শিরোনাম :
বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের ব্ল্যাকআউট কর্মসূচী ও জাতীয় গণহত্যা দিবস-২০১৮ পালন
জাতির সাথে একাত্মতা জানিয়ে বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশন জাতীয় গণহত্যা দিবস ও ব্লাকআউট কর্মসূচী পালন করেছে।
রোববার (২৫ মার্চ) রাত ৯টায় রাজধানীর বিজয় স্মরণীর নভোথিয়েটর প্রাঙ্গণে নেতৃবৃন্দ এ কর্মসূচী পালন করেন।
এ সময় বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও’র সভাপতিত্বে কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন মহাসচিত হেমন্ত আই. কোড়াইয়া, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য অধ্যক্ষ রেমন্ড আরেং।
ঢাকা ক্রেডিটের পক্ষে সংহতি জানিয়ে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ, সেক্রেটারি গিলবার্ট পংকজ কস্তা, ট্রেজারার বিপুল লরেন্স গমেজসহ অন্যান্য কর্মকর্তা।
এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের অন্যতম সভাপতি হিউবার্ট গমেজ, এসোসিয়েশনের সিনিয়র সভাপতি জর্জ রোজারিও, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জোনাস গমেজ, যুগ্ম-সচিব সুব্রত হাজরাসহ কেন্দ্রীয় কমিটি ও শাখা সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
কর্মসূচী পালনকালে এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও বলেন, ‘আজ আমরা ৭১’র শহীদদের স্মরণ করছি। তাঁরা দেশের জন্য নিজের জীবন দিয়েছেন। পাকিস্তানীবাহিনী ১৯৭১ সালের এই দিনে নিরীহ বাঙালির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। হাজার হাজার নিরীহ মানুষকে সেদিন নির্বিচারে হত্যা করে। তাঁদের রক্তে এ দেশ রঞ্জিত হয়েছে। আজ আমরা তাঁদের আত্মার চিরশান্তি কামনা করি।’
ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ বলেন, ‘১৯৭১ সালের এই দিনে অসংখ্য নিরীহ বাঙালি অকাতরে প্রাণ দিয়েছেন। ভয়াল সেই রাতে পাকিস্তানীরা নিরস্ত্র নিরীহ বাঙালির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে অসংখ্য প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। গণহত্যার সে দিনের কথা বাঙালি আর কোনো দিনও ভুলবে না। আজ আমরা শ্রদ্ধার সাথে সেই দিনের শহীদদের কথা স্মরণ এবং তাদের আত্মার চিরকল্যাণ কামনা করি।’
এ ছাড়াও এদিন বক্তব্য রাখেন, হেমন্ত আই. কোড়াইয়া, হিউবার্ট গমেজ, অধ্যক্ষ রেমন্ড আরেং, বীর মুক্তিযোদ্ধ জোনাস গমেজ, জর্জ রোজারিও প্রমুখ।
বক্তারা এ দিন বলেন, ‘আজকের কর্মসূচীতে আলো নেভানোর মাধ্যমে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর প্রতি ঘৃণা জানানো এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদদের স্মরণ করা হয়েছে।’
বক্তারা এ সময় ২৫ মার্চকে জাতীয় গণহত্যা দিবস ঘোষণার দাবি জানান।
এ দিন কর্মসূচীর মধ্যে ছিল শহীদদের আত্মার স্মরণে ১ মিনিট নিরবতা ও শহীদদের আত্মার কল্যাণে প্রার্থনা, ৯ টা থেকে ৯.১ মিনিট পর্যন্ত আলো নেভানো (প্রজ্জ্বলিত মোমবাতি নেভানো), দেশত্মবোধক গান পরিবেশন, র্যালি করে বিজয় স্মরণীর চত্বরে এসে প্রদীপ প্রতিস্থাপন করা।
আরবি.আরপি.এইচআর.২৫ মার্চ, ২০১৮