ঢাকা ,
বার : সোমবার
তারিখ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলা : ৯ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা দেশ মুশরইলে সাধু পিতর ও সাধু পলের মহাপর্ব পালন

মুশরইলে সাধু পিতর ও সাধু পলের মহাপর্ব পালন

0
75
মুশরইলে সাধু পিতর ও সাধু পলের পর্ব পালন। (ছবি: কোলাজ)

ডানিয়েল লর্ড রোজারিও ।। মুশরইল

আনন্দ ও ধর্মীয় পরিবেশে মুশরইল ধর্মপল্লীর সন্তোষপুর গ্রামের গির্জার প্রতিপালক সাধু পিতর ও পলের মহাপর্ব উদযাপন করা হয়।

২৯ জুন, স্থানীয় খ্রিষ্টভক্ত ও ব্রতধারী এবং ব্রতধারিণীদের সমাগমে এই পর্ব পালন করা হয়। এদিন পর্বীয় খ্রিষ্টযাগ উৎসর্গ করেন ফাদার শ্যামল জেমস গমেজ। তাকে সহায়তা করেন পাল-পুরোহিত প্রশান্ত আইন্দ, ফাদার সুনীল দানিয়েল রোজারিও ও ফাদার অনিল মারান্ডী। খ্রিষ্টযাগের শুরুতে ফাদার শ্যামল জেমস গমেজ সাধু পিতর ও পলের সংক্ষিপ্ত জীবনী তুলে ধরেন।

খ্রিষ্টযাগের সহভাগিতায় ফাদার সুনীল দানিয়েল বলেন, ‘সবাইকে পর্বীয় শুভেচ্ছা। পৃথিবীতে সাধু পিতরের সবচেয়ে সুন্দর মূর্তিটি ইতালির রোমের সাধু পিতর ব্যাসিলিকার সামনে রয়েছে। যে কারিগর এ মূর্তি তৈরি করেছিলেন তিনি নিজেও অবাক হয়েছিলেন এত সুন্দর মূর্তি দেখে এবং তিনি আবেগের বশে সাধু পিতরের মূর্তির পায়ে হাতুরি দিয়ে আঘাত করেন। এখনও সেইভাবেই সেই মূর্তি রয়েছে সেখানে।

‘সাধু পিতর প্রথমত যীশুর  একজন শিষ্য এবং মন্ডলীর প্রথম পোপ। সাধু পিতর যীশুর সাথে থেকেও যীশুকে চিনতে পারেনি তাকে অস্বীকার করেছিলেন। অন্যদিকে সাধু পল হলেন বর্তমান তুরস্কের নাগরিক। বলা হয়ে থাকে বাণীপ্রচারের দিক থেকে যীশুর পরে সাধু পলের অবস্থান। একসময় তিনি খ্রিষ্টমন্ডলীকে ধ্বংস করে ফেলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে যীশুর দেখা পাওয়া তাকে মন পরিবর্তন করতে সহায়তা করে। সেদিন তার চক্ষু অন্ধ হয়েছিল ঠিকই কিন্তু তার অন্তর্দৃষ্টি খুলে গিয়েছিল এবং বুঝতে পারেন তার ভিতরে ভালো কিছু নেই। সুস্থ হওয়ার পর পল খ্রিষ্টমন্ডলীকে গড়ার প্রত্যয় নিয়েছিলেন। আজকে মঙ্গল সমাচারে আমরা দেখতে পাই যীশু শিষ্যদের প্রশ্ন করেন ‘আমি কে? এ বিষয়ে লোকেরা কি বলে আর তোমরাই বা কি বলো। ঠিক তেমনি আমাদেরও যীশু প্রশ্ন করেন আমরা যীশুকে কিভাবে দেখি।’ বলেন ফাদার দানিয়েল।

খ্রিষ্টযাগের শেষে ফাদার প্রশান্ত আইন্দ বলেন, ‘সকলকে পর্বীয় শুভেচ্ছা জানাই। এ পর্বকে সুন্দর করতে যারা নানাভাবে সহায়তা করেছেন তাদের সকলকে আমি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। আজকে সারাদিন ভালো কাটুক এই কামনা করি।’

একজন বয়স্ক মা অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, ‘প্রতিবছর এ পর্ব আমরা অনেক আনন্দ নিয়ে উদযাপন করি আর এর মধ্য দিয়ে গ্রামের মধ্যে একটা মিলন মেলার সৃষ্টি হয়।’