শিরোনাম :
যথাযথ মর্যাদায় রাজশাহীতে পালিত হলো ৪৮তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস
যথাযথ মর্যাদায় রাজশাহীতে পালিত হলো ৪৮তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস।
সকাল ৮টায় একযোগে গাওয়া হয় জাতীয় সংগীত। জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ ও শিশু কিশোরদের শরীর চর্চা প্রদর্শন করা হয় এরপরই। এ ছাড়াও আয়োজন করা হয় বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মাথা উচু করে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যায়ে বীর শহীদদের স্মরণ করা হয়েছে। রাজশাহীতে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে শুরু হয় দিনের কর্মসূচি। একই সঙ্গে সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বে-সরকারি ভবনসমুহে উত্তোলন করা হয় জাতীয় পতাকা। এর আগে দিবসের প্রথম প্রহরেই শহীদ মিনারে ফুল নিয়ে ঢল নামে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের।
সূর্যোদয়ের সাথে সাথে নগরীর লক্ষ্মীপুরে জেলা ও কুমারপাড়ায় মহানগর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে সকাল ১০টায় মহানগর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ জাতীয় চার নেতা ও স্বাধীনতা সংগ্রামের সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা হয়। এ সময় মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারসহ অন্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে রাজশাহীর ঐতিহাসিক ভুবনমোহন পার্ক শহীদ মিনারে রাত ১২টা এক মিনিটে পুষ্পার্ঘ অর্পণের মধ্যে দিয়ে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান সর্বস্তরের মানুষ ও বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংঘঠন.
এদিকে সকাল সাড়ে ৭টায় জেলা মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার প্রধান নুর-উর-রহমান অতিথি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পরে তিনি প্যারেড পরিদর্শন, কুচকাওয়াজের অভিবাদন গ্রহণ, শারীরিক কসরত প্রত্যক্ষণ এবং পুরস্কার বিতরণ করেন। সকাল ৮টায় এখান থেকেই সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে হাসপাতাল, কারাগার, শিশুসদন, শিশু-দিবাযত্ন ও শিশুবিকাশ কেন্দ্রসমুহে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে। এছাড়াও রাজশাহীর মাদ্রাসা ময়দানে আয়োজন করা হয়েছে টমটম দৌড় প্রতিযোগিতা। এছাড়া শিল্পকলা অ্যাকাডেমিতে আয়োজন করা হয়েছে রক্তদান কর্মসূচি। রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয় জাতীয়পতাকাপ্রদর্শনীতে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোও নানা কর্মসূচি পালন করছে। জেলার প্রতিটি উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগেও পালিত হচ্ছে দিবসটি।
আরবি.আরপি.২৭ মার্চ, ২০১৮