শিরোনাম :
‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন: অর্জন ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনার: নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ
নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশে ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন: অর্জন ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
৩ অক্টোবর সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ’র মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফাদার প্যাট্রিক ড্যানিয়েল গ্যাফনি সিএসসি। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় অর্থমন্ত্রী জনাব আবুল মাল আবদুল মুহিত এমপি। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর জনাব ফজলে কবির।
সেমিনারের প্রথম পর্বে একাডেমিক সেশন’র সভাপতিত্ব করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ড. মো. আইনুল ইসলাম। উক্ত সেশনে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সিটি ইন্টারন্যাশনাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. জহুরুল ইসলাম সিকদার এবং ঢাকা স্কুল অব ইকনোমিক্স’র অধ্যাপক ও উদ্যোক্তা বিষয়ের মাস্টার্স বিভাগের সমন্বয়কারী ড. মো. মাহবুব আলী।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে বিশ^বিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ’র চেয়ারম্যান ফাদার জেমস ক্রুজ সিএসসি স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ‘বাংলাদেশের তরুণদের মধ্যে সীমাহীন সম্ভাবনা রয়েছে, যা খুব দ্রুত বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যাবে।’
নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আজিজুর রহমান দিনের মূল উপস্থাপনায় বলেন, ‘গত দশকের জিডিপি হার অনেক কম ছিল যা ২০০৯ থেকে ২০১৮ অর্থ বছরে ৭.৮৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি মধ্যম আয়ের দেশের জন্য আনন্দের বিষয়।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেন, ‘নটর ডেম শব্দের অর্থ হচ্ছে ঙঁৎ খধফু বা মাতা মেরী। মাতা মেরী হচ্ছেন যিশু খ্রিষ্টের মা। নটর ডেম প্রথম শুরু হয় লক্ষ্মীবাজারের সেন্ট গ্রেগরী স্কুলে। পরবর্তীতে এটি মতিঝিলে স্থানান্তরিত হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের খুব নিকটে এটি অবস্থিত। বাংলাদেশ ব্যাংক ও নটর ডেম প্রতিবেশী।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি করছে। নটর ডেম উন্নয়নের যাত্রায় আমাদের সহযোগী। নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের চিত্র শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করায় ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।’
মাননীয় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘কার্যকর চাহিদা ও বহুমুখী পণ্যের ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা বর্তমান অবস্থায় উপনীত হয়েছি। আমি গত ১০ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছি। বর্তমানে দেশে এক চতুর্থাংশ লোক দরিদ্র রয়েছে। আমি আশা করি পরবর্তী প্রজন্ম বিচার বিশ্লেষণের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে যুবদের অবদান অব্যাহত রাখবে।’
‘আমাদের লক্ষ্য ছিল দারিদ্রের হার কমিয়ে নিয়ে আসা এবং বর্তমান সরকার উন্নয়নের সেই ধারা অব্যাহত রেখেছে। এ দেশে প্রতি বছর প্রায় ২০ লাখ লোকের কর্মসংস্থানের প্রয়োজন। বর্তমানে আমরা ৫ লাখ মানুষকে দেশের বাইরে কর্মসংস্থানের সুযোগ প্রদান করেছি। গত বছর প্রায় ১০ লাখ মানুষ দেশের বাইরে গেছে।’ বলেন অর্থমন্ত্রী মুহিত।
উপাচার্য প্রফেসর ড. ফাদার প্যাট্রিক বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে অর্থমন্ত্রীর সাফল্য বিস্ময়কর। একটি জনবহুল ও নিম্ন আয়ের দেশ হিসেবে বাংলাদেশ যেভাবে প্রবৃদ্ধির সঙ্গে দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং বৈষম্য কমানোকে সংযুক্ত করেছে, তা অত্যন্তÍ গুরুত্বপূর্ণ। সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করে প্রবৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন উদাহরণ দেওয়ার মতো একটি দেশ। এই অনুষ্ঠান আয়োজনের লক্ষ্য হচ্ছে নবীনদের মাঝে অর্থনৈতিক উন্নয়নের চেতনা জাগ্রত করা।’
সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক মুখপত্র ‘ডে স্টার’ এর মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিবৃন্দ।
এ সময় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিষয়ক রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার ও সার্টিফিকেট তুলে দেন অর্থমন্ত্রী মুহিত।
ডিসিনিউজ/আরবি.এনএম.৩ অক্টোবর ২০১৮