শিরোনাম :
মিলল চোরাই ল্যাপটপের ভাণ্ডার : ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার
চুরি-ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে ছয় জনকে গ্রেপ্তারের পর ৯০টি চোরাই ল্যাপটপ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার মো. রাজিব আল মাসুদ জানিয়েছেন, প্রামাণ সাপেক্ষে এসব ল্যাপটপ তারা মালিকের কাছে ফেরত দেওয়ার কথা ভাবছেন।
রোববার দুপুরে জানা যায়, শনিবার রাতে রাজধানীর মিরপুর, পল্টন ও পান্থপথ এলাকা থেকে ওই ছিনতাইকারী চক্রের ছয় সদস্যকে তারা গ্রেপ্তার করেন।
“ছিনতাইয়ের ঘটনা নিয়ে তদন্ত করতে গিয়ে গতরাতে ওই চক্রের সন্ধান পাওয়া যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে- বিভিন্ন এলাকা থেকে ছিনতাই ও চুরি করে তারা ল্যাপটপগুলো জমা করেছে।”
রাজিব আল মাসুদ জানান, প্রথমে মিরপুর-২ নম্বরে স্টেডিয়াম এলাকা থেকে খলিল গাজী, মো. আবুল কালাম ও এমদাদুল হককে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পল্টন থেকে মনির ব্যাপারীকে এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর মিরপুরের দারুস সালাম থানার টোলারবাগের একটি বাসা থেকে হাসিবুর রহমান শুভ্রকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শুভ্রের বাসায় ৫৬টি ল্যাপটপ পাওয়া যায়। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বসুন্ধরা সিটির লেভেল-৫ এর এবি ইলেক্ট্রনিক্সে অভিযান চালিয়ে ৩৪টি চোরাই ল্যাপটপসহ ওই দোকানের মালিক মুশফিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশ কর্মকর্তা রাজিব জানান।
তিনি বলেন, “ল্যাপটপ চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনায় ঢাকার বিভিন্ন থানায় সাধারণ ডায়েরি রয়েছে। উদ্ধার করা ল্যাপটপের তথ্য ঢাকার থানাগুলোতে পাঠানো হবে। জিডির তথ্য মিলিয়ে মালিকদের কাছে এগুলো ফেরত দেওয়া হবে।”
পরে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন বলেন, এই চক্রের সদস্যরা রাস্তার পথচারী বা রিকশাযাত্রীদের ব্যাগ টান দিয়ে বা ভয় দেখিয়ে ল্যাপটপ ও ব্যাগ ছিনতাই করা ছাড়াও বিভিন্ন কৌশলে ল্যাপটপগুলো চুরি করত।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, খলিল গাজী, কালাম ও এমদাদুলের কাজ ছিল ল্যাপটপ চুরি বা ছিনতাই করা। তারা মনিরের কাছে সেগুলো বিক্রি করত। মনির আবার ল্যাপটপ বিক্রি করত শুভ্রের কাছে।
শুভ্র এসব ল্যাপটপের মধ্যে কিছু অন লাইনে বিক্রি করত। আর ভালো ব্র্যান্ডের ল্যাপটপগুলো বসুন্ধরায় মুশফিকের কাছে বিক্রি করে দিত বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পেরেছে।
আরবি/ আরপি/ ৮ জানুয়ারি, ২০১৭