ঢাকা ,
বার : সোমবার
তারিখ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলা : ৯ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা আন্তর্জাতিক ব্রাজিলের কারাগারে গোষ্ঠী দাঙ্গা, বহু প্রানহানী

ব্রাজিলের কারাগারে গোষ্ঠী দাঙ্গা, বহু প্রানহানী

0
218
কারাগারটির বাইরে এখন স্বজনেরা ভিড় করছেন ভেতরে থাকা আত্মীয়ের খবর জানতে।

ব্রাজিলের উত্তরাঞ্চলে অ্যামাজন এলাকার একটি কারাগারে ভয়াবহ এক দাঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনবার পর সেখানে এখন চলছে তল্লাশি অভিযান।

কর্মকর্তারা বলছেন, ম্যানাউস শহরের এই কারাগারটিতে বন্দীদের দুটি প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীর মধ্যে দাঙ্গায় অন্তত ৫৬ জন নিহত হয়েছে।

তল্লাশিতে কারাগারটির ভেতরে অনেক মৃতদেহই পাওয়া গেছে, যেগুলোতে রয়েছে নির্যাতনের চিহ্ন।

কার্যত নতুন বছরের প্রথম দিনটিতে এমন সময় এই দাঙ্গার সূত্রপাত হয়, যখন কারাগারটিতে বন্দীদের সাথে আত্মীয় স্বজনের সাক্ষাতের জন্য নির্ধারিত সময় চলছিল।

আইন শৃঙ্খলাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করছে
আইন শৃঙ্খলাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করছে

স্থানীয় টেলিভিশনের খবরে দেখা গেছে, কারাগারটির বাইরে বহু মহিলা এবং বন্দীদের পরিবারের সদস্যদের ক্রন্দনরত ছবি।

উত্তরাঞ্চলীয় ম্যানাউস শহরে এটাই বৃহত্তম কারাগার।

এখানে যে দাঙ্গাটি হয়েছে তাতে দুটি প্রতিদ্বন্দ্বী অপরাধী গোষ্ঠীর হস্তক্ষেপ রয়েছে বলে ধারণা আছে, বলা হচ্ছে এরা সাও পাওলো ও রিও ডি জেনেরিও ভিত্তিক অপরাধী গোষ্ঠী।

দাঙ্গা চলাকালে কারাগারটির ভেতরে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যাবহার করা হয়েছে। এগুলো গোপনে কারাগারটির ভেতরে পাচার করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

অ্যামাজোনাস অঙ্গরাজ্যের নিরাপত্তা প্রধান সের্হিও ফন্টেস বলছেন, স্পষ্টতই এই দাঙ্গাটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত।

দাঙ্গা চলাকালে বহু কয়েদী পালিয়ে গেছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। তবে তাদের সংখ্যা কত হতে পারে তা এখনো স্পষ্ট না।

আনিসিও জোবিম নামের এই কারাগারটিতে ছিল ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত কয়েদী। দেশটির বেশীরভাগ কারাগারেরই অবস্থা এমনই।

ওপর থেকে তোলা আনিসিও জোবিম কারাগার কমপ্লেক্স।
ওপর থেকে তোলা আনিসিও জোবিম কারাগার কমপ্লেক্স।

কার্যত শক্তিশালী অপরাধী গোষ্ঠী ও মাদক চক্রগুলোই এই কারাগারগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। ফলে সেখানে দাঙ্গা অতি সাধারণ একটি ব্যাপার।

১৯৯২ সালে এরকমই একটি দাঙ্গার পর একটি কারাগার দখল করে নিয়েছিল কয়েদীরা। ওই দাঙ্গায় ১১১ জন নিহত হয়।

ম্যানাউসের দাঙ্গা শুরুর চব্বিশ ঘণ্টা পর পরিস্থিতি একরকম নিয়ন্ত্রণেই আনতে পেরেছে কর্তৃপক্ষ।

কিন্তু এই ঘটনা প্রমাণ করছে, ব্রাজিলের ভেঙে পড়া কারাগার ব্যবস্থায় বড় ধরণের পুনর্গঠনের প্রয়োজন এখনই।

আরবি/এসএন/আরপি/৩ জানুয়ারি, ২০১৭