ঢাকা ,
বার : সোমবার
তারিখ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলা : ৯ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা দেশ বাড়ছে নারী ও মেয়েশিশু নির্যাতনের হার

বাড়ছে নারী ও মেয়েশিশু নির্যাতনের হার

0
512

দিন দিন বাড়ছে নারী ও মেয়েশিশু নির্যাতনের হার। চলতি বছরেই এই নির্যাতনের হার চমকে দেয় সাধারণ নাগরিকদের।

২০১৯ সালের প্রথম ছয় মাসে দুই হাজারের বেশি নারী ও মেয়েশিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৭৩১ জন। যাদের মধ্যে হত্যা করা হয়েছে ২৬ জনকে।

গত সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই পরিসংখ্যান জানানো হয়েছিল। এই অবস্থা থেকে বের হয়ে আসার জন্য ৩২টি সুপারিশও করেছে মহিলা পরিষদ।

দেশের ১৪টি জাতীয় দৈনিকের তথ্য বিশ্লেষণ করে এই তথ্য তুলে ধরে মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আয়েশা খানম জানান, গতবছর সারাদেশে ৯শ’ ৪২টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ধর্ষণ শেষে হত্যা করা হয় ৬৩ নারী ও শিশুকে। অর্থাৎ, গতবছর যে পরিমাণ ধর্ষণ হয়েছে তার অর্ধেক সময়ে এ বছর ধর্ষণের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় দেড়গুণ। এই পরিসংখ্যান বলছে, শেষ ছয় মাসে শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন ৫৪ নারী, ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ১২৩ জনকে, যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৭০ জন। এছাড়া এ্যাসিড সন্ত্রাস, যৌতুক, পাচার, শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা তো ঘটছেই।

এমন বাস্তবতায় বর্তমান জাতীয় পরিস্থিতি, অব্যাহত নারী-শিশু নির্যাতনের প্রতিবাদ ও সামাজিক নিরাপত্তার দাবিতে সংবাদ সম্মেলনে দেশে ক্রমবর্ধমান ধর্ষণ ও সামাজিক অবক্ষয়ের বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে মহিলা পরিষদ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১৪ থেকে ২০১৮ সময়কালে ধর্ষণের ঘটনা বৃদ্ধিসহ মোট ৫২৭৪ নারী ও কন্যা নির্যাতনের শিকার হন। নারী ও শিশুদের উত্ত্যক্তকরণ ও যৌন হয়রানি, ধর্ষণ, গণধর্ষণ, ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা বেড়েই চলছে। এ বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত দুই হাজার ৮৩ নারী ও শিশু সহিংসতার শিকার হয়েছে। এর মধ্যে গণধর্ষণের শিকার ১১৩ জন। এ ছাড়া ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ১২৩ জনকে।

শ্লীলতাহানির শিকার ৫৪ নারী ও শিশু। যৌন নির্যাতনের শিকার ৭০ জন। আর এ সময়ে মারধরের শিকার ১৪৭ জন। যৌতুকের কারণেও বড় সংখ্যক নারী নির্যাতনের শিকার হয় বলে সম্মেলনে জানানো হয়। তথ্য বলছে, যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার ৯৪ জন। এর মধ্যে হত্যা করা হয়েছে ৪৭ জনকে। এতে আরও জানানো হয়, এসব নির্যাতন ও সহিংসতার ঘটনায় মাত্র তিন থেকে চার শতাংশ মামলায় সাজা হয়েছে। বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে অপরাধীরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে।

আরো পড়ুন: শেরপুরে খ্রিষ্টান কিশোরীর ধর্ষণের মামলা তুলে নিতে জীবননাশের হুমকি