শিরোনাম :
মহান স্বাধীনতা দিবসে ত্রিশ লক্ষ শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন
ভালোবাসায় সিক্ত হলো জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানেরা। যথাযোগ্য মর্যাদা মধ্য দিয়ে পালিত হলো মহান জাতীয় দিবস।
২৬ মার্চ, মহান স্বাধীনতা এবং জাতীয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে সূূচনা হয়েছিল মুক্তি সংগ্রাম।
এই দিনে স্বাধীনতার জন্য নিবেদিত শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় বাঙালি। জাতীয় স্মৃতিসৌধের পাদদেশে নত মস্তকে শ্রদ্ধা জানায় আপমর জনতা।
এ দিন শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, ত্রিশ লাখ শহীদের আত্মত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতাকে আরও অর্থবহ করতে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যোবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাণীতে বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
সকাল ১০টায় সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন ঢাকা ক্রেডিটের সেক্রেটারি পংকজ গিলবার্ট কস্তা, রতন পিটার কোড়াইয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা বিজয় মানুয়েল ডি প্যারিসসহ (অব: প্রাপ্ত মেজর বিডিআর) আরও অনেকে।
এ ছাড়াও বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও’র উদ্যোগে এবং মহাসচিব হেমন্ত আই কোড়াইয়ার নেতৃত্বে সিনিয়র যুগ্ন-মহাসচিব জেমস সুব্রত হাজরা, নির্বাহী সদস্য ভিক্টর রে, ডানিয়েল শিকদার, জন অরুনেশ বাড়ৈ, স্বপন রোজারিও, গাব্রিয়েল কস্তা, বনানী শাখার সভাপতি সেবাষ্টিন বাড়ৈ, ক্লেমেন্ট ঢালীসহ আরো অনেকে স্মৃতি সৌধে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বাংলাদেশ শিশু একাডেমিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশুদের চিত্রাঙ্কন, রচনা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শণের আয়োজন করেছে।
পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যক্তি, শ্রেণি ও পেশার মানুষ ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আসেন সাভার স্মৃতি সৌধে। সেখানে কয়েক সস্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। অপরদিকে স্মৃতি সৌধকে নতুন রূপে সাজানো হয়েছে এবং পাশেই সাড়া দিন ব্যাপি সাংকৃতিক অনুষ্ঠান চলছে।