শিরোনাম :
বিশাল কর্মযজ্ঞের প্রতিষ্ঠান ঢাকা ক্রেডিট: ওরিযেন্টশন সেশনে প্রেসিডেন্ট
নিয়োগের অব্যবহিত পর ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ ১৯ জন নতুন ট্রেইনি অফিসারের ওরিয়েন্টেশন সেশনে বলেন, ‘একজন শিশুর জন্ম থেকেই এই সমবায়ের সদস্য করা হয়; এবং জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তার জীবনে সকল প্রয়োজন মেটানোর সকল ব্যবস্থা এই প্রতিষ্ঠানে রয়েছে। এত প্রডাক্ট ব্যাংকেরও নেই।’
ঢাকা ক্রেডিটের প্রধান কার্যালয়ে ১ নভেম্বরে ওরিয়েন্টেশন সেশনে প্রেসিডেন্ট গমেজ সংক্ষিপ্তভাবে সকল প্রডাক্ট ও প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে আরো বলেন, নানা প্রডাক্টের পাশাপাশি রয়েছে ঢাকা ক্রেডিট চাইল্ড কেয়ার এ্যান্ড এডুকেশন সেন্টার, ঢাকার অদূরে পুর্বাচলেন সন্নিকটে ঢাকা ক্রেডিট রিসোর্ট, প্রধান কার্যালয়ে ও সাভার সেবা সেন্টার সংলগ্ন বিরাট সমবায় বাজার, পূর্বরাজাবাজার ও মণিপুরীপাড়ায় দুটি গার্লস হোস্টেল, মঠবাড়িতে নিজস্ব ২২ বিঘা জমিতে একটি সমন্বিত কৃষি প্রকল্প ইত্যাদি। প্রতিষ্ঠানের স্বপ্নের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ঢাকার অদূরে মঠবাড়িতে নিজস্ব ২২ বিঘা জমিতে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল করারও চিন্তা রয়েছে।
প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপনের সময় প্রতিষ্ঠানে ৪০ হাজার সদস্যের কথা উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট বলেন, সদস্যরা যেসব সেবা সেন্টারের মাধ্যমে সেবা নিয়ে থাকেন, সেখানেও ট্রেইনিদের কাজ করতে হবে, সেসব মানসিকতা নিয়েই ট্রেইনিদের ঢাকা ক্রেডিটে যাত্রা শুরু করতে হবে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সাথে ঢাকা ক্রেডিটের পারিশ্রমিকের তুলনামূলক মন্তব্য করে বলেন, ঢাকা ক্রেডিট বর্তমানে একটি স্ট্যান্ডার্ড বেতন কাঠামো করেছে। সেই মতে কর্মীদের পারিশ্রমিক দেওয়ার বিবেচনা করা হয় যেন তারা বর্তমান বাজারে ভাল জীবনযাপন করতে পারেন।
ভবিষ্যতে এই প্রতিষ্ঠানের অবস্থান কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে- এমন প্রসঙ্গ টেনে প্রেসিডেন্ট বলেন, ২০২০ সাল নাগাদ ঢাকা ক্রেডিট হবে ৯০০ কোটি টাকার ও ১ হাজার কর্মীর একটি প্রতিষ্ঠান।
প্রতিষ্ঠানের প্রতি বর্তমান কর্মীদের বিশ্বস্ততা ও কমিটমেন্টের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট বলেন, বিশাল কর্মযজ্ঞের প্রতিষ্ঠান ঢাকা ক্রেডিট। এখানে অনেক কর্মী দীর্ঘ সময়কাল ধরে কাজ করে চলেছেন। সেই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সবাইকে কাজ করে যাবার পরামর্শ দেন তিনি। মানসিকভাবে প্রথম থেকেই তাদের সেই মনোভাব নিয়ে কাজ শুরু করতে পরামর্শ দেন তিনি।
৬২ বছর পূর্বে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানের চাকরি আকর্ষণীয় ও নিরাপদ উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট বলেন, এই প্রতিষ্ঠানের সিইও প্রায় ৩০ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছেন। আর প্রতিষ্ঠান চলছে ৬৩ বছর ধরে।
কোড অব কন্ডাক্ট-এর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট বলেন, আর্থিক বিষয়ে অনিয়ম, নারী নির্যাতন ও মাদকের ব্যবহার জিরো টোলারেন্স হিসেবে বিবেচিত হয়। এ ছাড়াও অন্যান্য বিষয় রয়েছে যা গরুত্বের সাথে নিতে হবে।
বর্তমানে যেসব কর্মী এই প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন, তাদের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট বলেন, বার্ষিক সাধারণ সভায় তাদের সম্বন্ধে কোনো অভিযোগ এখন আর শোনা যায় না। তার অর্থ তারা ভাল কাজ করছেন।
ওরিয়েন্টেশনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন প্রতিষ্ঠানের সিইও লিন্টু খৃষ্টফার গমেজ, সহকারী সিইও লিটন টমাস রোজারিও, সিও জোনাস গমেজ, সুইটি সি পিউরীফিকেশন ও সুদান গাইন। যোল বছর আগে প্রতিষ্ঠানে নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী সিইও লিটন গমেজ বলেন, নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়াটা একটি নতুন সুযোগ। নতুনরা সবসময় নতুন কিছু নিয়ে আসেন। ট্রেইনিদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনারা সৃষ্টিশীল অবদান রাখবেন। ভাল অবদান রাখার জন্য আপনাদের শিকড় প্রতিষ্ঠানের গভীরে নিতে হবে।’
সিও সুদান গাইন নতুন কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনাদের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানকে গতিশীল যেন করতে পারি সে বিষয়টি মনে নিয়েই প্রতিষ্ঠানে অবদান রাখতে চেষ্টা করবেন। নিজেদের উন্নতির সাথে প্রতিষ্ঠানরও উন্নতি করতে হবে।’
সমাপনী বক্তব্যে প্রতিষ্ঠানের সিইও লিন্টু খৃষ্টফার গমেজ ওরিয়েন্টশনের মূল সেশনে বিস্তারিত বক্তব্য দেওয়ার কথা উল্লেখ করার কথা বলে অনুষ্ঠানের ইতি টানেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চাপলনার দায়িত্বে ছিলেন সিও সুইটি সি পিউরিফীকেশন।
আরপি/আরআর/২নভেম্বর ২০১৭