শিরোনাম :
বৈষ্ণম্যমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মানের প্রতিশ্রুতি নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রপথ গ্রহণ
নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। ৮ আগষ্ট, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার পর বঙ্গভবনের দরবার হলে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এরপর অন্য উপদেষ্টাদের শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর অধিনের প্রতিরক্ষা, শিক্ষা, মন্ত্রীপরিষদ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রনালয়সহ রয়েছে ২৭টি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয় ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করবেন।
মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান দেখবেন শিল্প মন্ত্রণালয়।
সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন।
সাবেক পররাষ্ট্রসচিব তৌহিদ হোসেন থাকছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান পরিবেশ, বন ও জলবায়ূ পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করবে।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন পেয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।
বেসরকারি সংস্থা উন্নয়ন বিকল্পের নীতিনির্ধারণী গবেষণার (উবিনীগ) নির্বাহী পরিচালক ফরিদা আখতার মৎস ও প্রাণী মম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করবেন।
গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালক নূর জাহান বেগম স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন।
বেসরকারি সংস্থা ব্রতীর নির্বাহী পরিচালক শারমিন মুরশিদ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন। ইসলামী চিন্তাবিদ আ ফ ম খালিদ হাসান ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকবেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করবেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করবেন।
এছাড়ারও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সদস্য সাবেক রাষ্ট্রদূত সুপ্রদীপ চাকমা, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার এবং বীর প্রতীক ফারুক-ই-আজম শপথ গ্রহণ না করায় এখনো কোনো মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাননি।