শিরোনাম :
মা হলেন পরিবারের প্রধান প্রশাসক : বনপাড়ায় মা দিবস পালন
শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানানোর মধ্য দিয়ে পালিত হলো বিশ্ব মা দিবস।
রবিবার নাটোর জেলার বনপাড়া মিশনের পরিবার কল্যাণ সংঘের উদ্যোগে বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী পালন করা হয় মায়েদের নিয়ে বিশ্ব মা দিবস।
মা দিবসের কর্মসূচির প্রথমে ছিল রবিবাসরীয় খ্রীস্টযাগ। এর পরই মা দিবস উপলক্ষে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার প্রকাশ হিসেবে সকল মায়েদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
জীবনে মায়ের অবদান উল্লেখ করে বনপাড়ার ফাদার বিকাশ হিউবার্ট রিবেরু বলেন, ‘আজকে আমি যে অবস্থানে আছি তা শুধু আমার মায়ের জন্য সম্ভব হয়েছে। আমার মা যদি শৈশব থেকে আমাকে আদর্শ ও সুশিক্ষায় মানুষ না করতো তাহলে আমি হয়তো এ পর্যন্ত আসতে পারতাম না।’
তিনি বলেন, ‘আজ এখানে সব বয়সের মায়েরা উপস্থিত আছে। এতে করে সকল মায়েদের সাথে সম্পর্ক আরো জোরালো হবে।’
মা দিবসে সকল মায়েদের উদ্দেশ্যে ফাদার প্রবাস এসজে বলেন, ‘মাতৃত্ব হচ্ছে একটি আহ্বান। যারা আদর্শ মা, তাদের সন্তানেরাও আদর্শবান হয়। সন্তানরা বড় হয়ে জীবনে ভাল কিছু করতে পারে। আর খ্রিষ্টবিশ্বাসীদের কাছে মা-মারীয়া একজন আর্দশ মা। খ্রিস্টীয় পরিবার গঠন করতে হবে মা মারীয়ার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে।’
বেনেডিক্ট গমেজ বলেন, ‘একটি পরিবারে পুরোপুরি ভূমিকা পালন করেন একজন মা। মা হলেন পরিবারের প্রধান প্রশাসক।’
‘পরিবারে মা শিক্ষিত হলে তিনি তার সন্তানকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলেন। শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় নয়, খ্রিষ্টীয় মূল্যবোধ ও নৈতিকতার শিক্ষাও দিয়ে থাকেন একজন ভাল মা’ উল্লেখ করেন গমেজ।
শিক্ষক বাবলু কোড়াইয়া বলেন, ‘মা তার সন্তানকে এমন অকৃপণভাবে ভালোবাসে, যেখানে তার কোনো চাওয়া পাওয়া থাকেনা। সন্তানের দেখভাল মা-ই করে থাকেন। একজন মাকে হতে হবে সন্তানের খুব ভালো বন্ধু। যেন সন্তান মাকে বন্ধুর মতো সব কিছু বলতে পারে। আর মার উচিত তার সন্তানের সমস্যা, ভালো-মন্দ সবকিছুর খোঁজ-খবর নেওয়ার। শুধু মা-ই পারে সন্তানের আগামীর ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করে দিতে।
বিশ্ব মা দিবসের এই আয়োজনে বনপাড়া ধর্মপল্লীর ১২০ জন মা অংশগ্রহণ করেন। এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্ত হয়।
আরবি/আরপি/১৫ মে, ২০১৭