শিরোনাম :
বান্দরবানে আদিবাসীদের জন্য জাপানী ভাষার উপর চতুর্থ প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন
ম্যাগডেলিন ডি’সিলভা। চট্টগ্রাম
বান্দরবানের পিছিয়ে পড়া পাহাড়ি নারী ও পুরুষদের বিদেশে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করে তোলার লক্ষে বান্দরবানে জাপানী ভাষার উপর ৪র্থ তম প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করা হয়েছে।
বান্দরবানের পিছিয়ে পড়া পাহাড়ি নারী ও পুরুষদের বিদেশে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করে তোলার লক্ষে বান্দরবানে জাপানী ভাষার উপর ৪র্থ তম প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট)বান্দরবানের পর্যটন এলাকা মেঘলায় অবস্থিত কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি)তে এই জাপানী ভাষা প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক জনাব মো. দাউদুল ইসলাম।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর আওতায় এই প্রশিক্ষণ কোর্সের আয়োজন করা হয়েছে।
বান্দরবান কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি)র অধ্যক্ষ প্রকৌশলী পলাশ কুমার বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বান্দরবানের জেলা প্রশাসক মো. দাউদুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, সংখ্যালঘু ও পিছিয়ে পড়া পাহাড়ি নারী ও পুরুষদের বিদেশে কর্মর্সংস্থানের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করে তোলার লক্ষে গতবছর প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণায়ের অধীনে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর আওতাধীন বান্দরবান কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এই জাপানী ভাষা কোর্সের যাত্রা শুরু হয়। তারই ধারাবাহিকতায় (১ আগষ্ট) শুরু হওয়া ৪র্থ তম ব্যাচে মোট ২৫ জন প্রশিক্ষণার্থী ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৪ জন মহিলা ও ২১ জন পুরুষ প্রশিক্ষণার্থী রয়েছেন।
চতুর্থ প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা কর্মসংস্থান অফিসের ভারপ্রাপ্ত সহকারি পরিচালক মো: আফসার আহম্মদ, টিটিসির সহকারী অধ্যক্ষ আসমা আক্তার, সিনিয়র প্রশিক্ষক রফিকুল ইসলাম, জাপানী ভাষা প্রশিক্ষক মাহমুদুল ইসলাম, প্রশিক্ষক কালোময় চাকমা, সিনিয়র প্রশিক্ষক মহিউদ্দিন, হংকংয়ের ক্যান্টনীজ ভাষা প্রশিক্ষক রোকেয়া রহমান প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে বক্তাগণ বলেন, আদিবাসী জনগণ বিভিন্ন কারণে মূল জনগোষ্ঠির চেয়ে পিছিয়ে রয়েছেন। স্বাভাবিক কারণেই বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রেও তারা পিছিয়ে আছেন, তাই তাদের উন্নয়নে সরকারী এ উদ্যোগ যুগোপযোগী ও প্রসংশনীয়। এতে জাপানের মত উন্নত দেশে যেতে ও বৈদেশিক মূদ্রা অর্জনে সক্ষম হবেন আদিবাসী জনগণ।