শিরোনাম :
বান্দরবানে বৌদ্ধ ধর্মগুরু বিরুদ্ধে অবৈধভাবে জমি দখলের অভিযোগে সাংবাদিক সম্মেলন
বান্দরবানে বৌদ্ধ ধর্মগুরু কর্তৃক কাথলিক গির্জা, খ্রিষ্টভক্ত ও অন্যান্যদের জমি অবৈধভাবে দখলের অভিযোগে ১২ জুন, সকাল ১১টায় বান্দরবান প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীরা।
বান্দরবানের বৌদ্ধ ধর্মগুরু উপঞাঞা জোত মহাথের ওরফে উ চা হ্লা ভান্তের বিরুদ্ধে কাথলিক গির্জা, খ্রিষ্টভক্ত ও অন্যান্যদের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। একই সাথে অভিযোগ করেছেন মুসলিম ও বৌদ্ধরাও।
তারা জানান, উপঞা ঞা জোত মহাথের ২৪জনের জমি অন্যায়ভাবে প্রভাব খাটিয়ে দখল করেছেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, উ চ হ্লা ভান্তে এবং তার অনুসারীরা ২০০৬ সাল থেকে আইন অমান্য করে এমনকি প্রশাসনের ১৪৪ ধারা উপক্ষো করে রাতের আঁধারে বিভিন্ন ব্যক্তি, গোষ্ঠি ও প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১০০ (একশত) একর ১ম, ২য়, ৩য় শ্রেণির জমি জবর দখল ক‘রে নিজস্ব বলয়, এলাকা এবং রাজ্য তৈরি ক’রে ফেলেছেন। গত ২০০৭ সালে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সরকারী জমি দখল মুক্ত করতে গেলে উচহ্লা ভান্তে এবং তার অনুসারীরা যৌথ বাহিনীর সাথে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে।
এদিকে ৫ এপ্রিল, ২০১৪ সালে জবর দখল ক’রে নিয়েছে বান্দরবান ফাতিমা রাণী গির্জার (কাথলিক মিশন) ৫ দশমিক ৫৭ (পাঁচ একর সাতান্ন শতক) একর ধানী জমি। সে জমিতে উৎপাদিত শস্য থেকে প্রায় তিনশ’র বেশি অসহায় শিশু-কিশোরদের অন্নের ব্যবস্থা হতো। বর্তমানে তাদের শিক্ষা এবং ভরণ-পোষণ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে মিশন কর্তৃপক্ষকে।
বান্দরবান ফাতিমা রাণী চার্চের পক্ষে সম্মেলনে যোগ দেন ফাদার জেরোম ডি’রোজারিও, ফাদার মাইকেল রায়।
আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বড়ুয়া কল্যাণ সমিতি বান্দরবানের সভাপতি দিলীপ বড়ুয়া, মো: নুরুল আলম ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
ফাদার জেরোম ডি’রোজারিও বলেন, ‘আমরা চাই শান্তিপূর্ণভাবে বিষয়টির সমাধান হোক। আমরা সংঘাত চাই না। চাই মানুষের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠিত হোক।’
উপস্থিত ভুক্তভোগীরা একটি তালিকা প্রস্তুত করে উল্লেখিত বেদখলীয় জমি স্ব-স্ব মালিকদের কাছে ফেরৎ দেবার জন্য জোর দাবি জানান।