শিরোনাম :
শ্রীমঙ্গলে পালিত হলো জপমালা রাণী মা-মারীয়ার তীর্থোৎসব
সুবর্ণ পাথাং ॥ শ্রীমঙ্গল
প্রতি বছরের ন্যায় এবছরো প্রার্থনা ও ধ্যানময় পরিবেশের মধ্য দিয়ে ২৬-২৭ অক্টোবর (শনি ও রবিবার) সিলেট ধর্মপ্রদেশের শ্রীমঙ্গলের হরিণছড়ার সেন্ট মেরীস গীর্জার তীর্থস্থানে জপমালা রাণী মা-মারীয়ার তীর্থোৎসব-২০১৯ খ্রী. অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এবছর তীর্থে মূলসূর নেওয়া হয় ‘প্রেরিতগণের রাণী মারীয়া’। এই মুলসূরকে ধারণ করেই কয়েকদিন প্রস্তুুতিমূলক নভেনা ও ২৭অক্টোবর (শনিবার) থেকেই তীর্থযাত্রীগণের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠান চলতে থাকে। শনিবার সন্ধ্যা ও রাতে গুড়িগুড়ি বৃষ্টির মাঝেই শুরু হয় পবিত্র খ্রীষ্ঠযাগ, জপমালা প্রার্থনার মধ্য দিয়ে আলোর শোভাযাত্রা ও নিশি জাগরণ।
রবিবার দিন সকাল ১১টায় ৩০তম তীর্থোৎসবে পবিত্র মহাখ্রীষ্টযাগ উৎসর্গ করেন মহামান্য কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি’রোজারিও। সহযোগিতা করেন সিলেট কাথলিক ধর্মপ্রদেশের ধর্মপাল বিশপ বিজয় এনডি’ক্রুজ, ওএমআই ও শ্রীমঙ্গল ধর্মপল্লীর পালপুরোহিত ফাদার নিকোলাস বাড়ৈ, সিএসসি। ৩০তম তীর্থোউৎসবে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ফাদার, ব্রাদার, সিস্টার, সেমিনারীয়ান ও বিভিন্ন জায়গা থেকে অসংখ্য খ্রীষ্টভক্ত। প্রতিবছরের তুলনায় এবছর তীর্থোসবে তীর্থভক্তের সংখ্যা ছিল উপচে পড়া ভিড়।
মহাখ্রিষ্টযাগের পরেই শুরু হয় ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা অনুষ্ঠান। তীর্থ কমিটি ও শ্রীমঙ্গল ধর্মপল্লীর পক্ষ থেকে এবং বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে মহামান্য কার্ডিনালকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
সিলেট ধর্মপ্রদেশের বিশপ বিজয় বলেন এই পবিত্র তীর্থস্থান আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, এই পৃথিবীতে আমরা তো সবাই তীর্থযাত্রী। এই পৃথিবী আমাদের চিরস্হায়ী আবাস নয়। আমরা সবাই এই পৃথিবীতে ক্ষণস্হায়ী সেই শ্বাশত স্বর্গরাজ্যের পানে আমরা সবাই তীর্থযাত্রী
শ্রীমঙ্গল ধর্মপল্লীর পালপুরোহিত ও তীর্থোৎসব কমিটির আহ্বায়ক ফাদার নিকোলাস বাড়ৈ বলেন পুণ্যপিতা পোপ ফ্রান্সিস ২০১৯ খ্রীস্টাব্দের অক্টোবর মাসকে “বিশেষ প্রৈরিতিক মাস” ঘোষণা করেছেন। এই বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়েই এবছরের তীর্থের মূলভাব নেওয়া হয়েছে ‘প্ররিতগণের রাণী মারীয়া।’
আয়োজক তীর্থ কমিটি থেকে বলা হয় এই তীর্থোৎসবে বাংলাদেশ মন্ডলীর মহামান্য কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি’ রোজারিও’র আগমনে এই ধর্মপ্রদেশের এই তীর্থভূমিতে তার পদচারণা ও আশির্বাদ খ্রীষ্টভক্তদের বিশ্বাস ও ভক্তি আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।