শিরোনাম :
মগবাজার ও লক্ষ্মীবাজারে ফাদার চার্লস জে. ইয়াং ফাউন্ডেশনের ত্রাণ বিতরণ (ভিডিও)
ডিসিনিউজ ॥ ঢাকা
মগবাজার ও লক্ষ্মীবাজারে করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ফাদার চার্লস জে. ইয়াং ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।
১৮ আগস্ট, সকাল ১০টায় ঢাকার মগবাজার বহুমুখী সমবায় সমিতির চত্বরে ও বিকাল ৩টায় লক্ষ্মীবাজার চার্চ কমিউনিটি সেন্টারে ত্রাণ বিরতণ করা হয়।
মগবাজার বহুমুখী সমিতির চত্বরে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন ঢাকা ক্রেডিটের সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য স্টেলা হাজরা, চিফ অফিসার স্বপন রোজারিও, বহুমুখী সমিতির প্রশাসনিক সহকারী স্বপন কাপালী এবং ঢাকা ক্রেডিটের কর্মীবৃন্দ। এ সময় ঢাকা ক্রেডিটের চিফ অফিসার স্বপন রোজারিও ত্রাণগ্রহণকারীদের স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক পরামর্শ দেন। এ দিন মগবাজারে ১৫টি করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
বিকাল ৩টায় লক্ষ্মীবাজার চার্চ কমিউনিটি সেন্টারে ত্রাণ বিতরণে অংশ নিয়েছেন ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি লিটন টমাস রোজারিও, নির্বাহী পরিচালক ডমিনিক রঞ্জন পিউরীফিকেশন, লক্ষ্মীবাজার সমিতির চেয়ারম্যান দিপক আগষ্টিন পিউরীফিকেশন, লক্ষ্মীবাজার প্যারিস কাউন্সিলের সদস্য সেন্টু সিলভেষ্টার পালমা, লক্ষ্মীবাজার প্রতিনিধি রঞ্জন এডুয়ার্ড রোজারিওসহ আরও অনেকে।
এ সময় ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি লিটন টমাস রোজারিও বলেন, ‘ফাদার চার্লস জে. ইয়াং ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মানুষের প্রয়োজনেই। আমরা বর্তমানে একটি কঠিন সময় পাড় করছি। করোনা অতিমারি স্বাভাবিক জীবন স্থবির করে দিয়েছে। এ সময় প্রয়োজনে ফাদার চার্লস জে. ইয়াং ফাউন্ডেশন দুস্থদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। মানব সেবার তাগিদে এই ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ ছাড়াও আরও অনেক ধরনের কার্যক্রম নিয়ে ফাদার চার্লস জে. ইয়াং ফাউন্ডেশন এগিয়ে যাবে।’
এ দিন লক্ষ্মীবাজারের প্রতিনিধিগণ ফাদার চার্লস জে. ইয়াং ফাউন্ডেশনের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান। এ দিন ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে লক্ষ্মীবাজারে ৫৮ করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। এ ছাড়াও এদিন লক্ষ্মীবাজার চার্চের পালক-পুরোহিতের পক্ষ থেকে সেন্টু সিলভেষ্টার পালমা কবরখোরকদের জন্য প্রদানকৃত পিপিই, হ্যান্ড স্যানিটারাইজ, মাস্কসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সামগ্রী গ্রহণ করেন।
করোনা অতিমারি মোকাবেলা ও সাধারণ জনগণের পাশে থেকে এই দুর্যোগকালীন সময়ে সহযোগিতার হাত প্রসারণ করতে ফাদার চার্লস জে. ইয়ং ফাউন্ডেশন করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে খাদ্যপণ্য ও স্বাস্থ্য সামগ্রী প্রদান করছে। ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডমিনিক রঞ্জন পিউরীফিকেশনের ত্বত্তাবধানে কয়েকটি ধাপে এই ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চলছে।
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণ পণ্যের মধ্যে ছিল চাল, ডাল, তেল, আলুসহ খাদ্য দ্রব্য এবং ৫টি করে মানসম্পন্ন মাক্স ও স্বাস্থ্য সামগ্রী। এ ছাড়াও অংশ হিসেবে ছিল করোনা ও ডেঙ্গু প্রতিরোধী ডাক্তারী পরামর্শ। তাছাড়া এর অংশ হিসেবে থাকবে অভিজ্ঞ ডাক্তারদের ফ্রি টেলিমেডিসিন সেবা। এ ছাড়াও বিভিন্ন গির্জার কবরখোরকদের জন্য প্রদান করা হয়েছে পিপি, হ্যান্ড স্যানিটারাইজ, মাস্কসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সামগ্রী।
এই ত্রাণ কার্যক্রমের সবচেয়ে বড়ো অংশিদার হয়েছে দেশসেরা সমবায় প্রতিষ্ঠান ঢাকা ক্রেডিট। ফাউন্ডেশনটির মাধ্যমে ত্রাণ কার্যক্রমে প্রায় ৭৫ শতাংশ অর্থ সহায়তা দিয়েছে ঢাকা ক্রেডিট। এ ছাড়াও বিভিন্ন ক্রেডিট, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি পর্যায়েও অর্থ সহায়তার মাধ্যমে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে।