ঢাকা ,
বার : সোমবার
তারিখ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলা : ৯ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা দেশ বিশ্বাস, ভক্তি আর আনন্দে সমাপ্ত হলো খ্রিস্ট বিশ্বাসের পাঁচশত বছরের জুবিলী ও...

বিশ্বাস, ভক্তি আর আনন্দে সমাপ্ত হলো খ্রিস্ট বিশ্বাসের পাঁচশত বছরের জুবিলী ও মা মারীয়ার তীর্থ।

0
508
১৫৩৭ খ্রিস্টাব্দ থেকে পর্তুগিজ বণিকরা চট্টগ্রামে স্থায়ীভাবে বসতি স্থাপন করে। তাদের ধর্মীয় যত্ন নেওয়ার জন্য ১৫৯৮ সালে দক্ষিণ ভারতের কোচিন ডাইয়োসিস থেকে বঙ্গদেশে প্রথম মিশনারিরা আসেন।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার দিয়াং পাহাড় ছিল হাজারো ভক্তের পদচারণায় মুখর। মা মারীয়ার তীর্থের ত্যাগের মহিমার সাথে জুবিলীর আনন্দ মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছিল পবিত্র তীর্থভূমি।

শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয় জুবিলির মহাখ্রিষ্টযাগ

সকাল ১০টায় চট্টগ্রামের আর্চবিশপ মজেস কস্তা মহাখ্রীষ্টযাগ উৎসগ করেন। খ্রীষ্টযাগ সহার্পণ করেন ভাটিকান রাষ্ট্রদূত ও Apostolic Nuncio আর্চবিশপ জর্জ কুচারি এবং অন্যান্য ধর্ম প্রদেশের বিশপ ও যাজকগণ।

মহাখ্রীষ্টযাগের আগে বাংলাদেশের মানচিত্রে ৯টি মোমবাতি প্রজ্জ্বলণ করা হয়।

খ্রীষ্টযাগ শেষে আর্চবিশপ মজেস কস্তা বলেন, বাংলার বুকে এই দিয়াং এ প্রথম খ্রিষ্ট শহীদ ফাদার ফ্রান্সেসকো ফার্নান্দেজ, এস,জে (১৬০২খ্রিঃ)। এরপর আরও ৬১৪জন খ্রিষ্ট শহীদ হন। তাঁদের পবিত্র রক্তের বিনিময়ে আমরা বিশ্বাসের গভীরে প্রবেশ করেছি।

ভাটিকান রাষ্ট্রদূত ও Apostolic Nuncio আর্চবিশপ জর্জ কুচারি তাঁর শুভেচ্ছা বক্তব্যে দিয়াংকে পবিত্রভূমি নাজারেথের সাথে তুলনা করেন। তিনি প্রতি পরিবারে প্রতিদিন একসঙ্গে জপমালা প্রার্থনার আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, পরিবার থেকেই সন্তানদের মধ্যে বিশ্বাস সঞ্চার করতে হবে।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে পর্তুগিজ বণিকদের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে ১৫১৮খ্রীষ্টাব্দে পূর্ববঙ্গে খ্রিস্টবিশ্বাসেরও আগমন ঘটে। ১৫৩৭ খ্রিস্টাব্দ থেকে পর্তুগিজ বণিকরা চট্টগ্রামে স্থায়ীভাবে বসতি স্থাপন করে। তাদের ধর্মীয় যত্ন নেওয়ার জন্য ১৫৯৮ সালে দক্ষিণ ভারতের কোচিন

ডাইয়োসিস থেকে বঙ্গদেশে প্রথম মিশনারিরা আসেন।