শিরোনাম :
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের অঙ্গ সংগঠন ছাত্র যুব ঐক্য পরিষদের ত্রি-বার্ষিক জাতীয় সম্মেলন
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের অঙ্গ সংগঠন ছাত্র যুব ঐক্য পরিষদের আয়োজনে সমঅধিকার ও সমমর্যদার প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে অনুষ্ঠিত হয় ত্রি-বার্ষিক জাতিয় সম্মেলন।
৭ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টায় ‘ধর্মীয় রাষ্ট্র নয়-ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র চাই- ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার’ স্লোগান নিয়ে শাহবাগে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনষ্টিটিউশনে এই সম্মেলন শুরু হয়।
সম্মেলনের উদ্ধোধক সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এমপি বলেন, ‘সমঅধিকার ও সমমর্যদা প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজন ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। বাংলাদেশ ছাত্র যুব ঐক্য পরিষদের দায়িত্ব হচ্ছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির মানুষের সাংবিধানিক অধিকার আদায় করা। কিন্তু বিভিন্ন অপশক্তি আমাদের বাধা সৃষ্টি করছে। আমরা ধর্মনিরপেক্ষ এবং অসাম্প্রদায়িকতার অবসান চাই।’
প্রধান অতিথি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ডাকে আমরা এই দেশে স্বাধীন করার পর থেকেই এই দেশ অসাম্প্রদায়িক। সন্ত্রাসীরা হচ্ছে সংখ্যা লঘু, আমরা সবাই বাংলাদেশী।’
‘বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন আপাদমস্তক অসামম্প্রদায়িক, তাই তাকে বিশ বার হত্যার পরিকল্পনা করা হয়’ বলেন বাংলাদেশ ছাত্র যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি নির্মল চ্যাটার্জী।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. রানা দাসগুপ্ত বলেন, ‘আমারা অসাম্প্রদায়িক দেশে বাস করি, কিন্তু অর্পিত সম্পত্তি নিয়ে যে মামলা বহাল রয়েছে তা যেন জাতীয় নির্বাচনের আগেই নিষ্পত্তি করা হয়।’
‘যুব ও ছাত্র সমাজ ভবিষ্যতের নেতা, যুবরাই সংখ্যালঘু সমাজের অগ্রদূত। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ চাই। বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের আশা ও ভরসাস্থল। বিগত ত্রিশ বছর ধরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব ও অধিকার রক্ষার জন্য কাজ করছে। ঐক্য পরিষদকে শক্তিশালী করতে হলে ছাত্র ও যুব ঐক্য পরিষদ শক্তিশালী করতে হবে। ১৯৭২ সালের সংবিধান আমাদের আসল ঠিকানা। আমরা রাষ্ট্রপরিচালনায় অংশগ্রহণ ও অংশিদারিত্ব চাই’ বলেন নির্মল রোজারিও।
বিশেষ অতিথি উষাতন তালুকদার এমপি, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ অন্যতম সভাপতি হিউবার্ট গমেজ, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক ড. নিমাই চন্দ্র ভৌমিক, বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও, বাংলাদেশ ছাত্র যুব ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রমেন মন্ডল, সাংবাদিক বসুদেব ধর, মনিন্দ্রকুমার নাথ, জয়ন্ত কুমার দেব, বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের সংগ্রামী মহাসচিব হেমন্ত আই. কোড়াইয়া, নির্বাহী সচিব ভিক্টর রে, বনানী শাখার সভাপতি সেবাষ্টিয়ান বাড়ৈ, বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ প্রায় পাঁচ হাজার সাধারণ জনগণ বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই সম্মেলনের যোগ দেন।
সম্মেলনের শুরুতে জাতীয় সংগীতে মাধ্যমে পতাকা উত্তোলন এবং শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের শুভ উদ্ধোধন করা হয়।
আরবি.এইচআর. ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮