শিরোনাম :
মন্দকে পরিহার করে ভাল জীবন : ডিসি চাইল্ড কেয়ার এন্ড এডুকেশন সেন্টারে দুর্গা পূজার অনুষ্ঠান
ঘোড়ায় চেপে মা দুর্গা আসছেন মন্দকে বিনাশ করতে। আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মাতোয়ার ধরার মানুষ। সেজেছে সবাই উৎসবের উচ্ছ্বাসে। এরই সাথে তাল মিলিয়ে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে সেজেছে ডিসি চাইল্ড কেয়ার এন্ড এডুকেশন সেন্টারের সোনামণিরা।
১৫ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর দিনে ডিসি চাইল্ড কেয়ার এন্ড এডুকেশন সেন্টারে আয়োজন করা হয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল ডালিয়া রড্রিগসের নেতৃত্বে এবং শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে এ দিন শিশুরা পূজার অনুষ্ঠানে অংশ নেয়।
ছোট সোনামণিরা অনুষ্ঠানে নিজেরাই গড়ে তোলে মা দুর্গার অবয়ব। কারো হাতে পদ্ম, কারো হাতে শঙ্খ, আবার কারো কারো হাতে চক্র, গদা, ত্রিশুল, বজ্র, বর্ম। এসব নিয়ে শিশুরা অসুর বধের চিত্র ফুঁটিয়ে তোলে। মহিষাসুরের যবনিকাত করতে মা দুর্গার দশভুজা বেশ শিশুরা অনভিজ্ঞ হাতে নিপুণভাবেই উপস্থান করে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রিন্সিপাল রড্রিগস দুর্গাপূজার তাৎপর্যসহ মা দুর্গার বিষয়ে শিশুদের ব্যাখা করেন। কীভাবে মহিষাসুর ব্রক্ষ্মার বর লাভ করে আমরন জীবন লাভ করে ধরার মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং দেব-দেবীকুলের শত্রু হয়ে ওঠে। এর ফলে কীভাবে মা দুর্গা বিভিন্ন দেব-দেবীর শক্তিতে জন্ম লাভ করে মহিষাসুরকে ধংস করে পৃথিবী ও দেবীকুলকে রক্ষা করে- সেই সব ব্যাখা তিনি তুলে ধরেন।
এ সময় তিনি শিশুদের উদ্দেশে বলেন, ‘মহিষাসুর হলো মন্দ বা খারাপ বিষয়, আর এই মন্দকে ধংস করতেই দুর্গা মায়ের আবির্ভাব। তেমনি তোমাদেরও মন্দকে এবং দুষ্টকে সরিয়ে দিতে হবে।’
ডিসি চাইল্ড কেয়ার এন্ড এডুকেশন সেন্টারে দুর্গাপূজা উপলক্ষে আয়োজনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শারদীয় দুর্গাপূজা আয়োজনের মুল উদ্দেশ্য হলো, শিশুদের ভাল এবং মন্দের পার্থক্য বুঝতে পারা। মন্দকে পরিহার করে ভালর সাথে জীবনে চলতে শেখাই হলো আজকের এই আয়োজন।’
অনুষ্ঠানে ছোট সোনামণিরা নাচ, গান, ছড়া গান, ছবি আঁকাসহ বিভিন্ন বিষয়ে অংশ নেয়।
অনুষ্ঠানে সোনামণিদের সাথে অভিভাবকেরাও উপস্থিত থেকে শিশুদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
ডিসি চাইল্ড কেয়ার এন্ড এডুকেশন সেন্টারে শিশুদের জন্মদিন পালন করা একটি নিয়মিত কার্যক্রম। এ দিন সোনামণি সূর্যর জন্মদিন উপলক্ষে প্রিন্সিপাল রড্রিগস সূর্য এবং অন্য সোনামণিদের নিয়ে কেক কাটেন।
উল্লেখ্য, গত রোববার দেবীদুর্গার বোধন দিয়ে পাঁচ দিনের পূজা উৎসব শুরু হয়েছে এবং আগামী শুক্রবার দেবীদুর্গার দোলায় বা পালকীতে চড়ে গমনের মাধ্যমে পূজা উৎসব শেষ হবে।
আরবি.আরপি. ১৫ অক্টোবর ২০১৮