শিরোনাম :
মদনপুরে ঢাকা ক্রেডিটের শিক্ষা সেমিনার
ডিসি নিউজ:
নারায়নগঞ্জের মদনপুরে ঢাকা ক্রেডিটের ক্রয়কৃত নিজস্ব জমিতে সদস্যদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে আঞ্চলিক শিক্ষা সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
শুক্রবার (২০, সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টায় ঢাকা ক্রেডিটের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প সম্পর্কে অবগতকরণ ও সদস্যদের ঋণ খেলাপি বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে আঞ্চলিক শিক্ষা সেমিনার আয়োজন করে ঢাকা ক্রেডিট।
আঞ্চলিক শিক্ষা সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা ক্রেডিটের ট্রেজারার বিপুল লরেন্স গমেজ।
সভাপতি বিপুল লরেন্স গমেজ বলেন, আজ মদনপুরবাসীর গর্ব করা উচিত, নিজেদের জমিতে বসে শিক্ষা সেমিনার করছেন। ঢাকা ক্রেডিটের সদস্যরা এই জমির মালিক। এই সমিতির লভ্যাংশ বছর শেষে সদস্যদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষকে মহাজনদের ঋণের হাত থেকে রক্ষার জন্য আমেরিকান ফাদার চালর্স জে ইয়াং ১৯৫৫ সালে ৫০ জন সদস্য ও ২৫ টাকা মূলধন নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল। আজ ঢাকা ক্রেডিট থেকে ঋণ গ্রহণ করে অনেক মানুষ নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন করেছেন। আপনারা চাইলে প্রকল্প ভিত্তিক পরিকল্পিত ঋণ গ্রহণ করে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারেন।
মদনপুরস্থ ঢাকা ক্রেডিটের জমি ক্রয় করতে সহায়তা করেছেন মোহাম্মদ দেলোয়ার হাজী। তিনি শিক্ষা সেমিনারে বলেন, ‘ঢাকা ক্রেডিট শুধু খ্রিষ্টানদের জন্য কাজ করে না, অন্যান্য ধর্মের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। মদনপুরের এই ক্রয়কৃত জমির মধ্যে ভবিষ্যতে যে স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে সেখানে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের সন্তান স্কুলে পড়াশোনা করতে পারবে। ঢাকা ক্রেডিটের সকল উন্নয়নমূলক কাজের সঙ্গে আছি।’
ঢাকা ক্রেডিটের নিয়মিত সদস্য রিপন হালদার ডিসিনিউজকে বলেন, ‘ক্রয়কৃত জমিতে আমরা নতুন কালেকশন বুথ পেয়েছি, যা পূর্বে ছিল না। আগে কিস্তি প্রদান করতে সময় ও অর্থ অপচয় করে ঢাকা যেতে হতো। এই জমির উপর বাড়ি নির্মাণ করে সদস্যদের মাঝে ভাড়া দিলে এই এলাকার মানুষের সুবিধা হবে।’
নারয়নগঞ্জের মদনপুরে ১৫ বছর যাবৎ বসবাস করছেন ফেলিসিতা রুপা দাস। তিনি ডিসিনিউজকে বলেন, ‘এই এলাকায় হিন্দু-খ্রিষ্টানদের বাসা ভাড়া পেতে সমস্যা হয়, যদি ঢাকা ক্রেডিট বাড়ি নির্মাণ করে সদস্যদের ভাড়া দেয় তাহলে সুবিধা হয়। নারীদের উন্নয়নের জন্য নাসিং ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করলে ভালো হয়।’
এছাড়া ঢাকা ক্রেডিটের ট্রেজারার ঋণপ্রকল্প, সঞ্চয়ী প্রকল্প এবং প্রোডাক্ট নিয়ে আলোচনা করেন এবং মুক্ত আলোচনায় সদস্যরা তাঁদের সুবিধা-অসুবিধার কথা ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, নারায়নগঞ্জের ক্রয়কৃত ২২ শতাংশ জমিতে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ করার পরিকল্প গ্রহণ করেছে ঢাকা ক্রেডিট।