শিরোনাম :
বাংলাদেশের সকল খ্রিষ্টান নেতৃ স্থানীয়দের নিয়ে আলোচনা সভা
ইউনাইটেড ফোরাম অব চার্চেস, বাংলাদেশের আয়োজনে মোহাম্মদপুরে সিবিসিবি সেন্টারে আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় ‘ক্ষুদ্র মেষদলের সাক্ষ্যদান: সম্প্রীতি ও শান্তি’ এই মূলসুর নিয়ে সকল মন্ডলীর খ্রিস্টানদের নিয়ে এক কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।
কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি’রোজারিও’র সভাপতিত্বে বিশপ থিয়োটনিয়াস গমেজ, বিশপ বিজয় ডি’ক্রুজ, বিশপ শরৎ ফ্রান্সিস গমেজ, হলিক্রস কলেজের প্রিন্সিপাল সি. শিখা সি.এস.সি, বাংলাদেশ থ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও, সেক্রেটারি হেমন্ত আই কোড়াইয়া, ঢাকা ক্রেডিটের সেক্রেটারি পংকজ গিলবার্ট কস্তা, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সম্পাদক সঞ্জিব দ্রং, কারিতাসের সিডিআই এর ডিরেক্টর থিওফিল নকরেক, ফিলিপ অধিকারী, ডেভিড অনিরুদ্ধ দাস সহ আরো ফাদার- সিষ্টার সহ আরো অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এ অনুষ্ঠানের সভাপতি কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি’রোজারিও তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ‘আপনাদের ষষ্ঠতম সকল খ্রিস্টানদের কনফারেন্সে ম্বাগত জানাই। আজকে আমরা একত্রিত হয়েছি বিভিন্ন মন্ডলী থেকে। প্রত্যকটি মন্ডলীর সক্রিয়তা আছে। পোপ ফ্রান্সিস বাংলাদেশে এসেছে সম্প্রীতি ও শান্তির দূত হিসেবে। বাংলাদেশে সম্প্রীতি ও শান্তি বিস্তারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশেল সকল মন্ডলীর খ্রিস্টানদের অবদান অনেক বড়। যদিও বাংলাদেশ মন্ডলী জনসংখ্যার দিক দিয়ে ক্ষুদ্র তাই সম্প্রীতি ও শান্তি বিস্তারে একত্রিত হোন।’ এই কথা বলে তিনি আজকে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্ধোধন করেন।
রেভা.জুডিথ মিলিতা দাস মূলসুরের আলোকে বলেন, ‘ঈশ্বর যে আমাদের সাথে সর্বদা আছেন এবং আমাদের সর্বদা আর্শীবাদ কছেন। আমরা সবাই যিশুর বারো জন শিষ্যর মত।’ তিনি আমাদের প্রত্যেককে সমাজে জাতি -ধর্ম নির্বিশেষে শান্তি স্থাপনের জন্য আহ্বান জানাচ্ছেন।’
সিবিসিবির সেক্রেটারি ফাদার জ্যোতি ফ্রান্সিস কস্তা পোপ ফ্রান্সিসের পালকীয় সফরের আলোকে বলেন, ‘পোপ বাংলাদেশে এসেছিলেন তীর্থ যাত্রী হিসেবে শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে খ্রিস্টের সাক্ষী হয়ে। আমরা হচ্ছি বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতি কিন্তু পোপ মহোদয় বাংলাদেশে আসার কারণে সাড়া বিশ্ব চিনেছে। আমরা এই পৃথিবীতে লবনের মতো। আমাদের স্বাদ সবাই গ্রহণ করে, আমরা আবার প্রদীপের মত ক্ষুদ্র কিন্তু অন্যকে আলোকিত করি খ্রিষ্টকে প্রচারের মধ্য দিয়ে।’
চার্চ অব বাংলাদেশের বিশপ সৌরভ ফলিয়া বলেন, ‘খ্রিস্টের প্রেম-দয়া ও অনুগ্রহ মানুষের কাছে নিজেদের জীবনের দ্বারা উপস্থাপন করাই হল সাক্ষ্য প্রদান করা। সাক্ষ্য বহন তখনই সম্ভব হয় তখন, যখন আমরা পবিত্র আত্মায় পূর্ণ মানুষ হই। যিশু আমাদেরকে লবন ও আলোর মতো হয়ে তার শিষ্যর ন্যায় সাক্ষি দিতে পারি। সেই সাথে বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে খৃব সহজেই আমাদের বাস্তব কাজের দ্বারা গণমাধ্যমে খ্রিস্টের সাক্ষ্য দিতে পারি।’
এরপর মুক্ত আলোচনায় বিভিন্ন ব্যক্তি তাদের মতামত প্রকাশ করেছেন। অর্ধদিবসের এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন মন্ডলী থেকে মোট ৭৫ জন অংশগ্রহণ করেন। ধন্যবাদ ও শেষ প্রার্থনা করেন ডেভিট অনিরুদ্ধ দাশ।
আরবি.আরপি. ২৭ এপ্রিল, ২০১৮