ঢাকা ,
বার : বুধবার
তারিখ : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলা : ১০ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা দেশ বান্দুরায় সমবায়ীদের সভা

বান্দুরায় সমবায়ীদের সভা

0
456

ডিসি নিউজ:
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা ২০১৯-২০২০ খ্রিষ্টাব্দ বাস্তবায়নের লক্ষে সুশাসন প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে অংশীজনের অংশগ্রহণে সভা নবাবগঞ্জের বান্দুরায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৬ সেপ্টম্বর অনুষ্ঠিত ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় সমবায় কার্যালয়ের আয়োজনে এই সভায় নবাবগঞ্জ এলাকার ২২টি সমবায় সমিতির ১০০ নেতা ও প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
ঢাকা ক্রেডিটের বান্দুরা বহুমূখী প্রকল্পের কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম, সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিভাগীয় সমবায় কার্যালয়ের যুগ্ম নিবন্ধক মো. লুৎফর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমি সবার বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শুনেছি। মতামত, অভিযোগ লিখে নিয়েছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি বলতে চাই, পুঁজিবাদ প্রকট আকারে ধারণ করেছে। ফলে গরিব মানুষের পক্ষে কথা বলার সুযোগ থাকে না। তবে সমবায়ের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনপ্রতিনিধিদের নিকট কথা বলা যায়, দাবি আদায় করা যায়।’
‘আপনাদের যদি কোন সমস্যা হয়, তাহলে আমাকে জানাবেন। আমি সহকর্মীদের ভালবাসি কিন্তু তারা যদি আপনাদের প্রতি কোন অন্যায় করে, তাহলে আমি তাদের পক্ষ নিব না। আমার ভালবাসা ন্যায়ের পক্ষে। আমার ভালবাসা সমবায়ী ভাইবোনদের পক্ষে’ যোগ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত সমবায়ী নেতৃবৃন্দ সমবায় সমিতির বিভিন্ন সফলতা ও প্রতিবন্ধকতার কথা তুলে ধরেন।
গোল্লা খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান টমাস রোজারিও অনুষ্ঠানে বলেন, ‘গণশুনানি আয়োজন করার জন্য ধন্যবাদ জানাই। সমবায় অধিদপ্তর সমবায় সমিতিগুলোর অভিভাবক কিন্তু এই অধিদপ্তর যেন খবরদারী না করে অভিভাবক সুলভ আচরণ করে এটা আমাদের চাওয়া।’
আশার আলো কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কোহিনুর আক্তার সমবায় অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘আমরা যেসব নারীরা সমবায়ে সেবা দেই, আমাদের পক্ষে ঢাকা বা অন্যান্য স্থানে গিয়ে রাত্রী যাপন করে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা সম্ভব হয় না। যদি স্থানীয়ভাবে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়, তাহলে আমরা বাড়ি থেকে দিনে গিয়ে দিনে এসে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করতে পারি। স্থানীয়ভাবে প্রশিক্ষণের আয়োজন করার অনুরোধ করি।’
‘মাইক্রো ক্রেডিট এবং কো-অপারেটিভ ক্রেডিট এর বিধি দুইটা দুইভাবে গঠিত। এই দুই বিধির জন্য মাঝে মাঝে আমাদের সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। মাইক্রো ক্রেডিট ১৫% ভ্যাট দিতে পারে কিন্তু কো-অপারেটিভ ক্রেডিট সদস্যদের মধ্যে লভ্যাংশ বন্টন করে, ব্যয় নির্বাহ করে। তাই এই বিষয়টি বিবেচনা করার অনুরোধ করি,’ বলেন তুইতাল খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট উইনিয়ন লি: এর চেয়ারম্যান মেরিলিন গমেজ।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা ক্রেডিটের বোর্ড অব ডিরেক্টর পিটার রতন কোড়াইয়া, ক্রেডিট কমিটির সদস্য ডমিনিক রঞ্জন গমেজ। ঢাকা ক্রেডিটের পক্ষে অতিথিদের উপহার প্রদান করা হয়।
প্রসঙ্গত, সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম বান্দুরা বহুমূখী প্রকল্পের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ঢাকা ক্রেডিটকে ধন্যবাদ দেই যে তারা সাহস করে এবং দূরদর্শিতার সাথে এই ধরনের রিসোর্ট বা গেস্ট হাউজ গড়ে তুলেছে। এই ধরনের রিসোর্ট আরো গড়ে উঠুক। ঢাকা ক্রেডিট অন্যান্য উপজেলাতে আরো এই ধরনের রিসোর্ট গড়ে তুলবে বলে আমি আশা করি।’