৯৩-১৯৯৬); অ্যাড. এডমন্ড গমেজ, আইন উপদেষ্টা’ যোসেফ মধু, ডিরেক্টর (১৯৭৯-১৯৮২); ডেভিড স্বপন রোজারিও, ডিরেক্টর (১৯৮৮-১৯৯৩); জেরম পবিত্র ডি’ রোজারিও, ডিরেক্টর (১৯৯০-১৯৯৩); জর্জ ষ্টিফেন ঘোষ, ডিরেক্টর (১৯৯৩-১৯৯৬); মায়া ডি’ রোজারিও, ডিরেক্টর (১৯৯৬-১৯৯৯); অমল আগষ্টিন গমেজ, ডিরেক্টর (১৯৯৬-২০০২); বীর মুক্তিযোদ্ধা জোনাস গমেজ, ডিরেক্টর (২০০৮-২০১৪); বীর মুক্তিযোদ্ধা এলডার মাইকেল এ. শাহ্, ডিরেক্টর (২০১১-২০১৪); চম্পা বার্নাডেট গমেজ, ডিরেক্টর (২০১১-২০১৪); তরুণ চাম্বুগং, ডিরেক্টর (২০১১-২০১৭); সিরিল ডি’ রোজারিও, চেয়ারম্যান-ক্রেডিট কমিটি (১৯৯০-১৯৯৬); সমর বার্ণার্ড কস্তা, চেয়ারম্যান-সুপারভাইজরি কমিটি (১৯৯০-১৯৯৩); সুবল যোসেফ গমেজ, চেয়ারম্যান-সুপারভাইজরি কমিটি (২০০৮-২০১৪); কাথবার্ট পিরিচ, সেক্রেটারি-সুপারভাইজরি কমিটি (১৯৯৩-১৯৯৬); জর্জ স্বপন কুমার সেন, সেক্রেটারি-ক্রেডিট কমিটি (২০০৫-২০০৮); বীর মুক্তিযোদ্ধা বিজয় ভিনসেন্ট রিবেরু, সদস্য-ক্রেডিট কমিটি (২০০৫-২০০৮)।
অনুষ্ঠানের প্রারম্ভে ঢাকা ক্রেডিটের ৬৩ বছরের কার্যক্রমের উপর নির্মিত ডকুমেন্টরী ফ্লিম প্রদর্শন এবং ৬৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটা হয়। অনুষ্ঠানের শেষাংশে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানে ঢাকা ক্রেডিট কালচারাল একাডেমি ও নারী কমিটির অংশগ্রহণ ছিল চমকপ্রদ।
এ দিন নারী কমিটির অংশগ্রহণে সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য ষ্টেলা হাজরার নেতৃত্বে প্রারম্ভিক প্রার্থনার মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
পুরো প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সেক্রেটারি পংকজ গিলবার্ট কস্তা।
উল্লেখ্য, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সকালে তেজগাঁও চার্চে বিশেষ খ্রিষ্টযাগ উৎসর্গ করা হয়। খ্রিষ্টযাগের পর তেজগাঁও কবরস্থানে যে সকল প্রাক্তন কর্মকর্তাদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয় তারা হলেন: প্রতিষ্ঠাতা স্বর্গীয় ফাদার চার্লস জে. ইয়াংসহ প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট স্বর্গীয় ডানিয়েল কোড়াইয়া, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট স্বর্গীয় টি ডি রোজারিও, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট স্বর্গীয় অরুণ বার্ণার্ড ডি’ কস্তা, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট স্বর্গীয় অধ্যাপক গাব্রিয়েল মানিক গমেজ, প্রাক্তন ভাইস-প্রেসিডেন্ট স্বর্গীয় আরনল্ড অরুণ গমেজ, প্রাক্তন সেক্রেটারি স্বর্গীয় খ্রীষ্টফার গমেজ, প্রাক্তন সেক্রেটারি স্বর্গীয় এন্ড্রু ডি’কস্তা, প্রাক্তন ম্যানেজার স্বর্গীয় জন পি. কস্তা, প্রাক্তন ট্রেজারার স্বর্গীয় আইজাক গমেজ, প্রাক্তন ট্রেজারার স্বর্গীয় স্ট্যানলী টেনু গমেজ, প্রাক্তন ডিরেক্টর স্বর্গীয় আলেকজান্ডার রোজারিও।
এ ছাড়াও ওয়ারি কবরস্থানে যে সকল কর্মকর্তার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয় তারা হলেন: প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট স্বর্গীয় জোনাস রোজারিও, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট স্বর্গীয় পিটার পল গমেজ, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট স্বর্গীয় পিটার এম. কস্তা, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট স্বর্গীয় অ্যাড. লাফন্ড গমেজ, প্রাক্তন ভাইস-প্রেসিডেন্ট স্বর্গীয় যোসেফ এইচ কস্তা, প্রাক্তন সেক্রেটারি স্বর্গীয় আন্দ্রেজ গমেজ, প্রাক্তন সেক্রেটারি স্বর্গীয় জাখারিয়াস কস্তা, প্রাক্তন সেক্রেটারি স্বর্গীয় স্কলাষ্টিকা সুনীলা কস্তা, প্রাক্তন সেক্রেটারি স্বর্গীয় রাফায়েল জে. কোড়াইয়া, প্রাক্তন ম্যানেজার স্বর্গীয় সিরিল রোজারিও, ক্রেডিট কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান স্বর্গীয় ইগ্নাসিয়াস এ গমেজ (মনু)।
উল্লেখ্য, ১৯৫৫ সালে পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজার চার্চে ২৫ টাকা মূলধন নিয়ে ৫০ জন সদস্য এই প্রতিষ্ঠান যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার। সমিতির অফিস ও অন্যান্য প্রকল্প পরিচালনার জন্য রয়েছে ৭টি নিজস্ব বহুতল ভবন, সঞ্চয় ও ঋণ এবং প্রকল্পসেবাসহ মোট ৭৪টি প্রডাক্টস ও প্রায় ৫০০ কর্মী।
আরবি.আরপি. ৩ জুলাই ২০১৮