শিরোনাম :
মে দিবসে দোকান খোলা রাখলে কিছু হয় না: দোকান মালিক
মে দিবসেও খোলা ছিল বরিশাল নগরীর চকবাজার,গীর্জামহল্লাসহ আরও অনেক দোকান। ছুটি মেলেনি দোকান শ্রমিকদের। মালিক পক্ষ নানান কথা বলে, শ্রমিকদের চাকরির উপর চাপ সৃষ্টি করে কাজে বাধ্য করান বলে ডিসিনিউজকে জানান কর্মচারীরা।
ইউনিয়ন সদস্যরা জানান, ‘আমরা ১ মে ছুটির জন্য জেলা প্রশাসকের বরাবর একটা আবেদন করি। উদ্দেশ্য ছিল, আমরা সবাই শ্রমিক দিবস যেন মর্যাদার সাথে পালন করতে পারি। কিন্তু মালিক পক্ষ কর্মচারীদের নানান ধরনের কথা বলে, ভয় দেখিয়ে, চাকরির উপর চাপ সৃষ্টি করে দোকান খোলা রাখেন।
কর্মচারীরা অভিযোগ করে বলেন, শুধু চকবাজার নয় গীর্জামহল্লায়ও যারা মালিক সমিতি রয়েছেন তাদের ফোনের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক মার্কেট বন্ধ রাখতে বলেছেন, কিন্তু মালিক পক্ষ মার্কেট বন্ধ রাখেনি।
কর্মচারীরা আরও বলেন, ‘ধারনা ছিল, যারা ইউনিয়ন সদস্য আছে তাদের নিয়ে মালিক পক্ষ অন্তত বেলা ১টা পর্যন্ত দোকান বন্ধ রাখার সুযোগ করে দিবেন। কিন্তু তারা সেটাও করেননি। গতকাল পুরো বেলা কাজ করেছি। আমরা কোনো প্রকার রাজনীতির সাথে যুক্ত নয়। শুধু আমাদের ন্যায্য অধিকার টুকুই চাই। ১ মে হল জাতীয় ছুটি (আন্তর্জাতিক স্বীকৃত) এটা থেকেও আমরা কেন বঞ্চিত হবো?
দোকান শ্রমিকরা অভিযোগ করে বলেন, মালিক পক্ষ যদিও বলেন বোনাস দেন, কিন্তু তারা বাস্তবে বোনাস দেন না। এমনকি মালিক পক্ষ দুই ঈদেও বোনাস ঠিক মতো দেয় না। শুধু তাই নয়, কোনো কোনো সময় মালিক পক্ষ যেকোনো শ্রমিককে বহিস্কার করছে বলে শ্রমিকরা অভিযোগ করে।
এছাড়াও শ্রমিকরা ছুটি নিয়েও পড়েন নানান জটিলতায়। সরকারি গেজেট থাকলেও মানা হয় না গেজেটের আইন। এ ব্যাপারে অভিযুক্তদের বিষয়ে কেউ নাম উল্লেখ করতে চায় না, কারণ তাদের ভয়ভীতিসহ চাকরির ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেক কর্মচারী জানান তাদের প্রতি অন্যায়ের অন্যায্যতার কথা।
ইউনিয়নের সহ সম্পাদক মো. এনামুল হক বলেন, যারা খেটে খাওয়া মানুষ তারা ছুটি পাচ্ছ, সরকারি আমলা তারাও ছুটি পাচ্ছে। হোটেল কর্মচারীর ইউনিয়ন তারাও অর্ধবেলা দোকান খোলা রাখছে। মে দিবসকে তারা সম্মান জানিয়ছে। কিন্তু দোকান মালিক পক্ষ সম্মান জানানো দূরে থাক, তারা মে দিবস কি তাই-ই জানে না।
এনামুল হক মালিকদের উদ্বৃত্তি দিয়ে বলেন, ‘মালিকরা নিজেরাই বলেছেন ‘ডিসি সাহেব দোকান বন্ধ রাখতে বলেছেন, কিন্তু আমরা তা মানি না।’
এ ব্যাপারে ময়ূরী শপ দোকান মালিক মো. আব্দুল রহিম ডিসিনিউজকে বলেন, ১ মে দোকান খোলা ছিল।যারা মিটিং ও মিছিলে গেছে তাদের যেতে দেওয়া হয়েছে। তবে অনেক কর্মচারী এ দিন কাজ করেছে। তিনি বলেন, মে দিবসে দোকান খোলা রাখলে কিছু হয় না। এখানে দোকান বন্ধ রাখার কি আছে।
সূত্রে জানা যায়, দোকান শ্রমিকদের ছুটি, বেতন বোনাসসহ বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার স্মারকলিপি শ্রমিক ইউনিয়ন জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দেন এবং সুষ্ঠ সমাধান দাবি করেন।
আরবি/ আরপি/ ৩ মে, ২০১৭