শিরোনাম :
বৌদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে শান্তি শোভাযাত্রা ও সম্প্রীতি র্যালী
বাংলাদেশ বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিষদের উদ্যোগে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে শাহবাগে শান্তি শোভাযাত্রা ও সম্প্রীতি র্যালী অনুষ্ঠিত হয়।
১৭ মে, সকাল সাড়ে ৯টায় শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে সারা বিশে^ সকল প্রাণীর শান্তি কমানায় হিন্দু-মুসলমান-খ্রীষ্টান ও বৌদ্ধ সকলের উপস্থিতিতে শান্তি শোভাযাত্রা ও সম্প্রতি র্যালী শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ডা. উত্তম কুমার বড়–য়া।
সভাপতি প্রফেসর ডা. উত্তম কুমার বড়–য়া বলেন, বৌদ্ধদেবের আদর্শ আজ সকলের জন্য অনুসরণীয় ও অনুকরণীয়। বুদ্ধদেব পৃথিবীতে এসেছিলেন শান্তির বাণী শোনাতে এবং শান্তি স্থাপন করতে। সকলের মধ্যে মৈত্রী স্থাপন করতে।
তিনি উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জনান এবং শান্তি শোভাযাত্রা ও সম্প্রীতি র্যালীতে অংশগ্রহণ করার জন্য আহ্বান করেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেড রানা দাসগুপ্ত বলেন, ‘বুদ্ধদেবের মূলমন্ত্র ছিলো শান্তিময় বিশ^ গড়ে তোলা। সেই সাথে আজ আমরা শান্তি ও সম্প্রীতিময় বাংলাদেশ কামনা করি। ভগবান বুদ্ধের দর্শন যদি আমরা পালন করি, তাহলে আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে পারবো।’
বিশেষ অতিথি বাংলাদেশে খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ। আমরা সবাই এক সাথে শান্তিতে বসবাস করতে চাই। গৌতম বুদ্ধ আমাদের জন্য যে আদর্শ রেখে গেছেন তা একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ ও জাতি গড়ার আদর্শ।’
ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া বলেন, ‘বৌদ্ধ পূর্ণিমা শুধু বৌদ্ধদের নয়, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার লক্ষে কাজ করছেন। যা বুদ্ধ দেব চেয়েছিলেন।’
বাংলাদেশ গণপ্রজাতন্ত্রী সরকারের সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়–য়া বলেন, ‘আমরা সর্বদা সম্প্রীতিপূর্ণ বাংলাদেশ চাই, যা বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন। বৌদ্ধ ধর্মের মূলমন্ত্র হচ্ছে সারা বিশে^ শান্তি-সম্প্রীতি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসাম্প্রদায়িকতা ও শান্তির লক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন।’
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামের পক্ষে বাংলাদেশে বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সভাপতি মহামান্য সংঘ নায়ক শুদ্ধানন্দ মহাথের বেলুন উড়িয়ে বৌদ্ধ পূর্ণিমার শুভেচ্ছা, সারা বিশে^ প্রতিটি প্রাণীর শান্তি কামনা করে শান্তি শোভাযাত্রা ও সম্প্রীতি র্যালীর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
শান্তি শোভাযাত্রা ও সম্প্রীতি র্যালীর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করার পর জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে র্যালী শুরু করে শেষ হয় ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিশনের সামনে।
র্যালীতে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ক্রেডিটের সেক্রেটারি পংকজ গিলবার্ট কস্তা, বাংলাদেশে খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের ক্লেমেন্ট টি. ঢালী, ভিক্টর রে, মলয় নাথসহ আরো অনেককে।