শিরোনাম :
বীর মুক্তিযোদ্ধা এন্ড্রু ডি’কস্তার মহাপ্রয়ান
পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এন্ড্রু ডি’কস্তা।
২২ আগস্ট, বিকাল সাড়ে ৪টায় ৬৭ বছর বয়সে তিনি ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে ইমপ্লাস হাসপাতালে প্রাণ ত্যাগ করেন। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন খ্রিষ্টান সমাজসহ নানা স্তরের মানুষ।
২৩ আগস্ট, সকাল সাড়ে ১০টায় তেজগাঁও চার্চে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এরপর সকাল ১১টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ডি’কস্তার অন্ত্যেষ্টিক্রীয়ার খ্রিষ্টযাগ উৎসর্গ করা হয়। খ্রিষ্টযাগ উৎসর্গ করেন ঢাকার অবসরপ্রাপ্ত সহকারী বিশপ থিয়োটনিয়াস গমেজ সিএসসি।
খ্রিষ্টযাগে বীরমুক্তিযোদ্ধার স্মৃতিচারণ করা হয়। খ্রিষ্টযাগ শেষে তেজগাঁও চার্চের কবরাস্থানে তাঁকে সমাহিত করা হয়।
এ সময় ঢাকা ক্রেডিটসহ বিভিন্ন সংগঠন ও অঙ্গ সংগঠনের পক্ষ থেকে তাঁকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। ঢাকা ক্রেডিটের পক্ষে বোর্ড অব ডিরেক্টর পিটার গোমেজ, পিটার রতন কোড়াইয়া, আনন্দ ফিলিপ পালমা, রূপম পিউরীফিকেশন, আলবার্ট আশিষ বিশ্বাসসহ ঢাকা ক্রেডিট মুক্তিযোদ্ধা উপকমিটির বীরমুক্তিযোদ্ধা সদস্য এবং ঢাকা ক্রেডিটের কর্মীরা বীর মুক্তিযোদ্ধা এন্ড্রু ডি’কস্তার কবরে শ্রদ্ধা জানান।
বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের পক্ষে প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও, সেক্রেটারি জেনারেল হেমন্ত আই. কোড়াইয়াসহ কেন্দ্রীয় সংগঠন এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শ্রদ্ধা জানান।
এ ছাড়াও দি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লীগ অব বাংলাদেশ লি: (কাল্ব), মুক্তিযোদ্ধা ও পরিবার কল্যাণ সংস্থা, বিভিন্ন মুক্তিযোদ্ধা সংগঠনসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে তাঁকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ডি’কস্তা বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশন ও দি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লীগ অব বাংলাদেশ লি: (কাল্ব)-এর সাবেক সেক্রেটারি ছিলেন।
বীরমুক্তিযোদ্ধা এন্ড্রু ডি’কস্তা ১৯৫১ সালের ৪ জুন কালীগঞ্জের ছোট সাতানীতে জন্মগ্রহণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, দুই মেয়ে এবং নাতী-নাতনী রেখে যান।
ঢাকা ক্রেডিট পরিবারের পক্ষ থেকে বীরমুক্তিযোদ্ধা এন্ড্রু ডি’কস্তার প্রয়াণে গভীর শোক এবং তাঁর আত্মার চিরশান্তি কামনা করছে।
আরবি.এইচআর. ২৩ আগস্ট ২০১৮